রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড নেপালে বাজার সম্প্রসারণ করবে
This page was last updated on 06-Jul-2024 01:13pm , By Shuvo Bangla
নেপালের বাজারে মোটরসাইকেল রপ্তানির আট মাসেই দেশটিতে ভালো সাড়া পেয়েছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড। বাংলাদেশের তৈরি রানার মোটরসাইকেল এ বছরের শুরুতে নেপালের বাজারে প্রবেশ করে। দেশটির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশি এই ব্র্যান্ড ভালোই সাড়া পাচ্ছে বলে জানান রানার অটোমোবাইলসের কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি নাডা (নেপাল অটোমোবাইল ডিলার অ্যাসোসিয়েশন) অটো শোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নেপালের বাজারে রানার আরো এগিয়ে যাবে বলে আশা করছেন রানার অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকেশ শর্মা। তিনি বলেন, ‘রানারের নেপালের পরিবেশক রমন মোটরসের মাধ্যমে দেশটিতে মোটরসাইকেল ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। রমন মোটরস সমগ্র নেপালে ডিলার নিয়োগ করবে। ’ তিনি বলেন, নেপালে রানারই প্রথম প্রতিষ্ঠান, যা ছয় বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে।
রানার অটোমোবাইলস কর্তৃপক্ষ জানায়, নেপালের গাড়ি ও বাইকের এই ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট নাডাতে উদ্যোক্তা, গ্রাহক, বিক্রেতা, নির্মাতা ও পরিবেশকরা রানারের মোটরসাইকেলের প্রতি আকৃষ্ট হন। নেপালি ব্যবসায়ীরা রানারের আরো মোটরসাইকেল রপ্তানির আগ্রহ দেখান। স্থানীয় পরিবেশক রমন মোটরসের মাধ্যমে রানার মর্যাদাপূর্ণ এই শোতে অংশগ্রহণ করে। সেখানে রানার অটোমোবাইল তার সমস্ত পণ্য প্রদর্শন করে।
নাডা অটো শো রানারের প্যাভিলিয়নে দেড় হাজারের বেশি দর্শকের আগমন ঘটে। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি নেপালে রপ্তানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করে রানারের মোটরসাইকেল। ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার অটোমোবাইলস্ লিমিটেডের কারখানায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মোটরসাইকেল রপ্তানির উদ্বোধন করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আশা করা যাচ্ছে নেপালের মোটর সাইকেলের বাজারে রানার তাদের গুন গত মান ও সেবা বজায় রাখবে। যদিও দেশের কোম্পানি হিসেবে এই প্রথম বাইরের কোন দেশে তাদের বাজার সম্প্রসারন করতে যাচ্ছে। তবুও আমরা আশা করতে পারি যে রানার তাদের কোয়ালিটি ও বিক্রয়ত্ব সেবার মান দুটোই ভাল রাখবে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে রানার তাদের এই সম্প্রসারন কতটুকু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া নেপালে তাদের কতটুকু বাজার রয়েছে। আর অন্য মোটরসাইকেল কোম্পানির সাথে তাদের কতটুকু প্রতিযোগতা হবে সেটাই দেখার বিষয়। তবে আশার কথা হচ্ছে নেপালে রানারের ভালো মার্কেট রয়েছে। অন্য দিকে রানারের মোটরসাইকেল ও স্কুটারের মান ও বিল্ড কোয়ালিটিও ভালো। তাই আশা করা যায় যে রানার নেপালের বাজারে ভালোই ব্যবসা করবে।
তথ্যসুত্রঃ কালের কন্ঠ