Yamaha FZS FI V3 ৭৫০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - ইফতি
This page was last updated on 01-Aug-2024 11:40am , By Shuvo Bangla
আমি মোঃ তওসীফ হোসাইন ইফতি। আমি Yamaha FZS FI V3 বাইকটি ব্যবহার করি । আমি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার তেলিহাটি ইউনিয়নে বসবাস করি । আজ আমি আমার বাইকটি নিয়ে রাইডিং অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এবং বাইকটির ভালো ও মন্দ দিক আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
আমি Yamaha ব্রান্ড এর এই বাইকটি ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখে নতুন ক্রয় করেছি । এটি BS4 এডিশন। বাইক ক্রয় করার দিন আমার জন্মদিন ছিলো। সেই উপলক্ষে বাইকটি কেনা হয়। বাইকটি ক্রয় করার পেছনে অন্যতম কারণ ব্রেকিং, হ্যান্ডেলিং ও কমফোর্ট।
এটি আমার জীবনের দ্বিতীয় বাইক , এর আগে আমি এপাচি ১৬০ ২ভি চালাতাম। বাইকের সাথে জড়িয়ে আছে অনেক আবেগ এবং অনুভূতি । আর এই আবেগ এবং অনুভুতির কথা শেয়ার করার জন্যই আজকের এই মালিকানা রিভিউ লেখা ।
আমি যখন বাইকটি ইয়ামাহার শোরুম থেকে ক্রয় করি তখন বাইকটির বাজার মূল্য ছিল ২,৩০,০০০ টাকা। বাইক খুব পছন্দ করি পাশাপাশি বাইকিং এবং বাইক ট্যুরের ক্ষেত্রে রয়েছে আমার অন্যরকম এক আগ্রহ। বাইকটি কিনতে আমি ও আমার আব্বু গিয়েছিলাম।
বাইকটি কিনেই পরেরদিন আমি কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দিই৷ ব্রেকিং পিরিয়ড শেষ করার জন্য। আমি মনে করি হাইওয়েতে ব্রেকিং পিরিয়ড শেষ করা সবচেয়ে ভালো। কারণ তখন ইন্জিনে যথেষ্ট এয়ার ফ্লো হয়।
আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। এই বাইকটি নিয়ে আমি চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, রাজশাহী, বরিশালসহ আমার নিজের জেলা গাজীপুর পুরোপুরি এক্সপ্লোর করি। বাইকি ৩ মাস ১০ দিন এ ৯৫০০+ কিলোমিটার রাইড করেছি । পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। এখনো কোনো সমস্যা পাইনি।
আমি বাইকটি সর্বদা ইকো মোডে রেখে চালাই। বাইকটি থেকে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ঢাকা সিটিতে ৪৫+ আর আমাদের ময়মনসিংহ হাইওয়েতে ৫২-৫৫৷ মাইলেজ মোটামুটি ৪৫+ এভারেজ। এফ আই ইঞ্জিন হওয়াতে প্রেসার না দিয়ে চালালে মাইলেজ খুবই ভালো পাওয়া যায়।
আমি বাইকটিতে টপ স্পিড পেয়েছি ১২৪ কিমি /ঘন্টা এবং চার বারই ময়মনসিংহ হাইওয়ের ভালুকা থেকে ত্রিশাল এই ৩৮ কিলোমিটার এর মধ্যে। আমার ০-৬০ তুলতে সময় লাগে ৮-৯ সেকেন্ড। আর ০-১০০ তুলতে সময় লাগে ১৮-২০ সেকেন্ড। টপ স্পিড ১২৪ তুলতে সময় লেগেছিলো ৪৮ সেকেন্ড।
পিলিয়ন নিয়ে আমি ১১২ টপ স্পিড পেয়েছি। আমি কখনোই স্পিডিং প্রমোট করি না। আর আমার বাইকটি মোটেও স্পিডিং এর জন্য না। এটি একটি আদর্শ কমিউটার বাইক।
বাইকটির সবচেয়ে অসাধারণ জিনিস হচ্ছে এর কর্নারিং এবং ব্রেকিং। এইটা জাস্ট ফ্যান্টাসটিক। অসাধারণ সব কর্ণারিং হয় এই বাইকি দিয়ে। আর ABS ব্রেকিং সিস্টেম থাকায় ব্রেকিং তো মেগফিসেন্ট।
Yamaha FZS FI V3 বাইকের কিছু ভালো দিক –
- মাইলেজ
- স্মুথনেস
- ব্রেকিং
- ইয়ামাহার সার্ভিসিং। (এলওয়েজ টপ নচ)
- কন্ট্রোলিং
Yamaha FZS FI V3 বাইকের কিছু খারাপ দিক –
- থ্রটল রেসপন্স একদমই নেই।
- ইঞ্জিন ওভারহিট হয়।
- পিলিয়ন নিলে পাওয়ার ড্রপ করে।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই ভালো মন্দ মিলিয়েই একটি বাইক। আলহামদুলিল্লাহ এই বাইকটি আমাকে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স দিচ্ছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন ৷ ধন্যবাদ।