বাজাজ সিটি ১০০ ফিচার রিভিউ - বাংলাদেশের অন্যতম আস্থাসম্পন্ন কমিউটার
This page was last updated on 07-Jul-2024 02:05pm , By Shuvo Bangla
বাজাজ মোটরসাইকেলের অন্যতম জনপ্রিয় বাইক হচ্ছে বাজাজ সিটি১০০। বাইকটি কমিউটিং বাইক জগতে অন্যতম সফল বাইক। দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম কমিউটিং বাইক হচ্ছে বাজাজ সিটি১০০। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য বাজাজ সিটি১০০ এর ফিচার রিভিউ।
বাজাজ সিটি ১০০ – ওভারলুক
বাজাজ সিটি ১০০ হচ্ছে বাজাজ অটো লিমিটেড এর কমিউটার সেগমেন্ট এর বাইক। সম্পূর্নভাবে কমিউটিং বাইক হিসেব তৈরি করা হয়েছে। বাজাজ সিটি১০০ বাজারে আনা হয় ২০০৪ সালে। বাইকটি বাজাজ বক্সার এর পরিবর্তে বাজারে আনা হয়। বাজাজ সিটি ১০০ অনেক ফিচার সমৃদ্ধ, যদিও পুরাতন মডলে কিন্তু মার্কেট ট্রেন্ড এর সাথে এর ফিচার এ অনেক নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়। তাই লুক, ডিজাইন এবং নতুন ফিচার সম্বলিত হওয়াতে কমিউটিং বাইকের ক্ষেত্রে এক নতুনত্ত্ব নিয়ে এসছে।
বাজাজ সিটি১০০ – লুক, ডিজাইন এবং এপিয়ারেন্স
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাজাজ সিটি১০০ কমিউটিং বাইক। ডিজাইন এর ক্ষেত্রে যদি বলা হয় এটি খুব সাধারন এবং সহজ ভাবে ডিজাইন। তবে বাইকটির লুক এর ক্ষেত্রে ক্ল্যাসিক এবং স্টাইল দুটোই ধরে রেখেছে, তবুও বাইকটি আধুনিকতার সাথে মানিয়ে গিয়েছে। এপিয়ারেন্স এর ক্ষেত্রে এটি অনেক ডিসেন্ট। আপনি যেকোন পজিশনে চড়তে পারবেন। কারন এটি সম্পূর্ন রূপে কমিউটিং বাইক। কিন্তু সবদিক থেকে তুলনা করলে। ডিজাইন, কালার অপশন এবং বডির ফিনিশিং সবকিছু সুন্দর ভাবে করা। বডি পার্ট এর দিক থেকে হেড লাইট, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, সাইড প্যানেল সব কিছু সুন্দরভাবে করা হয়েছে।
বাজা সিটি১০০ – চাকা, ব্রেক, এবং সাসপেনশন সিস্টেম
বাজাজ সিটি১০০ চাকা, ব্রেক এবং সাসপেশন এর দিক থেকে অনেক এগিয়ে এর সমসামইয়িক কমিউটিং বাইক গুলো থেকে। সাধারণ ভাবে বাকটিতে কনভেনশনাল স্পোক সাথে মেটাল রিম। বাইকটি শহর কিংবা গ্রামের উচুনিচু রাস্তাতেও রাইডিং এ উপযুক্ত। কিন্তু যারা শহর বাইকটি চালাতে চান তাদের জন্য এলয়ের রিম অপশনটিও রয়েছে। টায়ার এর ক্ষেত্রে বাজাজ সিটি১০০ ব্যবহার করেছে কনভেনশনাল টিউব টায়ার। টায়ার গুলো রেগুলার কমিউটিং বাইকের চেয়ে একটু মোটা এবং স্টাইল ও ভিন্ন। রেয়ার তিন ইঞ্চি প্রসস্থ হওয়াতে রাস্তায় চলার সময় ভালো গ্রিপ দেয়।
বাজাজ সিটি১০০ এর ব্রেকিং সিস্টেম হচ্ছে ড্রাম ব্রেক। রেয়ার এবং ফ্রন্ট দুই জাগায়তেই ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। উভয় ব্রেকই ১১০মিমি সাইজ এর হওয়াতে কোন অসুবিধা ছাড়াই নিয়ন্ত্রন করা যায়। বাইকটির সামনের সাসপেশন হচ্ছে রেগুলার হাইড্রোলিক টেলিস্কোপিক ফর্ক। অপরসিকে রেয়ার সাসপেনশন হচ্ছে ইউনিট ডাবল সাথে রেয়ার সুইং আর্ম। এই সাসপেশন গুলো শক্তিশালী করা হয়েছে এসএনএস দিয়ে, যা স্প্রিং ইন স্প্রিং সাসপেনশন সিস্টেম। প্রতিটি সাসপেনশনে দুটি করে স্প্রিং থাকায় অতিরিক্ত ভার বহন করতে সক্ষম।
বাজাজ সিটি ১০০ – সিটিং এবং রাইডিং
যেহেতু বাজাজ সিটি১০০ কমিউটিং বাইক, তাই এর সিট সিঙ্গেল এবং লম্বা। যদিও সিট সিঙ্গেল পিস তবুও এর ডিজাইনে আকর্ষনীয় বাক রয়েছে। এই বাকের কারনে রাইডার বাইক চালোনাতে বেশি নিয়ন্ত্রন পায় এবং আরামদায়ক রাইডিং ও নিশ্চত করে। পিলিয়নের সিট অনেক প্রসস্থ এবং বড়। বাজাজ সিটি১০০ এর রাইডিং পজিশন অনেক আরামদায়ক। বাইকের সিটিং পজিশন, হ্যান্ডেল বার, লিভার কন্ট্রোল, সুইচ এবং পাদানী সব কিছু আরামদায়ক করে তৈরি করা, যাতে রাইডার বাইক চালাণর সময় কোন রকম অসুবিধাবোধ না করে। তাই অনেক ভার বহন করে বা পিলিয়ন এর সাথে গ্রামের উচুনিচু রাস্তাতেও এর নিয়ন্ত্রণ ভালো।
বাজাজ সিটি১০০ – ইঞ্জিন ফিচার
বাজাজ সিটি ১০০ এর ইঞ্জিন ফোর স্ট্রোক এয়ার কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার। তবে অন্য কমিউটিং বাইকের চেয়ে ভালই ক্ষমতা সমৃদ্ধ। বাইকটি ৮পিএস ক্ষমতা এবং ৮.০৫এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। তাই প্রতিদিনের কমিউটিং বাইকের জন্য এই বাইকটি উপযুক্ত।
ইঞ্জিনের সিলিন্ডারের ডিইমেশনের ক্ষেত্রে স্কয়ার এবং বোর প্রসস্ত। তাই পিস্টন এর খুব কম জায়গা দরকার হয় বেশি ক্ষমতা উৎপন্ন করতে। এছাড়াও ইঞ্জিনে যুক্ত আছে এক্সহটেক প্রযুক্তি সাথে নতুন বিএস-৪ ইমিশন কমপ্লায়েন্স অধিক শক্তি উৎপন্ন করতে সহায়তা করে।
আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, যে বাজাজের সিটি ১০০ সাধারন কিন্তু কমিউটিং এর ক্ষেত্রে অনেক উপযুক্ত। বাইকটিতে যথেষ্ট পরিমান ক্ষমতা, ফিচার এবং মাইলেজ রয়েছে। অতীতে এটা প্রমান করে দিয়েছে এর সক্ষমতা। তাই আপনি যদি কমিউটিং বাইক নিতে চান তবে বাজাজ সিটি ১০০ এর উপর ভরসা করতে পারেন। পাঠকেরা এই ছিল আমাদের বাজাজ সিটি ১০০ ফিচার রিভিউ। আশা করিছি বাইকটি সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারনা পেয়েছেন। যদি আপনাদের কন জিজ্ঞাস থেকে থাকে আমাদের জানান। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করব আপনাদের তথ্য প্রদানে। আমাদের সাথেই থাকুন।