চীনের মতে জাপানের ওষুধ করোনা সারাতে নিশ্চিতভাবে কার্যকর

This page was last updated on 31-Jul-2024 08:16am , By Ashik Mahmud Bangla

যদিও আমরা সব সময় বাইক নিয়ে বিভিন্ন নিউজ প্রকাশ করে থাকি,কিন্তু এখন করোনা ভাইরাসের জন্য বাইকার এবং তাদের পরিবার বেশ আতংকের মধ্যে আছে। এজন্য সকলকে সচেতন করার জন্য নিউজটা শেয়ার করা। চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে গত বছরের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। বর্তমানে এই ভাইরাস বিশ্বের ১৬৫টি দেশে ছড়িয়েছে। বুধবার পর্যন্ত মারা করোনা ভাইরাসে মারা গেছে গেছে আট হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

 জাপানের ওষুধ করোনা সারাতে নিশ্চিতভাবে কার্যকর - চীন

How-to-protect-corona-virous 

করোনাভাইরাস কি?

করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস, যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ – এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন হবে সাতটি।

চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জাপানে এক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হতো, ওই ওষুধ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে চীনে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।Wash-hand-for-corona-virous

জাপানের ফুজিফ্লিম কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান টয়ামা কেমিক্যাল ওই ওষুধটির উৎপাদনকারী। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ঝাং শিনমিন এর মাধ্যমে এই তথ্যটি জানা গিয়েছে। তাদের এই ওষুধটি উহান ও শেনজেন শহরে করোনা সংক্রমিত ৩৪০ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে, এবং এর থেকে অনেক ভালো ফল পাওয়া গেছে। যে সব রোগী হালকা ও মাঝারি মাত্রায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্য জাপানের চিকিৎসকের এ ওষুধটি প্রয়োগ করছেন। এটি দেওয়ার পর রোগীর পরিস্থিতি আর খারাপের দিকে যাবে না, এই আশাতেই ওষুধটি প্রয়োগ হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা গেছে, রোগীর অবস্থা যদি জটিল হয় তাহলে তাদের জন্য এ ওষুধটি কার্যকর নয়।

তবে চীনের কর্মকর্তা ঝাং শিনমিন বলেন, ‘এ ওষুধটি যথেষ্ট নিরাপদ এবং রোগ সারাতে নিশ্চিতভাবে এটি কার্যকর।’ শেনজেনে যেসব রোগীকে জাপানের এ ওষুধটি দেওয়া হয়েছে তাদের সবাই চারদিনের মধ্যেই সেরে উঠেছেন। আর যাদের এ ওষুধ দেওয়া হয়নি তারা সারতে ১১ দিন সময় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যারা এ ওষুধটি পেয়েছেন তাদের ফুসফুসের অবস্থাও ৯১ ভাগ সেরে উঠেছে। আর যাদের এ ওষুধ দেওয়া হয়নি তাদের ফুসফুসের অবস্থার ৬২ শতাংশ উন্নতি ঘটেছে।

corona-virous

   তবে ওষুধটির এ কার্যকারিতার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টয়ামা কেমিক্যাল। পরিশেষে বলতে চাই আমাদের নিজেদের        সাবধানতা হয়তো এই রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। আসুন আমরা নিজেরা সচেতন হয় এবং অন্যকে সচেতন করি, সবাই মিলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করি। 

তথ্য সূত্রঃ প্রথম আলো