Runner বাইকার্সদের এক বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে মিলনমেলা
This page was last updated on 28-Jul-2024 09:36am , By Saleh Bangla
রাজধানীতে যারা RunnerAuto-mobile উৎপাদিত বিভিন্ন মডেলের বাইক চালান তাদের নিয়ে একটি সংগঠন আছে। নাম রানার বাইকার্স ক্লাব-আরবিসি। ফেসবুক ভিত্তিক এই সংগঠনটির জন্ম ২০১৬ সালে। গ্রুপটিতে ১০ হাজারেরও বেশি বাইকার্স যুক্ত আছেন। এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ২৭ অক্টোবর গ্রুপটির বর্ষপূর্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ২৭ অক্টোবর বিকালে বাইকার্স ক্লাবের সদস্যরা রাজধানী মানিক মিয়া এভিনিউ জড়ো হতে শুরু করে। বিকাল চারটায় শুরু হয় শোভা যাত্রা। গন্তব্য ৩০০ফিট পুর্বাচল বাজার। সেখানে বাইকার্সদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিনত হয়।
অনুষ্ঠান শুরু হয় একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হয়ে। শুরুটা করেন মেহেদী হাসান। তিনি রানার বাইকার্স ক্লাবের আহ্বায়ক। মেহেদী বলেন, ‘আমরা যারা Runner কোম্পানির মোটরসাইকেল চালাই তাদের নিয়ে একটা সংগঠন খোলার ইচ্ছে ছিল সেই বাইক কেনার সূচনা লগ্ন থেকেই। কারণ তখন রানারের কোন বাইকার্স গ্রুপ ছিল না। সেই ইচ্ছে থেকে ফেসবুক গ্রুপ খোলা। গ্রুপ টিতে রানার বাইক রাইডার্সরা দ্রুতই যুক্ত হতে শুরু করেন। এবং বাইক সংক্রান্ত খুঁটি নাটি জানার আগ্রহ এবং সমস্যার সমাধান পেয়ে থাকেন। একটি বছর খুব বেশি সময় না।
Also Read: M/S. Star Enterprise in Keranigonj, Dhaka
ইতোমধ্যে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা আজ ১০,০০০ ছাড়িয়েছে। আমি আশা করবো রানার অটোমোবাইল এই গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সংগঠনটিকে আরো গতিশীল করবো’ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় বাইক স্ট্যান্ড শো। Runner বাইকার্সরা স্ট্যান্ড শো দেখিয়ে উপস্থিত সবার মনোরঞ্জন করেছেন। এরপর বর্ণিল আলোকসজ্বায় কেক কেটে বর্ষপূতী উদযাপন করা হয়। চলে খানাপিনা।
Runner বাইকার্সদের এই মিলনমেলায় রানারের বিভিন্ন মডেলের প্রায় ১০০টির বেশি বাইক নিয়ে বাইকার্সরা হাজির হন। এদের নিয়ে গেম শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে অংশ নিয়ে পুরস্কারও জেতেন কেউ কেউ। এছাড়াও র্যাফেল ড্র ছিল। এতে ১০ টি আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়। এরপর চলে ফটোসেশন। বাইকার্সরা বিভিন্ন পোজে তাদের মোটরসাইকেল নিয়ে ফ্রেমে বন্দী হন। গেট টুগেদারে অংশ নেয়া সবাইকে একটি করে গ্রুপের স্টিকার উপহার দেয়া হয়। রানারের জনপ্রিয় ও বেশি বিক্রিত বাইক রানার ডিলাক্স ৮৫ সি সি। বাইকার্সদের মিলনমেলায় ডিলাক্স নিয়ে এসেছিলেন মিরপুরের আজাদ। তিনি বলেন, ‘রানারের বাইকার্সদের নিয়ে তৈরি সংগঠনটিতে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি যে বাইকটি চালাই তার পারফর্মেন্স অসাধারণ। এটি তেল সাশ্রয়ী কমিউটার।’ রানারের বিভিন্ন মডেলে বাইকের মধ্য রয়েছে কাইট, কাইট প্লাস, আর টি, চিতা, বুলেট, রয়েল প্লাস , টার্বো এবং নাইট রাইডারস।
বর্ষপূর্তীর অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করার জন্য উদয়াস্ত খেঁটেছেন বিজয় হাসান, মমিন হোসেন, আরমান হোসেন, তাহসিন হোসেন, নাইম, প্রান্ত, কাসেম, রানা, রকি, সোহাগ, আসফাক, মনির, মেহেদী, মইন, রেজাউল, লুক, আরিফসহ অনেকেই। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংগঠনটির সদস্যসরা। Runner বাইকার্সদের বর্ষপূর্তিতে জানানো হয়, ভবিষ্যতে বিভিন্ন উপলক্ষে গেট টুগেদারের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে অংশ নেয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাদের। যদিও এই সংগঠনটি ব্যক্তিগতভাবে পরিচালত। রানার অটোমোবাইলের সঙ্গে এর সম্পৃক্ততা নেই। আকাশে রঙিন ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তী উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটে। তথ্যসূত্রঃ ঢাকাটাইমস