২০২৩ সালের প্রথম ৪ মাসে ইন্দোনেশিয়ায় ৪৪% বাইক বিক্রয় বৃদ্ধি

This page was last updated on 30-Jul-2024 04:26am , By Raihan Opu Bangla

ইন্দোনেশিয়ার মোটরসাইকেল মার্কেটে ২০২৩ সালে বেশ দারূণ ভাবে গ্রো করছে। ধারণা করা যাচ্ছে এবার ডাবল ডিজিট পর্যন্ত সেলস হবে, কিন্তু এই প্রথম কোর্য়াটারে সেলস হয়েছে ১.৮৯ মিলিয়ন যা ৪৪.১ শতাংশ।


প্রথম মাসে ইন্দোনেশিয়ায় ৪৪% মোটরসাইকেল বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মোটরসাইকেল মার্কেট হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার মোটরসাইকেল মার্কেট। ২০২৩ সালে এই মোটরসাইকেলের মার্কেটের শুরুটা বেশ দারূণ ভাবে হয়েছে। তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বলা যায় মোটরসাইকেল মার্কেটের গ্রোথ বেশ ভাল। 

সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার মোটরসাইকেল মার্কেট সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে, যা এক দশক আগেও কল্পনা করা যায়নি। তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে বলা যায় ৮ মিলিয়ন এর মত বিক্রয় বেড়েছে, যা ২০২২ ৫.৪ মিলিয়নের মত ছিল। 

মার্কেট রিসার্চ করে বলা হচ্ছে যে, ২০২৩ সালে এই সেলস ডাবল ডিজিটে গিয়ে পৌছুতে পারে কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, এই বছর প্রথম কোর্য়াটারে +৪৪.১ শতাংশ সেলস বেড়েছে, যা সত্যিকার অর্থেই দারূণ একটা সংকেত। 

এই মার্কেট গ্রোথের পেছনে সবচেয়ে বেশি বিক্রয় বেড়েছে স্কুটার সেগমেন্টের যা হচ্ছে, ৫৬.৪ শতাংশ এবং মোটরসাইকেল সেগমেন্টে ২৩.০ শতাংশ, যা কিছুটা কম। যদিও এর পেছনে ইলেক্ট্রিক স্কুটারের প্রভাব রয়েছে যা বিক্রয় হয়েছে ৫৫.৬ শতাংশ। 

সকল তথ্য উপাত্তের বিশ্লেষণ করে মার্কেটের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে হোন্ডা। বার্ষিক বিক্রয়ের তথ্য অনুযায়ী হোন্ডার বিক্রয় বেড়েছে ৪৬.১ শতাংশ। এরপরের স্থানেই রয়েছে ইয়ামাহা, তাদের বার্ষিক বিক্রয় হয়েছে ৩৯.২ শতাংশ। সেই অনুযায়ী Gesits রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে তাদের বার্ষিক বিক্রয় +৪০.১ শতাংশ, এরপর রয়েছে পিয়াজিও +১৬.৮ শতাংশ এবং সবশেষ অবস্থানে রয়েছে কাওয়াসাকি +৪১.৯ শতাংশ। 

এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর রিপোর্ট অনুযায়ী ধরা হচ্ছিল ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি ৫.৪ শতাংশ গ্রো করবে এবং ২০২৩ সালে ৫.০ শতাংশ গ্রো করবে। ২০২১ এর গড় মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১.৬ শতাংশ যা ২০২২ এসে দাড়িয়েছে ৪.৬ শতাংশ। এর কারণ হচ্ছে পণ্যের দাম আগের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে। 

Also Read: অবশেষে র‌্যাব পাচ্ছে সেই ৭০টি জব্দ ২৫৫ ও ৮০০ সিসির মোটরসাইকেল

সেই সাথে তেলের দাম বাড়ে যাবার কারনে এর প্রভাবও রয়েছে। অপর দিকে ২০২৩ সালে এসে জুন পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে এবং ২০২৩ সালের শেষ দিকে যেয়ে তা ৪.০ শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ক্রেতাগণ বেশ হাত খুলেই খরচ করছেন এবং রপ্তানি আগের চেয়ে বেড়েছে। তবুও মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে বা বাড়ছে এর কারণ হচ্ছে পণ্যের দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। ২০২৩ সালে এসে ঝুকি কিছুটা নিচের দিকে নেমে গিয়েছে। 

এর কারণ হচ্ছে পুরো বিশ্বের গ্রোথ রেট কমে যাওয়া, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ইন্দোনেশিয়ার মাইক্রোইকোনমিক্স পলিসি, এবং সর্বশেষ রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের অস্থিরতা। আর এই অস্থিরতার কারণে টু-হুইলার ইন্ডাস্ট্রিতে অর্থনৈতিক অনেক প্রভাব পরেছে। যা এই বছরের শুরু দিকে বিক্রয় কমতির দিকে ছিল যা -৭.৪ শতাংশ। 

যদিও জুলাইয়ের দিকে মার্কেট আবারও দ্রুততার সাথে রিকভার করে এবং প্রথম অর্ধেকে যতটুকু ক্ষতি হয়েছিল তা দ্বিতীয় ভাগে এসে পূরণ হয়ে গিয়েছে। ২০২২ এর বিক্রয়ের দিকে যদি লক্ষ্য করি তবে দেখতে পাব যে পুরো বছরে ৫.৪ মিলিয়ন বিক্রয় হয়েছে যা মোট ভাগে +৪.৪ শতাংশ। 

অপর দিকে ভাল বিষয় হচ্ছে যে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের গ্রোথ বাড়েছে। L1 সেগমেন্টের ICE বা সমমানের যানবাহন এবং ৫০সিসির যানবাহনের বিক্রয় ৭০.৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এর সাথে L3 সেগমেন্টের ৩৯.৩ শতাংশ বিক্রয় বেড়েছে। যদিও এই তথ্য উপাত্ত আশানুরূ ভাবে কম। 

জাপানীজ মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারকরা এই মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। অপর দিকে এই মার্কেটে সবার উপরে রয়েছে হোন্ডা, যাদের মার্কেট শেয়ার হচ্ছে ৬৮ শতাংশ, যদিও গত বছর মার্কেটে মাত্র ১.৮ শতাংশ বিক্রয় বেড়েছে।

হোন্ডার পর পরই রয়েছে ইয়ামাহা +১০.২ শতাংশ এবং এরপর রয়েছে ইলেক্ট্রিক যানবাহন কোম্পানি Gesits। যদিও তারা এখনও নতুন ভাবে ইলেক্ট্রিক স্কুটার লঞ্চ করেনি, কারণ তাদের বর্তমান লাইন আপ বেশ লাভজনক অবস্থানে রয়েছে।