হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন রিভিউ
This page was last updated on 07-Jul-2024 02:49pm , By Shuvo Bangla
বাংলাদেশের কমিউটার মোটরসাইকেল সেগমেন্টে ১২৫সিসি মোটরসাইকেল দিনে দিনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আজকাল আনেক কমিউটার মোটরসাইকেল ইউজারই ১২৫সিসি ক্ষমতার ভালো ফিচারের মোটরসাইকেলের খোঁজ করেন। আর এই সেগমেন্টে আমাদের বাজারে হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ আর বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ বেশ পরিচিত মুখ। আর তাই এই মডেল দুটির উপর উৎসাহীদের প্রশ্ন ও অনুসন্ধিৎসা অনেক। আর সেকারনেই আজ আমাদের আয়োজন হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন রিভিউ। চলুন বাইক দুটোর কিছু তুলনামুলক বিস্তারিত তথ্য জানা যাক।
সিবি শাইন ১২৫ ভার্স ডিস্কোভার ১২৫ তুলনামূলক রিভিউ
বাস্তবিকপক্ষে সাধারনত কমিউটার মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের মনোযোগ বিশেষভাবে বাইকের ফুয়েল এফিশিয়েন্সির উপর নিবদ্ধ। আর সেকারনেই প্রথমে কমিউটার বাইকের ফুয়েল এফিশিয়েন্সি আর তারপর এর লো-মেইনটেন্যান্স, নির্ভরযোগ্যতা আর দীর্ঘস্থায়িত্বের কথা বিবেচনা করা হয়। তবে এখনকার দিনে অনেক কমিউটার ইউজারই তুলনামুলকভাবে বেশি ক্ষমতার আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ স্পোর্টি কমিউটার খোঁজেন। তবে তারমানে এই না যে তারা কমিউটার বাইকের মুল ফিচারগুলো হারাতে চান।
আর এধরনের প্রতিযোগীতাপূর্ণ চাহিদার বিপরীতে ১২৫সিসি কমিউটার সেগমেন্টটিই তুলনামুলক ভালো সমাধান। আর একারনেই এই সেগমেন্টটি আমাদের বাজারের সাপেক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি সেগমেন্ট। এখানে ফুয়েল এফিশিয়েন্সি আবশ্যিক ফিচারতো বটেই উপরোন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতার আধিক্যও নিশ্চিত করতে হয় এইধরনের ক্রেতা সন্তষ্টির জন্যে।
আর হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ও বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ এই বিশেষ ধরনের কমিউটার ব্যবহারকারীদের চাহিদা মেটানোর জন্যেই ডিজাইন করা। আর সেকারনেই প্রশ্ন এসে যায় আসলে কোনটা বেশি উপযুক্ত আর তা কেন? এখানে উভয় বাইকেরই বেশ ভালো কিছু দিক আর সাথে সাথে কিছু তুলনামুলক দুর্বলতা রয়েছে। আর সেকারনেই আমাদের আজকের এই তুলনামুলক আলোচনা।
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ – লুক ও ডিজাইন কম্পারিজন
আজকালকার দিনে যেকোন মোটরসাইকেলের লুক আর ডিজাইন বেশ গুরুত্বপূর্ন বিষয় আর তা ১২৫সিসি কমিউটার বাইকের ক্ষেত্রেও। আর সেকারনেই প্রস্তুতকারীরা বাজারে আলাদা চাহিদা তৈরী করার জন্যে তাদের বাইকে দৃষ্টিনন্দন আর আধুনিক ডিজাইন নিশ্চিত করে থাকে। আর লুক ও ডিজাইনের ক্ষেত্রে হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ও বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ দুটো বাইকই যথেষ্ট আকর্ষনীয় আর পরিশীলিত ডিজাইনের।
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন এ দুটো বাইকের ডিজাইনেই মোটামুটি প্রায় একই ট্রেন্ড ফলো করা হয়েছে। তবে সার্বিক অবয়ব বিবেচনায় অবশ্যই দুটো বাইকই আলাদা চেহাড়া পেয়েছে। আর লুক ও জিজাইনের ভিন্নতা মুলত: তৈরী হয়েছে বাইকদুটোর কয়েকটি অংশের ডিজাইনের ভিন্নতার কারনে।
যদিও দুটো বাইকের থিম ডিজাইন প্রায় একই তবু তাদের ফুয়েল ট্যাংক আর হেডলাইট এ্যাসেম্বলীর ভিন্ন ডিজাইনই তাদের ভিন্ন লুক নিশ্চিত করেছে। আর এই ভিন্নতা খুবই স্পষ্ট আর তা আইকনিক তো বটেই। এখানে ডিজাইনের ক্ষেত্রে হোন্ডা সিবি শাইনের হেডলাইট আর ফুয়েল ট্যাংকের ডিজাইন কিছুটা গতানুগতিক ধরনের। তবে বাজাজ ডিস্কোভার বাইকটির ডিজাইন অনেক বেশি আকর্ষনীয়।
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ – চাকা, ব্রেক ও সাসপেনশন
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন এ চাকা, ব্রেক আর সাসপেনশনের ক্ষেত্রে বলতে হয় দুটো বাইকই মোটামুটি একই ধরনের এ্যাসেমব্লী ব্যবহার করেছে। দুটো বাইকের চাকাই এ্যালয় রিমের।
তবে সিবি শাইনের রিম সাইজ ১৮” যা ডিস্কোভার ১২৫ এর ১৭” রিমের তুলনায় মোটামুটি সবধরনের রাস্তায় চলার জন্যে একটু বেশি উপযোগী। আর সিবি শাইনের টায়ার টিউবলেস হওয়ায় তা ডিস্কোভার ১২৫ এর টিউব-টায়ারের তুলনায় বেশি নিরাপদ ও আধুনিক।
আর ব্রেকিং সিষ্টেমের ক্ষেত্রেও দুটো বাইকে একই ধরনের ব্রেক রয়েছে। উভয়েরই সামনের চাকায় হাইড্রলিক ডিস্ক ব্রেক আর পেছনের চাকায় ড্রাম টাইপের ব্রেক রয়েছে। তবে বাস্তবিক অভিজ্ঞতার বিচারে হোন্ডা শাইনের ব্রেক ডিস্কভার ১২৫ এর বাইকের তুলনায় বেশী কার্যকরী।
হোন্ডা সিবি শাইন আর বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ দুটো বাইকের সাসপেনশনই মোটামুটি একই ধরনের। দুটো বাইকের সামনের সাসপেনশন টেলিস্কোপিক আর পেছনে স্প্রিং লোডেড ডাবল সাসপেনশন। তবে ডিস্কোভার ১২৫ এর পেছনের সাসপেনশন নাইট্রক্স গ্যাস চার্জ করা।
তবে আবারো বাস্তবিক চালনা অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় তুলনামুলকভাবে সিবি শাইনের সাসপেনশন মোটামুটি বেশ নরম ধাঁচের। অপরপক্ষে ডিস্কোভার ১২৫ এর সাসপেনশন যথেষ্ট স্থবির যা কিনা পেছনে ভারী পিলিয়ন নিয়ে সবসময়ে চালানোর জন্যেই বেশি উপযোগী।
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ – রাইডিং পজিশন ও অন্যান্য
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন এ উভয় বাইকই মুলত: একই ধরনের রাইডিং ফিচার সমৃদ্ধ। এখানে দুটো বাইকেরই রাইডিং পজিশন আপ-রাইট। আর সিটিং পজিশন, হ্যান্ডেলবার ও অন্যান্য কন্ট্রোলিং লিভারগুলোর অবস্থানও আপ-রাইট রাইডিং এর জন্যে সন্নিবেশিত।
দুটো বাইকেই রয়েছে হিল-টো টাইপের ডাবল আর্ম গিয়ার লিভার, শাড়ি গার্ড, সিঙ্গেল পিস গ্র্যাব-রেইল, চেইন কভার, লেগ-গার্ড প্রভৃতি। তবে এখানে ডিস্কোভার ১২৫ এর সামনের মাড-গার্ডটি তুলনামুলকভঅবে বেশি লম্বা যা কাদা-ময়লা প্রতিরোধে বেশি সহায়ক। আর অপরদিকে সিবি শাইনের হ্যান্ডেলবার সুইচগুলো ডিস্কোভার ১২৫ এর তুলনায় অনেক বেশি ভালো।
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ – স্পেসিফিকেশন কম্পারিজন
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন এ উভয় বাইকের তুলনামুলক কারিগরী আলোচনায় যাবার আগে আমরা দুটো বাইকেরই স্পেসিফিকেশন কম্পারিজন টেবিল সাজিয়েছি। আমাদের কারিগরি আলোচনায় যাবার আগে চলুন সেই তুলনামুলক টেবিলটি দেখে নেয়া যাক। আর এটা থেকে আপনারা দুটো বাইক সম্পর্কে আরো পরিস্কার ধারনা পাবেন আশা করি।
Specification | Honda CB Shine 125 | Bajaj Discover 125 |
Engine | Single Cylinder, Four Stroke, Air Cooled SI Engine | Single Cylinder, Four Stroke, Air Cooled, DTS-i Engine |
Displacement | 124.7cc | 124.6cc |
Bore x Stroke | 52.4mm x 57.8mm | Not Found |
Compression Ratio | 9.2:1 | Not Found |
Maximum Power | 7.88KW (10.57PS) @ 7.500RPM | 8.09KW (11.0PS) @ 8,000RPM |
Maximum Torque | 10.3NM @ 5,500RPM | 10.8 NM @ 5,500 RPM |
Fuel Supply | Carburetor | Carburetor |
Ignition | CDI (capacitor discharge ignition) | Not Found |
Starting Method | Electric start & Kick start | Electric start & Kick start |
Clutch Type | Wet, multiple-disc | Wet, multiple-disc |
Lubrication | Wet Sump | Wet Sump |
Transmission | 4 Speed, | 5-speed |
Dimension | ||
Frame Type | Diamond | Semi-double cradle |
Dimension (LxWxH) | 2,012mm x 762mm x 1,090mm | 2,035mm x 760mm x 1,087mm |
Wheel Base | 1,266mm | 1,305mm |
Ground Clearance | 157mm | 165mm |
Saddle Height | 787mm | 800mm |
Weight | 123Kg (Kerb) | 120.5 Kg (Kerb) |
Fuel Capacity: | 10.5 Liters | 8 Liters |
Wheel, Brake & Suspension | ||
Suspension (Front/Rear) | Telescopic / Spring Loaded Swingarm, Double | Telescopic / Spring Loaded Swing Arm, Twinshocks, Nitrox(Gas filled) |
Brake system (Front/Rear) | Front: Disk; Rear: Drum | Disk / Drum |
Tire size (Front / Rear) | Front: 80/100-18; Rear: 80/100-18; Both Tubeless | 2.75"x17"; 100/90-17" Tube Type |
Electrical & Other | ||
Battery | 12V 3Ah (MF) | Not Found |
Head lamp | 12V 35/35W | Not Found |
Speedometer | All Analog | All Analog |
Fuel Efficiency | Not Found | 82.4kmpl |
* সকল ধরনের মূল্য ও কারিগরী বৈশিষ্ট্যসমূহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন, নীতি, বিপনন কৌশল অনুযায়ী সময়ের সাথে পরিবর্তীত হতে পারে। বাইক-বিডি এধরনের পরিবর্তনের জন্য কোনভাবেই দায়ী নয়।
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ – ইঞ্জিন কম্পারিজন
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন এর দুটো বাইকের ইঞ্জিনই মোটামুটি একই ধরনের সাধারন কারিগরি বৈশিষ্ট অনুসরনে তৈরী। উভয় বাইকের ইঞ্জিনই সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফোর-ষ্ট্রোক, এয়ার-কুলড, কার্বুরেটর ইঞ্জিন।
দুটো ইঞ্জিনই দুই ভালভ বিশিষ্ট আর ডিস্কোভার ১২৫ ডিটিএস-আই তথা ডিজিটাল টুইন স্পার্ক ফিচার সমৃদ্ধ। আর অপরপক্ষে হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ সিঙ্গেল স্পার্ক প্লাগ বিশিষ্ট।
আর এখানে দুটো বাইকের ইঞ্জিনই মোটামুটি একই ডিসপ্লেসমেন্টের। তবে বাজাজ তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ডিস্কোভার ১২৫ এর সিলিন্ডার ডাইমনেশন আর কম্প্রেশন রেশিও প্রকাশ না করায় এসম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তুলনামুলক আলোচনা বাদ দিয়ে যেতে হচ্ছে।
তবে অন্যান্য স্পেসিফিকেশনে দেখা যায় দুটো বাইকের ইঞ্জিনই মোটামুটি একই পরিমান পাওয়ার ও টর্ক উৎপাদন করে। তবে এখানে ডিস্কোভার ১২৫ এর পাওয়ার আর টর্ক হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ এর তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে তা পরিমানে এতোটাই কম যে তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়েনা। আর অপরপক্ষে সিবি শাইনের ম্যাক্সিমাম পাওয়ার আউটপুটও আসে ডিস্কোভার ১২৫ এর তুলনায় কিছুটা কম আরপিএম এর মধ্যে যেটাও ধর্তব্যের মধ্যে রাখা যায় না। সুতরাং সাধারনভাবে বলা যায় দুটো বাইকেরই ইঞ্জিন পারফর্মেন্স রেটিং মোটামুটি একই।
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ – পারফর্মেন্স কম্পারিজন
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ বাইক দুটোর স্পেসিফিকেশন তুলনা করলে আপাতভাবে ধরা যায় দুটো বাইকের পারফর্মেন্সও মোটামুটি এক। তবে বাস্তবিক ও ব্যবহারিক ফলাফল বিচারে আসল চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। ব্যবহারিক ফলাফল ও চালনা অভিজ্ঞতায় দেখা যায় দুটো বাইকরে সক্ষমতা অনেকটাই আলাদা ধরনের আর সেখানেই বাইকগুলোর পারফর্মেন্সের পার্থক্য।
বাস্তবিক পাওয়ার ডেলিভারী আর ইঞ্জিন পারফর্মেন্সের সাপেক্ষে বলা যায় হোন্ডা সিবি শাইন যেকোন স্পিডে খুব পরিশিলীত আর ঝাঁকুনিবিহীন অপারেশন নিশ্চিত করে। তবে বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ এর ইঞ্জিন ততটা পরিশিলীত নয়, আর এতে যথেষ্ট ঝাকুনি অনুভুত হয়।
আর সিবি শাইনে টপ-স্পিড রাইড আর এ্যগ্রেসিভ থ্রটলিং যথেষ্ট উপভোগ্য যেটা ডিস্কোভার ১২৫ এ বিপরীত। তবে ডিস্কোভার ১২৫ এর অন্যন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর উল্লেখযোগ্য মাইলেজ। বাজাজ তাদের এই বাইকটিতে ৮২.৪কিমি/লিটার মাইলেজ দাবী করে, যা তাদের স্ট্যান্ডার্ড টেষ্টিং কন্ডিশনে নিশ্চিত হয়। আর বাস্তব রাইডিং কন্ডিশনেও ডিস্কোভার ১২৫ হোন্ডা সিবি শাইনের তুলনায় অনেকটাই বেশি মাইলেজ দেয়।
এখানে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হলো হোন্ডা সিবি শাইনের ইঞ্জিনে রয়েছে ৪-স্পিড গিয়ার বক্স আর ডিস্কোভার ১২৫ এ রয়েছে ৫-স্পিড গিয়ার। সিবি শাইনের ইঞ্জিন পাওযার আর এর সক্ষমতা এই ৪-স্পিড গিয়ারের মাধ্যমেই ডেলিভারী হয়। ফলত: এটা আনেকটাই কম্প্যাক্ট, টাইট, জোরালো আর পরিশিলীত কেননা এটা তুলনামুলক কম ক্ষমতার কমিউটার ইঞ্জিন।
অপরপক্ষে ডিস্কোভার ১২৫ এর মোটামুটি একই পরিমান পাওয়ার আর সক্ষমতা ৫-স্পিড গিয়ারের মাধ্যমে ডেলিভারী হয়। ফলশ্রুতিতে ডিস্কোভার ১২৫ ব্যবহারকারী ট্রাফিক ও রাস্তার ধরনের পরিবর্তন সাপেক্ষে ঘন ঘন গিয়ার পরিবর্তনে বাধ্য হন। আর সেকারনেই ডিস্কোভার বেশখানিকটা ধীর ও অলস বাইক মনে হতে পারে।
হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন – শেষ কথা
তো বন্ধুরা আপনারা অনেকেই হয়তো হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন এর স্পেসিফিকেশন ও ইঞ্জিনের উপর আলোচনার পর কিছুটা সংশয়ে পড়ে গেছেন। আর অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন দুটো বাইকই যদি কাছাকাছি ফিচার সমৃদ্ধ বাইক হয় তবে কেন দামের পার্থক্য আর আসলেই কোনটা কেনা উচিৎ। প্রসঙ্গত: যদিও আমরা দুটো বাইকেরই মোটামুটি সবদিক আলোচনা করে ফেলেছি তবুও হয়তো আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদের জন্যে দুটো বাইকের মধ্যে একটা শেষ দাগ টানা উচিৎ। চলুন সেই সূত্রটাই আপনাদের দেয়া যাক।
প্রথমত: আপনাদের মনে রাখা উচিৎ হবে যে হোন্ডা আক্ষরিকভাবেই সার্বিকভাবে সার্ভিস, পারফর্মেন্স, নির্ভরযোগ্যতা আর দীর্ঘস্থায়িত্বতার সুস্বমন্বয় নিশ্চিত করে। আর তাদের এই মান বিশ্বজুড়ে এই ব্র্যান্ডের আওতায় সব বাইকেই নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং প্রতিটি হোন্ডা বাইকের মূল্যমান কিছুটা আলাদা আর ক্রেতা অনেকটা বিশ্বাসের নির্ভরতায়ই এই মুল্য পরিশোধ করে ঝামেলাহীন ও নির্ভরযোগ্য সার্ভিস পাবার জন্যে।
আর অপরপক্ষে বাজাজ ডিস্কোভার সিরিজ কমিউটার মোটরসাইকেলের ডেডিকেটেড সিরিজ, যা কমিউটার মোটরসাইকেলের সকল বৈশিষ্ট্য সমূহই নিশ্চিত করে। আর অনন্য মাইলেজ, স্বল্প মূল্য, স্বল্প মূল্যের স্পেয়ার-পার্টস আর দেশব্যাপী মেইনটেন্যান্স সার্ভিস বাজাজ ডিস্কোভার সিরিজের মুল আকর্ষন ও অগ্রগামীতা। সুতরাং এখানেই তুলনামুলক ভিন্নতা যা আপনাকে আপনার প্রয়োজন ও বাজেটের সাপেক্ষে সঠিক বাইকটি পছন্দে সহায়তা করবে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের আয়োজন হোন্ডা সিবি শাইন ১২৫ ভার্স বাজাজ ডিস্কোভার ১২৫ কম্পারিজন রিভিউ। আশা করি আপনারা দুটো বাইকেরই সক্ষমতা ও দুর্বলতার তুলনায় বাইক দুটির মোটামুটি পরিস্কার চিত্র পেয়েছেন। আশা করছি আপনারা আমাদের আলোচনা উপভোগ করেছেন। আর আপনার বাইক সম্পর্কিত কোন সংশয় ও জিজ্ঞাসা থাকলে নি:সংকোচে কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাতে পারেন। আর সেই সাথে আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবসময় আমাদের সাথে থাকার জন্যে।