ফার্স্ট রাইড রিভিউ Bajaj Pulsar NS 160 - শাফায়াত হোসেন
This page was last updated on 11-Jul-2024 01:53pm , By Saleh Bangla
বর্তমানে বাংলাদেশের আলোচিত মোটরসাইকেলের মধ্যে Bajaj Pulsar NS 160 বাইকটি নিয়ে সবার মধ্যে একটি অজানা আকর্ষন রয়েছে। বন্ধু M A Amin Noor এর Bajaj Pulsar NS 160 বাইক টা টেস্ট রাইড দেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে বেশকিছু দিন। অবশেষে আজ সন্ধ্যায় সুযোগ হল টেস্ট রাইড দেয়ার, তাও আবার THROTTLER আড্ডা তে।
সিটিং পজিশন: ৮০৫মি.মি. উচু সিটিং পজিশন এর সাথে যুক্ত হয়েছে ডুয়েল পজিশন বিশিষ্ট রাইডিং সিট, বেশ প্রশস্ত যেটা কমিটার আন্ড স্পোর্টিং দুইটা পজিশন ই ইন্সিওর করে। সিট একটু শক্ত অ্যান্ড স্পোর্টি, যা মুলতো স্পোর্টস এন্ড রেসিং বাইকে দেখা যায়। কর্নারিং এবং ড্রিফট এ বেশ কনফিডেন্স দিবে এই সিটিং পজিশন । যারা একটু খাটো তাদের জন্য এই বাইক টা একটু কষ্ট বাড়াবে। থ্রটল রেস্পন্স: নেকেড, মাস্কুলার এগ্রেসিভ লুকের এর সাথে মানানসই এর থ্রটল রেস্পন্স। ১৪.৬এন.এম টর্ক ইনিশিয়ালি ভালো স্পিড দিবে যা ম্যানুয়ালি জিক্সার এর থেকে কিছুটা বেশি। ফাস্ট রাইডিং এ এর শক্তি ভালো ভাবে টের পেয়েছি। অনেক স্মুথ এক্সিলারেশন বুঝিয়ে দিয়েছে এটা ৪ ভালব এর ইঞ্জিন। নতুন বাইক হিসাব করলে ইঞ্জিন অনেক অনেক ফ্রি পেয়েছি।মাত্র ৫০ কিমি চলছে কিন্তু মনে হয়েছে ৩-৪হাজার কিমি চালানো। ড্রাগ রেস এ এন এএস ১৬০সিসি ভালো কম্পিটিটর।
<<<<See The First Impression Review of Bajaj Pulsar 160 NS In Bangladesh>>>
https://youtu.be/34HYLF6CGQI গিয়ার শিফটিং: গিয়ার রেশিও বেশ ভালো। আর দুই গিয়ার এর মাঝের গ্যাপ অনেক বেশি। ৪০০০ আরপিএম এ প্রথম গিয়ারে ২১/২২, এবং ২য় গিয়ারে ৩৫ স্পিড পেয়েছি। গিয়ায় সিফটিং স্মুথ অনেক। নতুন বাইক হিসাবে লোয়ার ইন্ড এ ভাইব্রেশন এক্সপেক্ট করেছিলাম। বাট জিরো ভাইব্রেশন। ৬ হাজার আরপিএম পর্যন্ত উঠিয়েছি, খুব ই ফিল পেয়েছি। ব্যালেন্স এন্ড কন্ট্রোল: অসাধারন ব্যালেন্স আর কর্নারিং এ কনফিডেন্স দিবে সমালোচিত এবং আলোচিত এই বাইক টি। ৫০-৫৫ স্পিড এ খুব ফিল নিয়ে কর্নার করেছি, পালসার এ এস থেকে খুব বেশি পার্থক্য পাই নাই।
সাসপেনশন: ভাঙা রাস্তা এবং স্পিডব্রেকারে ২০-৩০ স্পিড এ চালাইছি, সামনের টেলিস্কোপিক শক এবসরবার টা ভালই পার্ফমেন্স দেয় কিন্তু পিছনের টা বেশি ভালো লেগেছে। যাকি বুঝায় যাই না। হাঙ্ক এর পিছনের সাসপেনশন থেকে অনেক বেশি ভালো মনে হয়েছে বাট কেপিয়ার এর নিউ ভার্সন এর মতো লুজ মনে হয় নাই। এরোডাইনামিক ফ্রন্টকিট: ফাস্ট লুকে মনে হয়েছে হেড লাইট এর উপর উইন্ড শিল্ড থাকলে ভালো হইতো। বাট চালানোর সময় বুকে বাতাস অনেক কম বেধেছে। হাওয়ার প্রেশার বুঝায় যায় না, এর সামনের এ্যারোডাইনামিক ফ্রন্ট কিট ট্যাঙ্কির ২ পাস দিয়ে অনেক ভালো বাতাস কাটে। যেটা অনেক ভালো লেগেছে। যেখানে হাঙ্ক এর সামনের কিট মাসল বাতাস কাটার থেকে আটকায় বেশি বলে আমার মনে হয়।
>> Bajaj Pulsar NS 160 Price In Bangladesh <<
ব্রেক: ব্রেকিং সিস্টেম মোটামুটি ভালো মানের। সামনের টা অনেক ভালো কাজ করে, পিছনের ব্রেক টা এভারেজ মনে হয়েছে। বাইক এর হুইল বেজ অনেক বেশি হওয়ার ব্রেক এর ফলে গ্রাউন্ড ফ্রিকশন কম হয় বলে আমার মনে হয়েছে। কিন্তু একি সাথে একি রিমে হাইড্রোলিক ইন্সটলেশন অপশন এবং ব্রেক শু এক সাথে দেয়া আছে। যেটা আমার সব থেকে ভাল লেগেছে। ইভেন চেচিস চেম্বারের সাথে ইস্ক্রু পয়েন্ট ও করা আছে যার ফলে ৪৫০০-৫০০০ টাকা খরচ করে রেয়ার ডিস্ক ব্রেক লাগাতে পারবেন। যা আপনার ২/৩ ভাগ খরচ বাচিয়ে দিবে।
অন্যন্য: পিছনের টায়ার গার্ড টা ফাস্ট টাইম দেখলে বাকা মনে হয়। কারন গার্ড টা একপাসের ক্লাম্প দিয়ে যুক্ত, যা অনেকের কাছে খারাপ লাগতে পারে।সাউন্ড অনেক ভালো লেগেছে।এই ছিলো Bajaj Pulsar NS 160 প্রথম রাইডিং অভিজ্ঞতা। ব্রেক ইন পিরিয়ড শেষে লং রাইড এর অভিজ্ঞতা এর টপ স্পিড সহ আরো কিছু নিয়ে আসবো। এখন হরনেট এর জন্য অপেক্ষা করছি।ধন্যবাদ। লিখেছেনঃ শাফায়াত হোসেন