১০০০ টাকার মধ্যে ঢাকার আশেপাশের ৫ টি স্থান ভ্রমণ - BikeBD
This page was last updated on 01-Aug-2024 03:20am , By Raihan Opu Bangla
বাইক নিয়ে ১০০০ টাকার মধ্যে ঢাকার আশেপাশে ভ্রমণের কোন কোন জায়গা আছে , এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই থাকে। আপনি জানেন কি ১০০০ টাকা দিয়ে আপনি বেশ সুন্দরভাবে ঢাকার আশেপাশে ডে লং ট্যুর দিয়ে আসতে পারবেন। বাইকের ফুয়েল খরচ , রাস্তার খরচ , খাওয়া দাওয়া সব কিছুই ১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। যখন সময় পাবেন একেক বার একেকটা জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
১০০০ টাকার মধ্যে ঢাকার আশেপাশের ৫ টি স্থান ভ্রমণ
আজ আমরা ঢাকার আশেপাশে থাকা জায়গাগুলো নিয়ে আলোচনা করবো, যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আগামীতে বাজেটের মধ্যে সেরা ট্যুরের লোকেশনগুলা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। ট্যুর শুরু করার আগে আপনার বাইকে ভালো একটা পাম্প থেকে ৫০০ টাকার ফুয়েল নিয়ে নিন। আপনার বাইকে ৫০০ টাকার তেল নিলে বাইকের মাইলেজের উপর নির্ভর করে আপনি কমপক্ষে ১৫০ কিমি এর অধিক বাইক রাইড করতে পারবেন।
১০০০ টাকার মধ্যে ঢাকার আশেপাশের ৫ টি স্থান ভ্রমণ
১- কেরানীগঞ্জ ( Keraniganj )
কেরানীগঞ্জ অনেক বড় একটা জায়গা, কেরানীগঞ্জের মধ্যে ভ্রমণ করার মতো সুন্দর সুন্দর অনেক জায়গা আছে। যারা চান খুব অল্প সম্প্যের মধ্যে নিজেকে রিফ্রেশ করে নিতে তারা ঘুরে আসতে পারেন কেরানীগঞ্জ থেকে। গ্রামের আঁকাবাঁকা পাকা সড়ক দিয়ে বাইক রাইড করতে বেশ মজা পাবেন।
dhaka to keraniganj distance -16.5 km
শীতকালে সন্ধ্যার পর কলাতিয়া বাজারের দুধ চা , মিষ্টি পান, আলীপুর ব্রিজের চটপটি, ফুচকা , ব্রিজে উঠার আগে হাতের বামপাশের হোটেলের হালিম, এই খাবারগুলো আপনার সর্ট রাইডের আনন্দকে দ্বিগুণ করে দিবে। আপনার হাতে যদি সময় থাকে তাহলে কেরানীগঞ্জ ঘুরা শেষ করে ওইদিক দিয়ে সাভার ঘুরে আপনি বাসায় আসতে পারেন।
২- মৈনট ঘাট ( Moinot Ghat )
মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত মৈনট ঘাট সর্ট রাইডের জন্য বেশ জনপ্রিয় একটি জায়গা। আপনি যদি বছিলা ব্রিজ হয়ে মৈনট ঘাট ঘাট যান তাহলে চারপাশের রাস্তা আপনাকে রিফ্রেশ করে দিবেই। মৈনট ঘাট ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার একটি জায়গা। এপাড়ে দোহার আর ওপাড়ে ফরিদপুর। মৈনট ঘাট থেকে ফরিদপুরের গোপালপুরের স্পিড বোটে পারাপার হন মানুষ।
dhaka to moinot ghat distance -59.4 km
দুপুরে পদ্মায় গোসল সেরে নিয়ে নদীর মাছ দিয়ে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে এখানে বসে বিকালটা বেশ সুন্দরভাবে পার করে দিতে পারেন। তবে বেশি রাত না করা উত্তম, যদি অনেকে মিলে যান তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার। যদি সুযোগ থাকে এখানের জমিদার বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
৩- মাওয়া ফেরিঘাট ( Mawa Ghat )
বাজেট ট্যুরের নাম আসলে যে নামতই আমাদের মনে সবার আগে আসে সেটা হচ্ছে মাওয়া ফেরিঘাট , শীতের রাত অথবা দুপুর মাওয়া ফেরিঘাট সব সময় বাইকারদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আপনি চলে যেতে পারেন মাওয়া ফেরিঘাটে।
dhaka to mawa ghat distance - 53.4 km
যারা ইলিশ খেতে পছন্দ করেন তারা বন্ধু আপনজনকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। হাতে সময় পেলে পুরাতন ফেরিঘাট থেকে ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে আপনি বেশ ভিন্ন একটা ফিল পাবেন। পদ্ম সেতুটাও কাছ থেকে দেখে আসলেন। তবে অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রাইড করবেন, রেসিং এর জন্য এখানে যাবেন না।
৪- শ্রীনগর ভাগ্যকূল বাজার
মাওয়া ঘাট থেকে ইলিশ খাওয়া শেষ করে চলে আসতে পারেন শ্রীনগরের ভাগ্যকূল বাজারে, পদ্মার একদম পাড় ঘেঁষে ছোট্ট মিষ্টির দোকান, নাম চিত্তরঞ্জন সুইটমিট। এখানকার ঘোল অনেক বেশি জনপ্রিয়, শুধুমাত্র এই ঘোলর স্বাদ নিতে অনেকে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন।
লেবুর টুকরা ভাসে ঘোলের উপর, চুমুক দিতেই মন মাতানো লেবুর ঘ্রাণ এবং টক-মিষ্টি স্বাদ।চিত্তরঞ্জন সুইটমিটের বয়স পঞ্চাশ বছরেরও বেশি, ঘোলের পাশাপাশি মিষ্টিও পাওয়া যায় এখানে। চাইলে ঘোল নিয়ে যেতে পারেন বাড়ির জন্যও। ফেরার সময় পদ্মাপাড়ে ফুরফুরে কিছু সময় কাটিয়ে আসতে পারেন। এখান থেকে ট্রলার ভাড়া করার ব্যবস্থাও আছে।
৫- হরিরামপুর মানিকগঞ্জ
যারা সারাদিনের জন্য একটা রাইডে বের হতে চাচ্ছেন তারা ঘুরে আসতে পারেন মানিকগঞ্জ জেলায় হরিরামপুর উপজেলা থেকে। যারা নদী খুব বেশি ভালোবাসেন এই জায়গাটা তাদের অবশ্যই ভালো লাগবেই। গ্রামের আসল রূপ দেখতে দেখতে ফ্রেশ একটা বাতাস গ্রহণ করতে ঘুরে আঁশটে পারেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থেকে।
dhaka to manikganj distance - 55.0 km
হাতে যদি সময় থাকে তাহলে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এখানকার স্থানীয় হোটেলের রান্নাগুলো বেশ মজার। হোটেল দেখে খুব বেশি ভালো না লাগলে রানার স্বাদ আপনার ভালো লাগবে। মানিকগঞ্জ কিন্তু শীতকালে সরিষা খেতের জন্য অনেক বেশি জনপ্রিয়। যারা সরিষা খেতে ঘুরতে যাবেন কখনো এই জায়গাগুলো নষ্ট করবেন না।
আপনি যদি রাস্তা চিনেন তাহলে ১০০০ টাকার মধ্যে ঢাকার আশেপাশের ৫ টি স্থান ভ্রমণ করে আসতে পারেন। এতে আপনার খুব বেশি সময় লাগবে না, সকালে গিয়ে ভালোভাবে ঘুরে আপনি বিকালে ফিরে আসতে পারবেন। শীতকালে যদি আপনি এই জায়গাগুলোতে ভ্রমণে যান তাহলে বেশ সুন্দর পরিবেশ দেখতে পারবেন।