লিফান কেপিটি ১৫০ মালিকানা রিভিউ – মোহাম্মদ আলী আশরাফ খান

This page was last updated on 27-Jul-2024 12:04pm , By Saleh Bangla

লিফান কেপিটি ১৫০ সর্ম্পকে রিভিউ দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী আশরাফ খান । আমার প্রিয় বাইকার ভাইরা আমি মোহাম্মদ আলী আশরাফ খান (হিরো) কিছু দিন আগে ৪৫ বছর বয়সে পা দিলাম । আমি ইটালির ভেরোনাতে বসবাস করি কিন্তু প্রতি বছর আমি বাংলাদেশের ঢাকায় এসে প্রায় তিন মাস মত এখানে থাকি । এই সময়ে আমি সাধারনত সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনি এবং যাওয়ার আগে আমি সেটা বিক্রি করে চলে যাই । কিন্তু এই বছর আমি নতুন লিফান কেপিটি কিনি এবং সিদ্ধান্ত নেই যে বাইকটি আমি বিক্রি করব না। আজকে আমি আপনাদের আমার লিফান কেপিটি ১৫০ এর মালিকানা রিভিউ আপনাদের কাছে তুলে ধরছি ।

Lifan KPT 150 এর ফার্স্ট ইমপ্রেশন ভিডিও

Lifan-KPT-150

<<Click Here For Latest Price Of Lifan KPT 150>>

আমি জানতে পারি যে আমার (বড় ভাই) এর প্রথম বাইক যেটা ছিল ইয়ামাহা আরএক্স ১২৫সিসি – ১৯৯৮ (লিমিটেড ভার্শন) যেটা ১১৫ সিসি এর নয় । আমি নিজে নতুন বাইক সুজুকি এএক্স১০০ – ২০০১ (চায়না-জাপান) কিনি এবং প্রায় ৫৬ কি.মি. রাইড করি ২০০৬ সালে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে । আমার ১১ বছর যাবৎ যে বাইকগুলো ছিল তা হল পালসার, হাঙ্ক , এফজেড, ফেজার, জিক্সার, এইচ১০০এস সিডিআই । আমি আপনাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বোঝাতে পারব না যে আমি কেন বাইক এবং বাইকিং ভালবাসি আসলে এটা আমার রক্তের সাথে মিশে আছে যা আপানাদের সহজে বোঝাতে পারব না । হ্যা আমি বাইক ছাড়া বাচতে পারব কিন্তু মনে হবে যেন আমার লাইফে অনেক বড় একটা অংশ মিসিং আছে । আমার বর্তমানের বাইক লিফান কেপিটি যেটা কেনার জন্য আমাকে এমআরকে মামুন ভাই বলেছিলেন । lifan-kpt-150-showroom

<<Click Here For Specification Of Lifan KPT 150>>

বাইকটি কেনার প্রধান কারন হল এর ডুয়েল ডিস্ক । রাসেল ইন্ডাষ্ট্রিজ থেকে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আমি বাইকটি ২,৫০,০০০ টাকা দিয়ে কিনি । আমি ২৩ নম্ভেবরে ২০১৭ এ সরাসির রাসেল ইন্ডাষ্ট্রিজ কোম্পানি থেকে কিনি যেটা নারায়নগঞ্জে অবস্থিত । বাইকের প্রথম রাইড আমার জন্য অসাধারন ছিল , আমি এমন কিছু খুজে পেয়েছিলাম বিশেষ করে অফ রোডে যেটা আমি অন্যান্য বাইকে পাইনি। আমার বাইক ব্যবহার করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যে বাংলাদেশের সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরে বেড়ানো । hypocrite-150-reviewলিফান কেপিটি ১৫০ মালিকানা রিভিউ – ফিচারস ১. এটা ডুয়েল স্পোর্টস বাইক (অফ-অন রোড)। ২. ইএফআই ইঞ্জিন ১৫০সিসি । ৩. এলইডি হেডলাইট। ৪. ফুল এলসিডি ডিসপ্লে। ৫. বাইকটিতে হাইওয়েতে রাইড করা প্রচুর কর্ম্ফোটেবল এবং খুব মজার এই বিষয় কোন সন্দেহ নেই । বাইকটি আপনাকে ১১৫ কি.মি. পার আওয়ারে চালালেও আপনার কনফিডেন্স বজায় থাকবে । ৬. আমি ২বার সার্ভিস অলরেডি করে ফেলেছি। ৭. বাইকটির বিষয়ে আমি দেখেছি যে ২৫০০ এর আগে এভারেজ ৪৮ কি.মি. পার লিটার এবং ২৫০০ এর পর থেকে ৪৬ কি.মি. পার লিটার , শহরে ৪১+ এবং হাইওয়েতে ৫০+ মাইলেজ দেয় । ৮. ট্যুরে যাওয়ার আগে এবং পরে আমি প্রফেশনাল টেকনেশিয়ান দ্বারা আমার বাইকটিকে চেক করাই । ৯. প্রথম ০-২৯০০ কি.মি. এ আমি ৪ বার মোতুল মিনারেল এবং তার পরে আমি মোতুল ফুল সিন্থেটিক ১০ডব্লিউ৪০ মবিল ব্যবহার করি । ১০. হ্যা আমি ৩০০০ কি.মি পর ব্যাক ব্রেক প্যাড এবং ৬০০০ কি.মি. এর পর ফুল চেইন সেট ও স্পোর্কেট চেঞ্জ করি বেটার পার্ফমেন্স এর জন্য । ১১. বাইকটির টপ স্পিড প্রায় ১১৯ কি.মি. পার আওয়ার ।lifan-kpt-150-price-in-bdলিফান কেপিটি মালিকানা রিভিউ – পজিটিভ ১. বাংলাদেশের বেস্ট অফ রোড বাইক এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই । ২. লং ড্রাইভ এর জন্য সব থেকে ভাল চয়েস । ৩. ডাবল ডিস্ক এর জন্য এটা আপনাকে যথেষ্ট কনফিডেন্স দেবে রাইডিং এর সময় । ৪. স্মার্ট ফুয়েল এফেন্সি ৫. একভাবে চালানোর পরেও বাইকটা তার ক্ষমতা হারায় না, আমি ৫০০কি.মি.+ চালিয়ে দেখেছি । লিফান কেপিটি ১৫০ মালিকানা রিভিউ – নেগেটিভ ১. কালার কোয়ালিটি খুব ভাল না । ২. রিয়ার মনো সাস্পেনশন খুব হার্ড কিন্তু ২০০০কি.মি. পর এটা সফট হয়ে যায় । ৩. পিলিয়ন সিট হার্ড । ৪. স্মল টেইল লাইট ৫. গিয়ার সিফটিং হার্ড কিন্তু ১০০০কি.মি. পর এটা সফট হয়ে যায় । kpt-150-specification আমি অলরেডি কেওকারাডং, সাজেক, বরিশাল ডিভিশন, কক্সবাজার, বাশবাড়িয়া, চায়না বাধ, ময়মনসিংহ এই তিন মাসের মধ্যে ট্যুর দিয়েছি এবং ওডোতে ৬০০০ কি.মি. পার করেছি । ধন্যবাদ সবাইকে । আর সবসময় হেলমেট পরবেন বাইক চালানোর সময় । ইংরেজিতে পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন>>>>    লিখেছেনঃ মোহাম্মদ আলী আশরাফ খান