রোজা রাখা অবস্থায় লং রাইডে এই ৪ টি জিনিস অবশ্যই মেনে চলুন
This page was last updated on 31-Jul-2024 03:59am , By Ashik Mahmud Bangla
রোজা রাখা অবস্থায় নিজেদের প্রয়োজনে আমাদের অনেকেরই লং রাইড করতে হয়। এমনি সময় আর রোজা থাকা অবস্থা এই দুইটা এক জিনিস না। কারন রোজা রাখলে আপনি কোন খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না। আর বর্তমান সময়ে আবহাওয়ার অবস্থাও তেমন একটা ভালো না, প্রচুর গরম পরে। তাই রোজা রাখা অবস্থায় আপনি যখন দূরের পথে যাত্রা করবেন এই জিনিসগুলো আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
রোজা রাখা অবস্থায় লং রাইডে এই ৪ টি জিনিস অবশ্যই মেনে চলুন
১- সঠিক খাবার গ্রহণ
মনে করুন আপনি ১৩.০৪.২০২২ এ দূরের পথে বাইক নিয়ে যাত্রা করবেন, সেক্ষেত্রে আপনার রাতের সেহরি আপনার সারাদিনের খাবারের শূন্যতা পূরণ করবে। তাই যাত্রার আগের রাতে চেষ্টা করুন পুষ্টিকর খাবার খেতে। আপনার যে খাবারগুলো খেতে ভালো লাগে , সেই খাবারগুলোর পাশাপাশি আপনি ফল খেতে পারেন। যেমন খেজুর , তরমুজ , ভিটামিন সি জাতীয় খাবার ইত্যাদি গ্রহণ করুন এবং আপনার প্রয়োজন অনুয়ায়ী পানি পান করুন। আপনার শরীর যখন সুস্থ থাকবে তখন আপনি রোজা রাখা অবস্থায়ও সুন্দরভাবে রাইড করতে পারবেন। তবে দূরের যাত্রার আগের দিন অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা উত্তম।
২- সঠিক পোশাক নির্বাচন করুন
রোজা রাখা অবস্থায় হাইওয়ে রাইডে সঠিক পোশাক নির্বাচন করাটা খুব বেশি জরুরি। আপনি যদি অতিরিক্ত ভারি পোশাক পরেন তাহলে এই গরমে অতিরিক্ত ঘেমে যাবেন, এর ফলে আপনার অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চেষ্টা করুন উজ্জ্বল রঙ এর পাতলা পোশাক ব্যবহার করতে।
তবে হাইওয়ে রাইডে নিজের সেফটি অনেক বড় একটা ব্যাপার , তাই এই দিকটিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। রাইডিং এর সময় ভালোমানের হেলমেট ব্যবহার করুন এবং সেফটি গার্ড ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সিটি রাইড হউক অথবা হাইওয়ে কখনোই স্যান্ডেল পরে বাইক চালাবেন না।
৩- রাইডিং এর ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আনুন
আমরা অনেকেই রাইডিং এর সময় অকারণে নিজেদের শরীরের উপর প্রেশার দিয়ে বাইক রাইড করি। আপনি যখন রোজা রাখবেন তখন চেষ্টা করুন স্মুথ রাইড করতে। অকারণে শরীরের উপর প্রেশার দিবেন না। সবচেয়ে সেরা হয় আপনি রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে সেহরির পর ফজরের নামাজ পরে যদি যাত্রা শুরু করতে পারেন। এই সময় রাস্তা ফাকা থাকে এবং রোদের তীব্রতাও থাকেনা, তাই আপনি সহজেই অনেকটা পথ এগিয়ে রাখতে পারেন। তবে আপনি ঘুম ঘুম চোখে বাইক রাইড করবেন না।
যখন আপনি বাইক রাইড করবেন তখন চেষ্টা করুন, বাইকের একটা আইডল স্পীড ধরে রাখতে। আপনি যখন আইডল স্পীডে বাইক চালাবেন তখন আপনার শরীরের উপর প্রেশার কম পরবে।
৪- বিশ্রাম নিন
রোজা রেখে প্রচণ্ড তাপে টানা বাইক চালালে পানির পিপাসা বেশি লাগতে পারে এবং আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। তাই আপনি যখন রোজা থাকা অবস্থায় বাইক চালাবেন , যখন ক্লান্ত লাগবে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে নিন এতে করে আপনার কষ্ট কম হবে।
আমাদের একেকজনের রাইডিং স্টাইল একেক রকম, আবার একেকজনের পরিশ্রম করার ক্যাপাসিটি আলাদা। রোজার সময় অথবা এমনি সময় লং রাইডে যখন বের হবেন অবশ্যই নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখুন। সব সময় চেষ্টা করুন সুস্থভাবে নিজের গন্তব্যে পৌঁছানোর ।