বাংলাদেশে আসতে পারে ৩৫০সিসির হার্লে ডেভিডসন!
This page was last updated on 30-Jul-2024 03:42am , By Raihan Opu Bangla
বাংলাদেশের মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ ধীরে ধীরে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে। এর সাথে সাথে মার্কেটের অনেক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০০সিসির মোটরসাইকেল তৈরি হচ্ছে। যদিও সিসি লিমিটেশনের কারণে বাংলাদেশে এখনও ১৬৫সিসির বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলাচলের অনুমতি নেই।
সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে যে লিমিটেশন বাড়িয়ে ৫০০সিসি পর্যন্ত করা হবে। প্রতি বাইকারের জন্য এটি আনন্দের বিষয়। এছাড়া মোটরসাইকেল কোম্পানি গুলোও এই বিষয়ে বেশ আগ্রহী। কারণ তাদের প্রতি মডেলের উচ্চ সিসির বাইকের চাহিদা রয়েছে।
আমরাও আশা করছি যে সিসি লিমিটেশন বাড়িয়ে দেয়া হবে। এছাড়া চায়নাতে সম্প্রতি হার্লে ডেভিডসন লঞ্চ করেছে তাদের Harley Davidson X 350। বাইকটি ৩৫০সিসি সেগমেন্টে লঞ্চ করা হয়েছে।
হার্লে ডেভিডসন পৃথিবীর বিখ্যাত মোটরসাইকেল কোম্পানি। মোটামুটি সব বাইকারের স্বপ্নের বাইকের তালিকায় একটি হার্লে ডেভিডসন বাইক থাকবেই। হার্লে ডেভিডসনের মোটরসাইকেল গুলোর স্টাইল ডিজাইন সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা হয়। তাই এই বাইকের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।
Harley Davidson X 350 বাইকটি সম্পূর্ন নতুন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এই বাইকটি ডিজাইন ও ডেভলপ করেছে হার্লে ডেভিডসন এবং তাদের চাইনিজ পার্টনার QJ Motor। বাইকটি প্রথম দৃষ্টিতে একটু হলেও ক্যাফে রেসার ভাইব প্রদান করে।
এই বাইকটিতে দেয়া হয়েছে ৩৫৩সিসির টুইন সিলিন্ডার ইঞ্জিন, যা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬.২বিএইচপি এবং ৩১এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়ে থাকে। এই শক্তি ট্রান্সমিশনের জন্য এতে দেয়া হয়েছে ৬স্পিডের একটি গিয়ারবক্স।
দামের ব্যাপারে যদি বলা হয় তবে বাইকটির দাম ধরা হয়েছে চায়নাতে এর দাম হচ্ছে ৩৩,৩৮৮ ইয়েন, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫,১৫,২৫৬ টাকা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে বাইকটি বা হার্লে ডেভিডসন কি বাংলাদেশে আসতে পারে।
এর উত্তরে বলা যায় যে, হ্যা আসতে পারে তবে এখানে অনেক গুলো শর্ত প্রযোজ্য হবে। প্রথমেই হচ্ছে আমাদের রাস্তায় চলাচলের জন্য ৫০০সিসির অনুমতি এবং বিআরটিএ এর রেজিস্ট্রেশন সুবিধা। তাছাড়া আমাদের রাস্তা গুলোও উচ্চ সিসির বাইকের চলাচলের জন্য উন্নত করতে হবে।
অপর দিকে পার্টস, সার্ভিসসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে। আবার আমদানী শুল্ক, ভ্যাট এসব দিক থেকেও ছাড় দিতে হবে যাতে করে মার্কেটে বাইকের দাম হাতের নাগালের মধ্যেই থাকে।
এখন বলা যেতে পারে যে বাংলাদেশে অনেক মোটরসাইকেল কোম্পানি তাদের নিজস্ব কারখানা করেছে এবং সেই সাথে তারা উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল তৈরি করে আসছে। যদিও বাংলাদেশে তারা সেগুলো বাজারজাত করতে পারছে না।
আমরা আশা করছি যে, রাস্তায় চলাচলের অনুমিত পাবার পর রয়েল এনফিল্ড, হার্লে ডেভিডসন সহ পৃথিবীর সব বিখ্যাত মোটরসাইকেল আমরা বাংলাদেশের রাস্তায় দেখতে পাবো। ধন্যবাদ।