রানার অটোমোবাইলস তৈরি করবে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল
This page was last updated on 09-Jul-2024 09:02pm , By Saleh Bangla
দেশে প্রথম বারের মতো ১৬৫ থেকে ৫০০ সিসির মোটর সাইকেল উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে রানার অটোমোবাইলস । দেশীয় এ প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে উচ্চক্ষতার মটরসাইকেল উৎপাদন এঁর কাচামাল আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রালয়ের অনুমদন পেয়েছে । ২০১৭ সালের শুরুতে নেপালে মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করে রানার ।এবার কোম্পানির নজর ভুটান,মিয়ানমার ,ভারতের উত্তর পুর্বাঞ্চলিয় সাতটি রাজ্য এবং আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের দিকে । রানার বলছে,ওই সব দেশে রপ্তানি সম্ভাবনা বিশ্লেষন করে তারা বাজার ধরার সুযোগ দেখছে ।
রানার তৈরি করবে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল
এ জন্যই উচ্চক্ষমতার মটরসাইকেল উপাদনে যাচ্ছে তারা । রানার অটোমোবাইলস জানায় ,তারা শুরুতে ২০০ থেকে ২৫০ সিসির মোটরসাইকেল তৈরিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে । আগামি ডিসেম্বর তাদের ময়মনসিংহের ভালুকার কারখানায় এসব মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু হবে । ২০১৯ সালের গোরার দিকে তারা তা রপ্তানি শুরুর আশা করছে । এ বিষয়ে জানতে চাইলে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান তার কার্যালয়ের মাধ্যমে দেওয়া বক্ত্যব্যে বলেন ,আমরা খুবই আনন্দিত যে আমাদের আবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রালয় সারা দিয়ছে । এখন আমরা উচ্চদামের মোটরসাইকেল বাজারে প্রবেশ করবো। তিনি আরো বলেন ,আমরা এখন বাজার গবেষনা,মান নিয়ত্রন এঁর কাজ করছি । কোম্পানিটি জানায়, বানিজ্য মন্ত্রালয় গত ৩০ আগষ্ট তাদের ১৬৫ থেকে ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল উৎপাদনের কাচামাল ও উৎপাদন আমদানির অনুমতি (আইপি) দিয়েছে । এ জন্য মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে দেশের বাজারে উচ্চক্ষমতার মোটরসাইকেল ও খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রি না করার শর্ত দেওয়া হয়েছে । এটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে বানিজ্য মন্ত্রনালয় ।
২০০০ সালে রানার আমদানি করা মোটরসাইকেল দেশে বাজারজাত করতে শুরু করে । কয়েক বছর পর প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ সংযোজন শুরু করে । ২০০৭ সালে ময়মনসইংহের ভালুকায় দেশে প্রথম মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অংশ বা কম্পোনেন্ট তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে রানার । ২০১১ সালে রানার পানচিং, ওয়েল্ডিং, পেইন্টিং, এসেম্বলিং, টেস্টিং ইত্যাদি যন্ত্র স্থাপনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারী অনুমোদন পায় । আর পূর্নাঙ্গ মোটরসাইকেল তৈরির কারখানা হিসেবে রানার এর যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে । প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে; তাদের কারখানায় মোটরসাইকেল উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৫০০টি । চলতি বছরের মধ্যে তা একহাজারে উন্নিত করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে । পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে তৈরি উচ্চক্ষমতার ইউএম-রানার ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩ হাজার ৬৬৭ কোটি ডলার, যার ৮০ শতাংশের বেশি এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে । রপ্তানির পন্যের সম্ভারে নতুন যুক্ত হয়েছে মোটরসাইকেল । রানার জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি তারা নেপাল এ মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করে । ভালুকায় রানারের রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । পরবর্তী সময়ে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর দেশের বিজয় দিবসে ৮০ থেকে ১৫০ সিসির সাতটি মডেলের মোটরসাইকেল নিয়ে ব্যাপক পরিসরে নেপালের বাজারে রপ্তানি সম্প্রসারন করে রানার অটোমোবাইলস । প্রতিষ্ঠানটি জানায়, রপ্তানি শুরুর পর থেকে নেপালে তারা প্রায় তিন হাজার মোটরসাইকেল পাঠিয়েছে, যা আগামী দিন গুলোতে আরও বাড়বে । রানার অটোমোবাইলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ শর্মা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেন, আমরা আশা করছি, এ বছরের শেষ নাগাদ রপ্তানির উদ্দেশ্যে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে পারব । আগামী বছর থেকে তা রপ্তানি শুরু হবে ।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো