TVS Apache RTR 160 ১২০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - রাকিবুল

This page was last updated on 28-Jul-2024 03:33am , By Shuvo Bangla

আমি রাকিবুল ইসলাম, পেশায় একজন ছাএ। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো TVS Apache RTR 160 4V বাইকটি নিয়ে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

TVS Apache RTR 160 ১২০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - রাকিবুল

প্রায় প্রতিটি ছেলের কাছেই বাইক মানেই এক রকম ভালোলাগা ও ভালোবাসা। আমার বাইকিং ভালোলাগার একটা প্রধান কারন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমন করে বেড়ানো, বাইক ভ্রমন এ রয়েছে ফুল ফ্রিডম যেভাবে ইচ্ছা নিজের মতো ঘোরা যায়।

বেশ কয়েক মাস রিকোয়েস্ট এর পর বাসা থেকে বাইক কিনে দিতে রাজি করাতে পারি ২০২০ সালের শেষ এর দিকে। পছন্দের তালিকায় বেশ কয়েকটি বাইক থাকলেও অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ এ আমার লাইফ এর প্রথম বাইকটি টিভিএস এর শোরুম থেকে বাইকটি ক্রয় করি।

যেটা আমি মনে করি ২ লাখ টাকা বাজেট এর মধ্যে সবথেকে সেরা। এটা আমার লাইফ এর প্রথম বাইক অনুভুতি প্রকাশ করার মতো কোন ভাষা আমি খুজে পাচ্ছি না। বাইকটি পছন্দ কারার প্রথম কারন এর ইন্জিন পাওয়ার এবং এর লুকস যা এই বাজেটে অন্য কোন বাইকে আমি অন্তত খুজে পাইনি।

বাইকটিতে রয়েছে X connect ফিচার যার কারনে খুব সহযেই ব্লুটুথ ব্যবহার করে মিটার এর সাথে ফোন কানেক্ট করতে পারি যা খুবি উপকারী একটি ফিচার বলে আমি মনে করি, ফোন বাইক এর সাথে কানেক্ট থাকলে রাইড এর সময় সহযেই ফোন পকেট থেকে বের না করেই কল এবং এসএমএস দেখায় সাথে অন্যান্ন এক্সেস তো রয়েছেই।

এখনো পর্যন্ত ১২ হাজার কিলোমিটার বাইকটি চালিয়ে আমি তেমন কোন প্রকার সমস্যা ফেস করিনি, কিন্তু একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রখতে হয় সব সময়, ভেজা এবং বালি যুক্ত রাস্ততায় রেয়ার টায়র ভালোই স্কিড করে, কিন্তু বাইকটি এখনো আমায় স্কিড করে ফেলে দেয়নি বা পরে যাইনি আলহামদুলিল্লাহ।

বাইকটি নিয়ে আমি ১৪ টি জেলা ঘুরেছি কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই। অয়েল কুলড সিস্টেম থাকায় কখনো অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় নি যার কারনে কখনো পাওয়ার লছ হচ্ছে মনে হয় নি। আমার বাইকে কোন প্রকার মডিফিকেশন করি নি ( ফগ লাইট ব্যবহার করি ) এবং ব্রেক প্যাড ছাড়া আর কোন পার্টস পরিবর্তন করিনি।

বাইকটির ইঞ্জিন পারফর্মেন্স অসাধারণ স্মুথ, তেমন বড় কোন সার্ভিস ও করাতে হয়নি এখনো পর্যন্ত টুকটাক কাজ ছাড়া। যেমন ১০ হাজার কিলোমিটার পর ব্রেক প্যাড পরিবর্তন, একবার টাইমিং চেইন এডজাস্ট করা, ব্রেক এবং ক্লাচ লিভার, চেইন লুব্রিকেন্ট করা এ ছাড়া বলার মতো আর তেমন কোন সার্ভিস করাতে হয়নি এখন পর্যন্ত।

তবে হ্যাঁ সময় মত ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি TRUE4 10w30 full synthetic ইঞ্জিন অয়েলটি ব্যবহার করছি, প্রতিবার ১,৫০০ কিলোমিটার এর আগেই ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি যদিও কোম্পানি রেকমেন্ডেশন ২ হাজার কিলোমিটার । এবার আসি মাইলেজ এর কথায় আমি প্রথম থেকেই বাইকটির মাইলেজ পেয়েছি সিটিতে ৩৮ এবং হাইওয়েতে ৪০/৪১ এর মতো।

মিঠামইন রোডে বাইকটির টপ স্পিড চেক করেছিলাম যা ছিলো ১৩১ । ০ থেকে ১০০ খুব সহযেই হিট করে ফেলে তার পর একটু সময় লাগছিলো। যারা ২ লাখ টাকা বাজেটে পাওয়ারফুল ইঞ্জিন যুক্ত বাইক খুজছেন তাদের জন্য বাইকটি রেকমেন্ডেট কিন্তু ব্রেকিং এ একটু কম্প্রোমাইজ করতেই হবে। আমি এটা কে পাগলা ঘোড়ার সাথে তুলনা করবো যার তেজ প্রচন্ড কিন্তু থামানো একটু মুসকিল।

রেয়ার টায়ার স্কিডিং এর বিষয়টি যদি সাইডে রাখি এটাতে আর কোন প্রকার সমস্যা আমি খুজে পাইনি এই ১২ হাজার কিলোমিটার চালিয়ে। ধন্যবাদ ।

 

লিখেছেনঃ রাকিবুল ইসলাম

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।