বাড়িতে করোনাভাইরাস এর রোগী থাকলে যে কাজগুলো নিশ্চিত করবেন
This page was last updated on 11-Jul-2024 08:20am , By Ashik Mahmud Bangla
প্রতিদিন আমাদের দেশে করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই সময়ে আমরা যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারি। তাই আমাদের সবার জেনে রাখা ভালো বাসায় কেউ করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হলে কি কি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি সময়ে দেখা গেছে বাসায় থেকে চিকিৎসা করে অনেকেই সুস্থ হয়ে গেছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছোঁয়াচে। কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে না এলে এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে। বাড়িতে কারও করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হলে বা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে সন্দেহ হলে পাঁচটি বিষয় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। ১- আইসোলেশন বা আলাদা থাকা, ২- নিরাপত্তা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ৩- চিকিৎসা, ৪- প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ এবং ৫-পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা।
রোগীর এই পাঁচটি বিষয় নিশ্চিত করতে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেগুলো হচ্ছেঃ ১- রোগীর সাথে ফোনে বা ডিজিটাল মাধ্যমে পরিবারের সবাই যোগাযোগ রাখুন, তাঁকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন।
২- রোগীর কক্ষ ও হাঁটাচলার প্রতিদিন দুই একবার করে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। ৩- পুরো বাড়ি আবর্জনামুক্ত এবং সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখুন। ৪- বাড়ির ভেতরে রোগীর থাকার জায়গা চিহ্নিত করে আলাদা করুন। চিহ্নিত জায়গার ভেতরে পরিচর্যাকারী ছাড়া আর কেউ যাবেন না।
৫- যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং তার সেরা যিনি দিবেন উভয়েই মাস্ক ব্যবহার করুন। ৬- বাসার একটি কক্ষকে রোগীর জন্য আলাদা করে দিন। কক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত টয়লেট থাকলে ভালো। চেষ্টা করুন এমন ব্যবস্থা করতে যাতে রোগীর রুম থেকে বাইরে আসতে না হয়। ৭- রোগীর জন্য সেই কক্ষটি দিন যে কক্ষে সবচেয়ে বেশি জানালা ও আলো-বাতাসের চলাচল আছে।
৮- কক্ষটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন ও বাড়তি আসবাব, কার্পেট ইত্যাদি সরিয়ে ফেলুন। ঘরের দরজা অতি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধই রাখুন। নেগেটিভ বাতাসের প্রবাহ তৈরি করতে পারলে আরও ভালো। এ ক্ষেত্রে একজস্ট ফ্যান বা স্ট্যান্ড ফ্যান ভালো কাজে দেয়।
আরও পড়ুন > করোনভাইরাস – লকডাউন অমান্য করায় ৩৫০০ টি মামলা করলো ডিএমপি
৯- রোগীর ব্যবহৃত আবর্জনা ফেলতে ঢাকনাসহ বিন বিছানার কাছেই রাখুন। একটা পলিথিনের ব্যাগে রোগী নিজেই তাঁর ব্যবহৃত আবর্জনা ফেলবে। তবে প্রতিদিন ডাস্টবিনটা অন্য কেউ গ্লাভস পরে বাইরে নিয়ে যাবে। এই ময়লা যেখানে সেখানে না ফেলে পুড়িয়ে ফেললে সবচেয়ে ভালো হয়।
১০- রোগীর বাথরুম থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন।সবচেয়ে ভালো হয় রোগী যদি নিজের জামাকাপড় ও টয়লেট নিজেই ধুয়ে ফেলে। এই বাথরুম বাড়ির আর কারও ব্যবহার না করাই উত্তম। ১১- রোগীর বিছানার চারদিকে কমপক্ষে তিন ফুট জায়গা রাখতে পারলে খুব ভালো হয়। নিজে অথবা পরিবারের অন্য সদস্য করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হলে তাকে ফেলে দূরে সরে যাবেন না। সব নিয়ম মেনে এই আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে থাকার চেষ্টা করুন। আশাকরি এই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি আক্রান্ত হলেও ঘরে থেকে সুস্থ হয়ে যেতে পারবেন। এই কাজগুলো করার পাশাপাশি ফোনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। তথ্য সূত্রঃ প্রথম আলো