বাজাজ পালসার ১৫০ ২০১৭ এডিশন : আগের মডেলের পালসারের সঙ্গে পার্থক্য কী?
This page was last updated on 18-Aug-2024 05:09am , By Shuvo Bangla
ভারত সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, যার কথা আমরা আগের লেখায় বলেছি, ভারতের অধিকাংশ মোটরসাইকেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানই তাদের বাইকের উন্নতি করছে। বাজাজও তাদের সব বাইকে উন্নত ফিচার যোগ করেছে এবং আজ আমরা বাংলাদেশে ১৫০ সিসিতে সর্বাধিক বিক্রীত বাইক বাজাজ পালসার ১৫০-এর নতুন বাজাজ পালসার ১৫০ ২০১৭ এডিশন ও এতে নতুন কী আছে তা নিয়ে কথা বলবো।
বাজাজ পালসার ১৫০ ২০১৭ এডিশন : আগের মডেলের পালসারের সঙ্গে পার্থক্য কী?
ভারত সরকারের নতুন নীতিমালা অনুসারে সব বাইকে বিএস৪ মানের ইঞ্জিন, যা পরিবেশ বায়ু দূষণ কমাবে এবং হাইওয়েতে সহজে নজরে পড়ার জন্য এএইচও হেডলাইট যুক্ত করতে হবে আগামী এপ্রিল থেকে।
Bajaj Pulsar – Rise ofhe Mania (2001-2014)
সেই নীতিমালা বাজাজ মোটরসাইকেল তাদের পালসার ১৫০ ২০১৭ এডিশনে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে এবং সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
- ইঞ্জিনকে উন্নত করে বিএস৪ স্ট্যান্ডার্ডে নেওয়া হয়েছে।
- এএইচও (অটোমেটিক হেডলাইট অন), বিস্তারিত জানতে লিঙ্কে ভিজিট করুন
- ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয়েছে, বোর ছোটো ও স্ট্রোক লম্বা করা হয়েছে।
- ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ১৩.৮ বিএইচপি @ ৮০০০ আরপিএম শক্তি উৎপন্ন করতে পারবে (আগের মডেলের চেয়ে ১ বিএইচপি কম)
- টর্ক বেড়েছে, বর্তমানে ১৩.৪ নিউটন মিটার @ ৬০০০ আরপিএম(আগের চেয়ে ১ নিউটন মিটার বেশি)
- ইঞ্জিনের নিচের অংশ পাল্টানো হয়েছে।
- নতুন সিডিআই, বর্তমানে ৫ ম্যাপ সিডিআই (আগে ছিলো ২ ম্যাপ সিডিআই)
- আগের চেয়ে বড়ো মাফলার
এসব ছাড়াও নতুন বাজাজ পালসার ১৫০ ২০১৭ এডিশনে টিউবলেস টায়ার, ২৪০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক এবং নতুন গ্রাফিক ডিজাইন আনা হয়েছে। বাজাজের দাবি অনুসারে নতুন পালসারটি প্রতি লিটারে ৬৫ কিমি চলবে (পরীক্ষামূলক সময়ে প্রাপ্ত তথ্য)। নতুন বাইকটি তিনটি রঙে পাওয়া যাবে : নিউক্লিয়ার ব্লু, ডিনো রেড ও লেজার ব্ল্যাক।
নতুন এই পরিবর্তনের ফলে ভারতে বাইকটির মূল্য বেড়েছে। কারেন্সি কনভার্টার অনুসারে বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে থাকা পালসার ১৫০ এর তুলনায় নতুন বাইকটিতে বাংলাদেশী টাকায় ১৩-১৫ হাজার টাকা বেশি খরচ পড়বে।
Also Read: উত্তরা মোটরস লিমিটেড - Power Packed Pulsars Offer 2019
১৫০ সিসিতে বাংলাদেশে বাজাজ পালসার ১৫০ এখনো সর্বাধিক বিক্রীত বাইক। এর পিছনে কী কী কারণ রয়েছে তা জানতে কয়েকজন পালসার ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা যা জানিয়েছে তা হলো :
- ১৫০ সিসি নেকেড (এয়ার কুল্ড) বাইকের মধ্যে অন্যতম দৃষ্টি আকর্ষণী বাইক।
- অধিক গ্রাহক সন্তুষ্টি।
- খুবই ভালো প্যাকেজ, যা সব শ্রেণি ও বয়সের ব্যবহারকারীর সঙ্গে মানানসই।
- যুক্তিসঙ্গত দাম।
- দেশব্যাপী পর্যাপ্ত বিক্রয় ও বিক্রয়োত্তর সেবা কেন্দ্র (২২৫ টি সার্ভিস সেন্টার)
- অন্য কোম্পানির তুলনায় স্পেয়ার পার্টসের দাম কম।
- সহজ মেইনট্যানেন্স ও যেকোনো জায়গায় সারাই করা যায়।
- রিসেল ভ্যালুও বেশ ভালো।
নতুন বাজাজ পালসার ১৫০ ২০১৭ কবে নাগাদ উত্তরা মটরস বাংলাদেশে ছাড়বে বা দাম কতো হবে তা সম্পর্কে আমরা জানতে পারিনি। তবে বর্তমানে বাজারে প্রচলিত পালসার গুলোর দাম জানতে নিচের লিঙ্কে ঘুরে আসতে পারেন।