বাংলাদেশে যে সকল ৩৫০সিসি মডেলের মোটরসাইকেল আসতে পারে
This page was last updated on 01-Aug-2024 05:48am , By Raihan Opu Bangla
বর্তমানে বাংলাদেশের মোটরসাইকেল প্রেমীরা ৩৫০সিসি মোটরসাইকেল নিয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সবাই অপেক্ষায় রয়েছেন কবে বাংলাদেশে ৩৫০সিসির মোটরসাইকেল লঞ্চ হবে। এছাড়া প্রতিটি কোম্পানিও অপেক্ষায় রয়েছে যে কবে নাগাদ বাংলাদেশের বাইকারদের কাছে তাদের ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলটি তুলে দিতে পারবেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় যত ব্র্যান্ড রয়েছে তারা এখন চাইবে যে দ্রুত যেন তাদের মোটরসাইকেলটি বাজারে লঞ্চ করতে পারে। এতে করে বাজারে তাদের মোটরসাইকেলটি দ্রুত সবার মাঝে ছড়িয়ে যাবে।
এখন দেখার বিষয় হচ্ছে যে প্রতিটি কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের ৩৫০সিসি এর কোন মোটরসাইকেল গুলো লঞ্চ করবে। প্রতিটি কোম্পানির ৩৫০সিসি অনেক মডেল রয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব যে কোন কোম্পানি কোন মডেলটি নিয়ে আসতে পারে।
হোন্ডা
বাংলাদেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে হোন্ডা। মানুষ মোটরসাইকেল কে হোন্ডা নামেই বেশি ডেকে থাকেন। সেই হোন্ডা বাংলাদেশে ১৬৫সিসি সেগমেন্টে লঞ্চ করেছিল Honda CB Hornet 160R।
এবার হয়ত তারা Honda CB Hornet 2.0 মোটরসাইকেল মডেলটি লঞ্চ করতে পারে। মডেলটি ভারতীয় বাজারে বেশ জনপ্রিয়।
বাইকটি ১৯০সিসি, ফোর স্ট্রোক, এসআই বিশিষ্ট ইঞ্জিন। ইঞ্জিনের পাওয়া হচ্ছে ১২.৭ কিলোওয়াট @ ৮৫০০ আরপিএম এবং ১৫.৯ নিউটন মিটার অফ টর্ক @ ৬০০০ আরপিএম। বাইকটির লুকস ডিজাইন সব দিক থেকে একে এই সেগমেন্টে বেশ এগিয়ে রেখেছে।
যারা স্পোর্টস বাইক লাভার তাদের জন্য আসলে আমরা এখন কিছুই বলতে পারছি না। কারণ CBR 250 মডেল আদৌ আসবে কিনা সেটা আমরা এখনও জানতে পারিনি। এই ব্যাপারে আসলে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইয়ামাহা
জনপ্রিয়তা বা প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের কথা আসলেই ইয়ামাহা এর নাম সবার আগে চলে আসে। বাংলাদেশ প্রিমিয়াম মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ইয়ামাহার নাম সবার উপরের দিকেই থাকবে।
৩৫০সিসি মডেলের ক্ষেত্রে আমরা ধারণা করছি যে ইয়ামাহা এর Yamaha FZS 25, Yamaha Fazer 25। FZS 25 বাইকটি লুকস ডিজাইন ও পারফর্মেন্সের ক্ষেত্রে নেকেড কমিউটার স্পোর্টস সেগমেন্টে অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বলে আমরা আশা করছি।
এছাড়া Fazer 25 বাইকটিও ডিজাইন লুকস ও গ্রাফিক্সের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে বলে আমরা আশা করছি।
অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে Yamaha R3 বা Yamaha R25 এই দুটি মডলের সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আদৌ এই মডেল গুলো বাংলাদেশ আসবে কিনা তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না।
সুজুকি
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হচ্ছে সুজুকি। এছাড়া বিশ্বজুড়ের সুজুকি অনেক বড় একটি ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের কাছে Suzuki Gixxer অনেক জনপ্রিয় একটি মডেল।
আমরা ধারণা করছি যে সুজুকি তাদের এই জিক্সার সিরিজের Gixxer SF ২৫০ এবং Gixxer ২৫০ এর ২৫০ মডেল দুটি বাংলাদেশ নিয়ে আসতে পারে।
তবে সবাই সুজুকির যেই মডেলটির জন্য অপেক্ষা করে আছে সেটি হচ্ছে Suzuki V-Strom 250। এই বাইকটি ট্যুরিং সেগমেন্টের হবার কারণে বাইকটি অনেকের কাছেই আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে।
কাওয়াসাকি
কাওয়াসাকির মোটরসাইকেল বাংলাদেশের রাস্তায় খুব একটা দেখা যায় না। যদিও তাদের সেগমেন্টের ক্ষেত্রে ডার্ট বা অফ রোড মোটরসাইকেল বেশি। যার চাহিদা বাংলাদেশে কম। এছাড়া কাওয়াসাকি কম সিসির মোটরসাইকেল সেভাবে তৈরি করে না। তাই ৩৫০সিসি পারমিশনের পর আমরা আশা করছি কাওয়াসাকির কিছু মোটরসাইকেল বাংলাদেশে আসতে পারে।
এই মডেল গুলোর মধ্যে Kawasaki KLX 250 বাইকটি সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এই বাইকটি আশা সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে সবাই আশা করেছেন যে Kawasaki Ninja ZX25R বাইকটি আসবে কিনা সেই ব্যাপারে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাজাজ
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মোটরসাইকেল বিক্রয়ে দিক থেকে সবচেয়ে বেশি বিক্রয় হওয়া মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের মধ্যে অন্যতম ব্র্যান্ড হচ্ছে বাজাজ মোটরসাইকেল। বাজাজ পালসার বাইকটি বাংলাদেশে ১৫০সিসি সেগমেন্টে রেভ্যুলিউশন নিয়ে এসেছে।
আমরা আশা করছি এবার বাজাজ তাদের ৩৫০সিসি সেগমেন্টে Bajaj Pulsar N250 এবং Bajaj Pulsar 180 বাইক দুটি বাংলাদেশে লঞ্চ করবে।
কিন্তু হতাশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশের বাজাজ প্রেমীদের জন্য আপাতত কোন সুখবর দেয়া যাচ্ছে না। Bajaj Pulsar RS 200 বা ডমিনার সিরিজের কোন মডেল আসবে কিনা সেই ব্যাপারে কোন তথ্য আমরা এখনও পাইনি। তবে আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য আপনাদের জানানোর।
হিরো
মাত্র কিছু দিন আগেই ভারতে হিরো লঞ্চ করেছে তাদের এক সময়ের কিংবদন্তি মডেল Hero karizma XMR। তবে এই বাইকটি সম্পূর্ন নতুন ভাবে ভারতের বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। বাইকটির স্পোর্টি ডিজাইন ও গ্রাফিক্স একে পরিপূর্ন ভাবে স্পোর্টস বাইক হিসেবে তুলে ধরেছে। নতুন এই বাইকটি নাম রাখা হয়েছে Hero karizma XMR।
আমরা আশা করছি এই বাইকটি বাংলাদেশে লঞ্চ হবে। এর সাথে সাথে হিরো Hero XPulse 200 বাইকটি বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমরা ধারনা করছি।
টিভিএস
আরটিআর সিরিজ বাংলাদেশ সহ পুরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় একটি মোটরসাইকেল সিরিজ। সম্প্রতি বাংলাদেশে টিভিএস মোটরসাইকেল এই সিরিজের নতুন একটি মোটরসাইকেল লঞ্চ হয়েছে। যদিও বাইকটি ১৬৫সিসি সেগমেন্টে।
তবে আমরা আশা করছি যে টিভিএস তাদের স্পোর্টস মডেল TVS Apache RTR 310RR, RTR 200 মডেল গুলো বাংলাদেশে লঞ্চ হতে পারে। আপাতত আমরা এতটুকু জানতে পেরেছি। আমরা আশা করছি টিভিএস ৩৫০সিসি সেগমেন্টের অন্যান্য মোটরসাইকেল গুলো বাংলাদেশে লঞ্চ হতে পারে।
লিফান
চাইনিজ মোটরসাইকেলের মধ্যে লিফান বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোটরসাইকেল। বর্তমানে লিফানের বেশ কিছু মোটরসাইকেল বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়। তবে কেপিআর সিরিজটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।
আমরা ধারণা করছি যে ৩৫০সিসি সেগমেন্টে KP250, KP350, KPR 200, KPT 200, KPV 200, Xpact 200 এই মডেল গুলো বাংলাদেশে আসার সম্ভাবণা রয়েছে। তবে কবে নাগাদ বাংলাদেশ মডেল গুলো এভেইলেবল হবে সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না।
কেটিএম
পুরো বিশ্ব জুড়ে কেটিএম এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। নেকড স্পোর্টস বা স্পোর্টস অথবা এডভেঞ্চার যেকোন সেগমেন্টেই কেটিএম অনেক এগিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে তাদের Duke 200 এবং RC 200 বাইক আসতে পারে। আবার Duke 250 এবং RC 250 বাইক দুটিও আসতে পারে। এছাড়া এডভেঞ্চার বাইক হিসেবে Adventure 250 মডেলটির আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
CF Moto
এটিও একটি চাইনিজ মোটরসাইকেল কোম্পানি। যদিও বাংলাদেশে এই ব্র্যান্ডের পরিচিতি অনেক কম। কিন্তু তবুও উচ্চ সিসির অনেক গুলো মডেল বাংলাদেশে রয়েছে।
মডেল গুলোর ভেতর 250NK এবং 300NK এই দুটি নেকেড স্পোর্টস সেগমেন্টের মোটরসাইকেল। আবার স্পোর্টস সেগমেন্টে রয়েছে 250SR, 250SR S এবং 300SR মডেল। আমরা এখনও জানি না কোন মডেল গুলো বাংলাদেশে আসতে পারে। তবে এই মডেল গুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল আসতে পারে। CF Moto বাংলাদেশের চাইনিজ মোটরসাইকেলের বাজার কে আরও প্রতিযোগীতামূলক করবে।
এছাড়া জনটেস, টারো, জিপিএক্স, স্পীডার, বেনেল্লী, কিওয়ে সহ আরও অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারে। সময়ের সাথে এটা আমরা দেখতে পাব।
শুধু মাত্র সিকেডি করেই বাংলাদেশে উচ্চ সিসির মোটরসাইকে নিয়ে আসতে পারবেন। এছাড়া সিবিউ কন্ডিশনে উচ্চসিসির মোটরসাইকেল আনা যাবে না। তাই হয়ত দামের ক্ষেত্রে অনেক কিছুর তারতম্য আমরা দেখতে পাব।
কিন্তু এটা এখনই বলা সম্ভব নয় যে কোন মডেলের দাম কেমন হবে। আমরা আশা করব দাম অনেকটা হাতের নাগালেই থাকবে। যদিও এখানে ভ্যাট, ট্যাক্স, সহ অনেক কিছু জড়িতে আছে। তবুও আমরা এটা আশা করতে পারি যে ৩৫০সিসির মোটরসাইকেলের দাম কাস্টোমারদের হাতে নাগালেই থাকবে। ধন্যবাদ।