বরিশালের দর্শনীয় স্থান - বরিশাল বিভাগ - জানুন বিস্তারিত
This page was last updated on 28-Jul-2024 12:25pm , By Raihan Opu Bangla
বরিশালের দর্শনীয় স্থান নিয়ে আজ আমাদের এই আর্টিকেল। বরিশাল বিভাগে দেখার মতোন অনেক জায়গা আছে। কিন্তু এর মধ্যে যে জায়গাগুলো বেশি উল্লেখযোগ্য সেগুলো আপনাদের সামনে আজ তুলে ধরছি। যারা বাইক নিয়ে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তাদের কাছে বরিশালের দর্শনীয় স্থান গুলো বেশ ভালো লাগবে।
বরিশালের দর্শনীয় স্থানসমূহঃ
১- বিবির পুকুরঃ ( bibir pukur )
বরিশালের দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক ‘বিবির পুকুর’। এই পুকুরকে ঘিরেই ক্রমে প্রসারিত হয়েছে বরিশাল নগরী। বাংলাদেশের অন্য কোনো বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে এ ধরনের পুকুর নেই। এটি বরিশাল নগরীর অন্যতম সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। শতবর্ষের পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী এই পুকুরের ইতিহাস জানার আগ্রহ অনেক মানুষের।
dhaka to bibir pukur distance >> 239.0 km
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারকরা (মিশনারি) বরিশালে আসেন। জানা যায়, উইলিয়াম কেরি পর্তুগিজ দস্যুদের কাছ থেকে জিন্নাত বিবি নামের এক মুসলিম মেয়েকে উদ্ধার করে তাকে লালন-পালন করেন। পরে এক মুসলিম যুবকের কাছে জিন্নাত বিবিকে বিয়ে দেয়া হয়। উইলিয়াম কেরি জিন্নাত বিবিকে জেনেট বলে ডাকতেন।
১৯০৮ সালে জিন্নাত বিবি জনগণের পানির কষ্ট দূর করার জন্য পুকুর খননের উদ্যোগ নেন এবং এ অনুযায়ী নগরীর সদর রোডের পূর্বপাশে ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৮৫০ ফুট প্রস্থ একটি পুকুর খনন করা হয়। তখন থেকেই পুকুরটি ‘বিবির পুকুর’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
কিভাবে বিবির পুকুর ( bibir pukur ) যাওয়া যায়?
বিবির পুকুর যেতে চাইলে আপনাকে সবার আগে বরিশাল যেতে হবে। আপনি মূলত সড়ক পথে দুইটি রাস্তা দিয়ে বিবির পুকুর যেতে পারবেন। আপনি ঢাকা মাওয়া রোড দিয়ে বরিশাল যেতে পারবেন। আবার আপনি যদি চান তাহলে ঢাকা আরিচা রোড দিয়েও বরিশাল যেতে পারবেন।
যারা ঢাকা মাওয়া রোড দিয়ে যেতে চান তারা অবশ্যই আগে থেকে খোজ নিয়ে যাবেন মাওয়াতে ফেরী চলাচল করছে কিনা। বরিশাল নগরীর সদর রোডের পূর্ব পাশে অবস্থিত বিবির পুকুর।
২- ভাসমান পেয়ারা বাজারঃ ( vasoman peyara bazar )
বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর জেলার সীমান্তবর্তী কিছু এলাকা নিয়ে ঐতিহ্যবাহী পেয়ারার বাগান। আটঘর, কুড়িয়ানা, ডুমুরিয়া, বেতরা, ডালুহার, সদর এলাকার প্রায় ২৪ হাজার একর জমিতে পেয়ারার চাষ হয়। এখন আমড়া বাগানও করছেন অনেকে। মাঝেমধ্যে সুপারি বাগান। পেয়ারার উৎপাদন বেশি হয় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বর্ষাকালেই মূলত উৎপাদন বেশি।
dhaka to vasoman peyara bazar distance >> 247.7 km
পানিতে ডুবে থাকলেও পেয়ারার তেমন ক্ষতি হয় না। বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি প্রচুর পর্যটক আসেন। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পেয়ারা ও আমড়া কেনার জন্য ক্রেতা আসেন। পেয়ারার দাম কম-বেশি হয়। মণপ্রতি ৭০০-১৬০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
কিভাবে ভাসমান পেয়ারা বাজার ( vasoman peyara bazar ) যাওয়া যায়?
ঢাকা থেকে সবার আগে আপনাকে বরিশাল অথবা স্বরূপকাঠি আসতে হবে। এখান থেকে আপনি খুব সহজে ভাসমান পেয়ারা বাজার এর দেখা পাবেন।
৩- দূর্গা সাগর দীঘিঃ ( durga sagar barisal )
বরিশালের দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে ১৭৮০ খৃষ্টাব্দে চন্দ্রদ্বীপ পরগনার তৎকালীন রাজা শিবনারায়ণ এলাকাবাসীর পানির সংকট নিরসনে মাধবপাশায় একটি বৃহৎ দীঘি খনন করেন। তাঁর মা দুর্গাদেবীর নামে দীঘিটির নামকরণ করা হয় দুর্গাগাসাগর। প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিবর্তে দুর্গাসাগর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে জেলা প্রশাসন।
dhaka to durga sagar barisal distance >> 230.9 km
দুর্গাসাগরের তিনদিকে ঘাটলা ও দীঘির ঠিক মাঝখানে ৬০ শতাংশ ভূমির উপর টিলা।রাজবংশের রাজা শিব নারায়ণের প্রজাবৎসল স্ত্রী রানী দুর্গাবতী ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে বিশাল এক দীঘি খনন করে এখনো অমর হয়ে আছেন। তার নামেই এই দীঘি ” দূর্গা সাগর ” নামে পরিচিত । সাগর দিয়ে এর বিশালত্বকে বুঝানো হয়েছে। এত বড় দীঘি বরিশাল বিভাগে আর নেই।
কিভাবে দূর্গা সাগর দীঘি ( durga sagar barisal ) যাওয়া যায়?
দূর্গা সাগর দীঘি যেতে হলে আপনাকে ঢাকা থেকে বরিশালের বাবুগঞ্জে যেতে হবে। এখানে আসলে আপনি দুর্গা সাগর দীঘি দেখতে পারবেন।
৪- ফাতরার চরঃ ( fatrar char )
বরিশালের দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার অন্তর্গত বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একটি চরের নাম ‘ফাতরার চর’। যদিও বন বিভাগের নামানুসারে এর নাম ‘ফাতরার বন’। মূলত সুন্দরবনেরই একটি অংশ পটুয়াখালীর এই অংশে এসে নাম নিয়েছে ফাতরার চর।
বিখ্যাত সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটাকে চেনে না এমন কম মানুষই আছে। সেই কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর ও খাল পেরিয়ে ট্রলারে করে মাত্র এক ঘণ্টা সময় লাগে এই চরে যেতে।
dhaka to fatrar char distance >> 348.4 km
আগেই বলেছি, সুন্দরবনের একটি অংশ হচ্ছে এই চর। তাই এটিও একটি ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। দিনে দুবার এটি জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত হয়। বনে সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, গোলপাতাসহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ দেখা যায়। অজগর, গোখরা, গুই সাপের মতো সরীসৃপেরও দেখা পেতে পারেন ভাগ্য সহায় হলে। এ ছাড়া ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ডাকে আপনি বিমোহিত হবেন।
কিভাবে ফাতরার চর ( fatrar char ) যাওয়া যায়?
ফাতরার চর দেখতে হলে প্রথমে কুয়াকাটা আসতে হবে। কুয়াকাটা থেকে প্রতিদিন বেশকিছু ট্রলার জনপ্রতি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়ায় (ভাড়া সিজনের উপর নির্ভর করে) ফাতরার চরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। অথবা ট্রলার রিজার্ভ নিয়েও ২ ঘন্টায় ফাতরার বনে পৌঁছাতে পারবেন।
৫- সোনারচরঃ
পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত নয়ানাভিরাম একটি সমুদ্র সৈকতের নাম সোনারচর (Sonarchar)। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা থেকে সোনারচরের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। সাগরের মাঝে অবস্থিত সোনারচর দ্বীপের দুর্গম ও বিপদসঙ্কুল যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন সৌন্দর্য পাগল পর্যটকদের অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মেনেছে।
তাই অনেকেই প্রকৃতির রূপ দেখতে ছুটে যান সোনারচরে। চঞ্চল সাগরের ঢেউ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, সৈকত জুড়ে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ এবং জীববৈচিত্রপূর্ণ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল পর্যটকদের মোহিত করে আপন মহিমায়।
কিভাবে সোনারচর যাওয়া যায়?
সোনারচর যেতে চাইলে আপনাকে সবার প্রথমে পটুয়াখালী আসতে হবে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে পানপট্টি লঞ্চঘাট। পানপট্টি লঞ্চঘাট হতে ট্রলার কিংবা লঞ্চযোগে আগুনমুখা মোহনা হয়ে মায়াবী দ্বীপচর তাপসীর কাছে আসতে সময় লাগবে প্রায় ৩ ঘন্টা।
তাপসীর কাছে পৌঁছালেই সোনারচরকে দেখতে পারবেন। তাপসী থেকে সোনারচর যেতে প্রায় আধা ঘন্টা সময় লাগে।
৬- পানি জাদুঘরঃ ( Water Museum ) (Pani Jadughar)
পানি জাদুঘর বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত যা ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে একশন এইড নামের একটি এনজিও স্থাপন করে। বাংলাদেশের মানুষের নদী-কেন্দ্রিক জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতি তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা এলাকার এবং কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে একটি দ্বিতল ভবনে পানি জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাস-এর সহযোগিতায় কলাপাড়া উপকূলীয় জনকল্যাণ সমিতি পরিচালনা করছে এই জাদুঘরটি। পানি জাদুঘরে প্রবেশ পথের সম্মুখেই রয়েছে নদীতে বাঁধ তৈরির ফলে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তনের দৃশ্য।
বাঁধ তৈরির ফলে শুকিয়ে গেছে নদী। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য নৌকা শুকিয়ে যাওয়া নদীতে পড়ে আছে। অর্ধ বালুতে ডুবন্ত নৌকার বুকে বিধে আছে দুটি গজাল লোহা। এর মাধ্যমে নদী ও নদীমাতৃক বাংলাদেশকে খুনের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এই জাদুঘরে রয়েছে বাংলাদেশের ৭০০টি নদীর ইতিহাস, বিভিন্ন নদীর পানি, নদীর ছবি, নদীর পানির ইতিহাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশে ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চিত্রসহ বিভিন্ন তথ্য।
রয়েছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ, নদী নিয়ে গান ও পল্লী শিল্প। রয়েছে কাঁসা ও মাটির তৈরি তৈজসপত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে ৫৭টি আর্ন্তজাতিক অভিন্ন নদীর ইতিহাস রয়েছে এখানে।
৭- চর বিজয়ঃ ( char bijoy )
প্রায় ৫ হাজার একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠা নান্দনিক সৌন্দর্যের চর বিজয় দ্বীপের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৩ কিলোমিটার। এখানে রয়েছে লাল কাকড়া, হাজারো অতিথি পাখির বিচরণ আর দ্বীপের স্বচ্ছ পানিতে অসংখ্য সামুদ্রিক মাছের আবাসস্থল। এছাড়া দ্বীপের চারদিকে গোলপাতা, ছইলা, কেওড়া ও সুন্দরী গাছসহ প্রায় ২ হাজার ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের চারা লাগানো হয়েছে।
ঋতুভেদে চর বিজয়ের প্রকৃতিতে দেখা যায় নানা বৈচিত্র্যময় পরিবর্তন। বর্ষায় দ্বীপটি সাগরের জলরাশিতে ঢাকা পড়েলেও শীতকালে দ্বীপে দেখা মিলে ধু ধু বালুচর।
কিভাবে চর বিজয় ( char bijoy ) যাওয়া যায়?
ঢাকা থেকে আপনাকে কুয়াকাটা যেতে হবে। কুয়াকাটা থেকে টুরিস্ট বোটে করে চর বিজয় যেতে মাত্র দেড় ঘন্টা সময় লাগে। আর বরগুনা জেলার সোনাকাটা হয়ে চর বিজয় যেতে সময় লাগে দুই ঘন্টা।
৮- লেবুর চরঃ ( lebur bon )
লেবুর চরের শেষ প্রান্তে দাঁড়ালে সুন্দরবনের সবুজ গাছের সারি দেখা যায়। সূর্যাস্তের সময় বিস্তীর্ণ চরে আছড়ে পড়া সূর্যের সোনালি আভা চারপাশে এক মনোমুগ্ধকর অপার্থিব দৃশ্যের অবতারণ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত লেবুর চর পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীর স্থান হিসেবে পরিচিত।
কিভাবে লেবুর চর ( lebur bon ) যাওয়া যায়?
ঢাকা থেকে আপনাকে সবার প্রথমে কুয়াকাটা আসতে হবে। কুয়াকাটা থেকে আপনি আপনার বাইক নিয়ে সরাসরি লেবুর চর যেতে পারবেন।
৯- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতঃ ( kuakata sea beach )
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার ও বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার।কুয়াকাটা পটুয়াখালী সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত।
dhaka to kuakata distance >> 348.6 km
কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা "সাগর কন্যা" হিসেবে পরিচিত। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।
কিভাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ( kuakata sea beach ) যাওয়া যায়?
ঢাকা থেকে আপনি মাওয়া সড়ক দিয়ে বরিশাল হয়ে আপনার প্রিয় বাইকটি নিয়ে কুয়াকাটা চলে আসতে পারেন।
১০- মনপুরা দ্বীপঃ ( Manpura Island )
মনপুরা দ্বীপ ( Manpura Island ) বাংলাদেশের ভোলা জেলার অন্তর্গত একটি বিচ্ছিন্ন ভূমি। মনপুরা দ্বীপের পূর্ব, পশ্চিম এবং উত্তর দিকে মেঘনা নদী প্রবাহমান আর দক্ষিণ দিকে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। মনপুরা দ্বীপ থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার বিরল সুযোগ রয়েছে। এছাড়া এই দ্বীপে আছে হরিণের অভয়াশ্রম, মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশন এবং চৌধুরী প্রজেক্ট।
dhaka to manpura island distance >> 258.1 km
মেঘনা নদীর ৫০০ মিটার ভেতরে মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশনটি তৈরি করা হয়েছে। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্থানীয় মানুষজন ও পর্যটকরা এখানে সময় কাটাতে আসেন। দ্বীপের হরিণের অভায়াশ্রমের হরিণগুলো জোয়ারের সময় প্রধান সড়কের খুব কাছে চলে আসে। মাঝে মাঝে হরিণ পালের রাস্তা পার হবার জন্য বাইক থামিয়ে অপেক্ষা করতে হয়।
১১- লালদিয়া বন ও সমুদ্র সৈকতঃ ( Laldiya Forest And Sea Beach )
লালদিয়া থেকে কুয়াকাটার ( kuakata ) মাত্র ৪৫ মিনিটের পথ। লালদিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত ( Laldiya Forest And Sea Beach ) বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণে অবস্থিত। সুন্দরবনের বরগুনা ( Barguna ) অংশে অবস্থিতে হরিণঘাটার ভেতর দিয়ে ঘণ্টা দুয়েক পায়ে হেঁটে এগিয়ে গেলে লালদিয়ার বন চোখে পড়ে। লালদিয়া বনের পূর্ব দিকে বিশখালী এবং পশ্চিম দিক দিয়ে বলেশ্বর নদী বয়ে গেছে।
কিভাবে লালদিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত ( Laldiya Forest And Sea Beach ) যাওয়া যায়?
ঢাকা থেকে আপনাকে বরগুনা যেতে হবে। বরগুনা থেকে লালদিয়া বনে যাওয়ার জন্য ট্রলার এবং নৌকা ভাড়ায় পাওয়া যায়। অথবা সুন্দরবনের হরিণঘাটা দিয়ে পায়ে হেটে লালদিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত দেখতে যেতে পারবেন।
১২- শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতঃ ( shuvo shondha sea beach )
তালতলী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের সাগর তীরের মুক্ত বাতাস এবং চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিড়ির অংশ হওয়ায় সাগর পাড়ে সবুজের সমারোহের সাথে সাথে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ চোখে পড়ে। প্রচলিত সমুদ্র সৈকতের তুলনায় এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় কম থাকায় নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পর্যটকদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত।
কিভাবে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত ( shuvo shondha sea beach ) যাওয়া যায়?
বরগুনা ( Barguna District ) থেকে তালতলী উপজেলা হয়ে বাইকে চড়ে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থিত সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যায়।
কৃতজ্ঞতাঃ নয়া দিগন্ত , ভ্রমণ গাইড , বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন , এন টিভি অনলাইন , প্রথম আলো , ভ্রমণ ইনফো , উইকিপিডিয়া