ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ কিভাবে দেয়? উপকারিতা এবং কত দিন পর পর দেয়া উচিৎ
This page was last updated on 13-Jul-2024 02:20pm , By Raihan Opu Bangla
ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ নিয়ে আমাদের অনেকের ধারণা একটু কম। আবার যারা ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দিয়েছেন এদের মধ্যে অনেকেই ফ্ল্যাশ দেয়ার নিয়ম সঠিকভাবে না জানার জন্য ইঞ্জিনের ক্ষতি করে ফেলেছেন। আজ আমরা ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ কিভাবে দেয় এর উপকারিতা এবং কতদিন পর পর ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়া উচিৎ এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়া বাইকের ইঞ্জিনের জন্য ভালো কিন্তু কেউ যদি না দিতে চান তাহলে তেমন কোন ক্ষতি বাইকে হয় না। তবে ইঞ্জিন ফ্লাশের সময় যদি আপনি কোন ভুল করেন তাহলে এটি আপনার ইঞ্জিনের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে।
ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়ার নিয়মঃ
ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়ার সঠিক নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে। ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ যদি সঠিকভাবে দেন তাহলে আপনার বাইকের ইঞ্জিন আগের থেকে স্মুথ হয়ে যাবে।আপনি যখন ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করবেন ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জের সময় এই ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ ব্যবহার করুন। ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ ব্যবহার করার আগে আপনার বাইকটি সোজা করে ডাবল স্টান্ডের উপর রেখে নিন।
এরপর আপনার বাইকে থাকা ইঞ্জিন অয়েলের সাথে ৭০ থেকে ১০০ মিলি ফ্ল্যাশ অয়েল দিয়ে দিন। ফ্ল্যাশ অয়েল দেয়ার পর ইঞ্জিনটি চালু করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। যখন ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়া চলবে তখন বাইকের থ্রটল নরমাল রাখুন। এই সময় আপনি ক্লাচ ধরে গিয়ার পরিবর্তন করতে থাকুন। এভাবে ফ্ল্যাশ অয়েল দিয়ে বাইকটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন।
সতর্কতাঃ
১- ফ্ল্যাশ অয়েল দেয়ার সময় বাইকের পেছনের চাকা যেনো ঘুরতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। ২- ফ্ল্যাশ অয়েল কখনো ১০০ মিলি এর বেশি দেয়ার দরকার নাই। যদি আপনি অতিরিক্ত ফ্ল্যাশ অয়েল দেন তাহলে এটি বাইকের ইঞ্জিনের ক্ষতি করতে পারে। ৩- ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়ার সময় বাইকের আরপিএম আইডল রাখুন।
১৫ থেকে ২০ মিনিট পার হয়ে গেলে আপনার বাইকের পুরাতন ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করে ফেলুন। আপনার বাইকে যদি আলাদা ইঞ্জিন অয়েল ফিল্টার থাকে তাহলেও সেটিও পরিবর্তন করে ফেলুন। তবে ইঞ্জিন অয়েল সময় নিয়ে ড্রেন দিন। যাতে যতটুকু সম্ভব ইঞ্জিন অয়েল ড্রেন হয়ে যায়।
ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়ার পর সতর্কতাঃ
ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়ার পর আপনি যে ইঞ্জিন অয়েলটি বাইকে দিবেন ওই ইঞ্জিন অয়েলটি ৭০০-৮০০ কি.মি এর মধ্যে পরিবর্তন করে ফেলুন।
ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়ার উপকারিতাঃ
১- ইঞ্জিনের ভেতরে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। ২- বাইকের ইঞ্জিন স্মুথ করে। ৩- ইঞ্জিনের আয়ু বাড়ে। ৪- পিস্টন এবং রিং হোলগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়। ৫- টাইমিং চেন পরিষ্কার হয়, ফলে সাউন্ডে কিছুটা পরিবর্তন আসে।
কতদিন পর পর ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়া উচিৎ?
আর্টিকেলের শুরুতে বলেছিলাম ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ দেয়ার নিদিষ্ট কোন সময় নেই বা এটা দিতে হবে এমনটাও না। তবে কেউ যদি ইঞ্জিন ফ্লাশ ব্যবহার করতে চান তাহলে ১৫ থেকে ২০ হাজার কিলো পর পর ইঞ্জিন ফ্লাশার ব্যবহার করতে পারেন। হেলমেট ব্যবহার করুন, নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রাইড করুন। ধন্যবাদ