Yamaha R15 V3 ১৩,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - আতিক
This page was last updated on 31-Jul-2024 02:03am , By Shuvo Bangla
আমি নূরে ইলাহি আতিক । আমি বর্তমানে একটি R15 V3 বাইক ব্যবহার করি । এই বাইকটি বর্তমানে ১৩০০০+ কিলোমিটার রাইড করেছি । বাইকটি বগুড়া জেলাতেই অধিকাংশ সময় চালিয়েছি এবং এর পাশাপাশি ঢাকা, দিনাজপুর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ , নাটোর আরও বিভিন্ন জেলাতে গিয়েছি।
Yamaha R15 V3 ১৩,০০০ কিমি মালিকানা রিভিউ
আমার জীবনের প্রথম বাইক এটি। তাই বাইকটি আমার খুব প্রিয় । ছোট থেকেই বাইক পছন্দ করি। আর এজন্য বাইকিং ও টুরিং ব্যাপারটা একটা স্বপ্নে র মতো ছিল। তাই বাইক গ্রুপ ও বাইকিং কে ভালোবাসি। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয় Yamaha R15 V3 Monster Edition বাইকের সাথেই পথ চলা।
বাইকটি বগুড়ার অফিসিয়াল Yamaha Showroom থেকে ক্রয় করা হয়েছিল। আমার বাইকটি আমার বাবা-মাকে সাথে নিয়ে তাদের পছন্দে কেনা। কেনার পরেই প্রথমে বাইকে মাকে নিয়ে রাইড করি ।
আমি যখন ক্লাস ১০ এ পড়াশুনা করি তখন মামার কাছে বাইক চালানো শেখা। একদিন হঠাৎ বাবাকে বললাম আমি বাইক চালান শিখেছি। বাবা শুনে খুশি হন এবং তার কিছুদিন পরেই বাবা আমাকে বাইকটি কিনে দেন ।
Yamaha R15 V3 নিয়ে বলতে গেলে সবার আগে বলতে হবে এর Anti Lock Braking System (ABS) নিয়ে। ডুয়াল চ্যানেল ABS এক কথায় অসাধারণ। আমাকে যেকোন পরিস্থিতে বাইকটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি অতুলনীয়। এছাড়া বাইকটি ডুয়াল ডিক্স , ব্যালেন্সিং, ইঞ্জিন পাওয়ার লুকস এর জন্য অসাধারণ।
Yamaha R15 V3 Monster Edition | First Impression Review
বাইকটির মাইলেজ যথেষ্ট ভালো এবং এর ফুয়েল ধারণ ক্ষমতা ১১ লিটার হওয়ায় লং টুর নিয়ে বারবার ফুয়েলের চিন্তা করতে হয় না। আমার কাছে এর আকর্ষনীয় দিক হচ্ছে চাবি দেওয়ার পরে মিটারের ওয়েলকামিং ডিস্পেলে ।
LED হেডলাইট থাকায় রাতে নিশ্চিন্তে রাইড করা যায় তবে হাইওয়েতে ফগ লাইটের প্রয়োজন অনুভব করি। সামনে পেছনে টায়ারের সাইজ 100/80 এবং 140/60 হওয়ায় করনারিং এ কোন সমস্যাই নেই। এবং কর্নারিং এর সময় বাইকের ব্যালেন্স খুব ভালো পাওয়া যায় ।
পিলিয়ন সীটটি একটু অসুবিধা জনক হয়লেও এর লুকস ভালো লাগে । বাইকটিতে এভারেজ ৪০-৪৫ মাইলেজ পাওয়া যায় । এর টপ স্পীড পেয়েছি ১৩৬ এবং ৮০-৯০ স্পীডেও বাইকটি সফল ভাবে নিয়ন্ত্রনে থাকে।এছাড়া একটানা রাইড করায়ও যাত্রা পথে আমাকে স্মুথ এবং আরামদায়ক ভাবে রাইড করতে সাহায্য করেছে। কিন্তু মাঝে মাঝে লং রাইড করলে ব্যাক পেইন হয়।
আমি বেশি ভাগ সময় বগুড়ার শো-রুম এ সার্ভিস করাই । ২৫০০ কিলোমিটার আগে ৪০+ মাইলেজ পেতাম বর্তমানে ৪৫ মাইলেজ পাচ্ছি ।
আমি যত্ন নিয়ে বাইকটি ব্যাবহার করি এবং বাইক বাসা থেকে বের করার সময় মুছে পরিস্কার করে বের করি এছাড়া মাসে একবার হলেও বাইক ওয়াশ করি। ইঞ্জিন ওয়েল নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন করি । চেইনে গিয়ার অয়েল দেই যার কারনে চেইন অনেক স্মুথ থাকে ,গিয়ার সিফটিং স্মুথ থাকে রাইড করে মজা পাওয়া যায় ।
মাসে অথবা দু-তিন মাস পর পর সার্ভিস করাই । ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে ইয়ামালুব ব্যবহার করি 10w40 গ্রেডের। মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল এর দাম ৪৯৫ টাকা । বর্তমানে ইয়ামালুব এর ফুল সেন্থেটিক ব্যবহার করি নাম ১১৫০ টাকা । ইঞ্জিন অয়েলটির পার্ফরমেন্স খুব ভালো ।এখন পর্যন্ত বাইকে কোন মডিফাই করি নাই শুধু মাত্র কিছু বাইকিং গ্রুপের ইস্টিকার লাগানো আছে । বাইকটি নিয়ে লম্বা সময় বলতে বগুড়া থেকে দিনাজপুর গিয়েছি। লং রাইডে বাইকটি চালিয়ে অনেক ভালো লাগছে কোনো সমস্যা হয় নাই। লং রাইডে কোন রকম সমস্যা হয়নি পারফর্মেন্স অনেক ভালো ছিলো।
বাইকের সঠিক যত্ন নিলে, নিয়মিত সার্ভিস করলে, সব সময় ভালো ফুয়েল ব্যবহার করলে Yamaha R15 V3 বাইকটি হতে পারে আপনার দীর্ঘদিনের পথ চলার সঙ্গী। পরিশেষে বলতে গেলে বাইকটি আমার কাছে একটি ভালোবাসা।
r15 v3 price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখুন। শুধু ইয়ামাহা নয় আরো বাইকের ইউজার রিভিউ রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে। আপনাদের মূল্যবান বক্তব্য এবং r15 v3 ভালো বা খারাপ দিক আপনার কাছে কোনটা মনে হয় সেগুলো আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ নূরে ইলাহি আতিক
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।