Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R তুলনামুলক রিভিউ

This page was last updated on 28-Jul-2024 04:32am , By Saleh Bangla

ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রিমিয়াম বাইক গুলো বাংলাদেশের বাজারে আসার পর থেকেই সবার মাঝে এক উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বর্তমানে এই সেগমেন্টে ইয়ামাহা, সুজুকি এবং হোন্ডা একই সাথে প্রতিযোগীতা করছে। বাইকারদের মাঝে অনেকেই কনফিউজ হয়ে আছে কোন বাইকটি কেন উচিত এবং কেন কেনা উচিত। আসলে প্রতিটি বাইক তার নিজ নিজ জায়গায় সেরা, তাই এটা খুব কঠিন বিষয় হয়ে দায়িয়েছে কোন বাইকটি সেরা। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসছি Yamaha R15 V3 vs Suzuki GSX-R150 vs Honda CBR 150R এই তিনটি বাইকের তুলনা মূলক রিভিউ। চলুন দেখি কোন বাইকটি এই সেগমেণ্টে সেরা।

Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R তুলনামুলক রিভিউ

yamaha r15 v3 vs suzuki gsx-r150 vs honda cbr150r

মূল বিষয় শুরু করার আগে আপনি যদি r15 v3 price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল  এবং ফেসবুক ফ্যান পেজ ঘুরে দেখুন।  তাছাড়া বাইক সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।

Suzuki GSX-R150 এর ভিডিও রিভিউ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

   

Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R – ওভারভিউ

আজকের আলোচনার তিনটি বাইক একে অপরের প্রতিযোগি একই সেগমেন্টে। তবে কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে এই তিনটি নতুন বাইক ইন্দোনেশিয়ার তৈরি। আপনারা সবাই জানেন যে গত বছর থেকে থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার পর সব প্রিমিয়াম বাইক গুলো বাংলাদেশে লঞ্চ করা হয়। আর যারা ব্যক্তিগত ভাবে বাইক আমদানী করে থাকে তারা নিজেদের মত করে বাইক গুলো আমদানী করে থাকে। আর সেজন্য আন্তর্জাতিক বাজারে বাইক গুলো লঞ্চ হওয়ার পরে আমরা আমাদের দেশে কিছু দিনের মধ্যেই পেয়ে থাকি।

তবে Yamaha R15 V3 ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশে এবারই প্রথম লঞ্চ করা হয়। আপনারা সবাই জানেন যে Yamaha R15 সিরিজটি বাংলাদেশের প্রিমিয়াম বাইক সেগমেন্টে অনেক বেশি জনপ্রিয়। ২০০৮ সাল যখন প্রথম বারের মত Yamaha R15 লঞ্চ করা হয় ঠিক তখন থেকেই এই সিরিজটি বাংলাদেশের রাস্তায় রাজত্ব করে চলেছে। আর এ কারণেও Yamaha R15 v3 লঞ্চ হওয়ার পর বাংলাদেশের বাইকাদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। আমাদের তালিকার দ্বিতীয় বাইকটি হচ্ছে Suzuki GSX-R150। 

বর্তমানে এই বাইকটি বাংলাদেশের দ্রুত গতির, হালকা এবং এগ্রেসিভ বাইকের মধ্যে অন্যতম। গত বছরের শেষ দিকে ইন্দোনেশিয়াতে বাইকটি লঞ্চ করা হয়। এই বছরের মার্চ থেকে বাইকটি বাংলাদেশে এভেইলেবল হয়। আপনারা সবাই জানেন যে হোন্ডা সাইলেন্ট কিলার হিসেবে পরিচিত। তাই আমাদের এই আলোচনাতে Honda CBR150R সাইলেন্ট কিলার বাইকটি নিয়ে আলোচনা করব। এই বাইকটি ২০১৬ সালে বাংলাদেশে লঞ্চ করা হয়। আমদের দেহসের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বাইকটি লঞ্চ করা ছিল এক গ্রান্ড ওপেনিং। 

আসলে পারফর্মেন্স ও লুকস দুটো দিক দিয়েই বাইকটি সমান তালে এগিয়ে ছিল। আর এজন্যই আমরা আজকের এই তুলনামূলক রিভিউতে আপনাদের জন্য আমরা নিয়ে এসছি Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R রিভিউ। আপনারা জানেন সব বাইক গুলো বাইকই কোয়ালিটি, পারফর্মেন্স এবং ফিচারের দিক থেকে প্রায় একই রকম। তারপরও এদের মাঝে কিছু পার্থক্য থেকেই যায়। আর সেই দিক গুলো নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। 

yamaha r15 v3 vs suzuki gsx r150 vs honda cbr150r looks design comparison

Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R – লুকস ও এপিয়ারেন্স

যে তিনটি বাইক মানে Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R – Look & Appearance এই তিনটি বাইক হচ্ছে স্ট্রীট স্পোর্টস বাইক। প্রতিটি বাইক ফুল ফিয়ারড এবং এরো-ডায়নামিক বডি কিট দিয়ে আবৃত। আর এখানেই প্রতিটি বাইক প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ের। প্রতিটি বাইকের ডিজাইন এবং ফিচার ও ক্যাটাগরি প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ের। এখানে R15 V3 বাইকটির লুকস কিছুটি বড়। তবে মজার বিষয় হচ্ছে বাইকটির এপিয়ারেন্সর দিক থেকে Yamaha YZF-R6 এর মত দেখতে। 

বাইকটির রয়েছে ডুয়েল হেডল্যাম্প এবং ফোর পিট এলইডি হেডল্যাম্প এসেম্বল করা। ফ্রন্ট প্যানেল অনেক প্রশস্ত এবং সাথে বড়সর উইন্ড টানেল দেয়া হয়েছে। তবে রিয়ার পার্ট অনেক বেশি গর্জিয়াস করে তৈরি করা হয়েছে। প্রশস্ত সিট, ভেন্ট রিয়ার প্যানেল এবং ১৪০মিমি এর রিয়ার টায়ার দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে Suzuki GSX-R150 অনেক স্লিম ও ফুল ফিয়ারড বাইক। আমরা আগেই বলেছি এই বাইকটি অনেক বেশি স্লিম ও ওজনে কম। বাইকের ওজনের দিকে লক্ষ্য রেখে এই বাইকের ডিজাইন করা হয়েছে। যতটুকু সম্ভব এর ওজন কমানো যায় সব দিক থেকে এর ওজন কমানো হয়েছে। আর এই দিক দিয়ে বাইকটি দেখতে অনেক তীক্ষ্ম ও অনেক বেশি এগ্রেসিভ দেখা যায়। 

অপরদিকে Honda CBR150R এর ইন্দোনেশিয়ান ভার্সন এগ্রেসিভ ও পোলাইটনেস দুটো দিক থেকেই সমৃদ্ধ। এর লুকস অনেক গর্জিয়াস এবং তীক্ষ্ম। এর ডাবল পিট তীক্ষ্ম হেড ল্যাম্প এসেম্বল করা। বাইকটির কালার ডুয়েল প্যানেলাইজড স্কিম করে তৈরি করা। সিট অনেক প্রশস্ত এবং রিয়ার অনেক বেশি তীক্ষ্ম। এর সাথে এলইডি টেল ল্যাম্প এবং টায়ার ফিন্ডার দেয়া হয়েছে। সর্বোপরি এর লুকস অনেক বেশি তীক্ষ্ম ডিজাইন যা হোন্ডা ইন্দোনশিয়া তৈরি করেছে। 

yamaha r15 v3 vs suzuki gsx r150 vs honda cbr150r wheel brake suspension

Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R – চাকা, ব্রেক এবং সাসপেনশন

এই তিনটি বাইকের চাকা, ব্রেক ও সাসপেনশনের দিকে থেকে প্রায় একই রকম। তিনটি বাইকের চাল এলয় এবং টিউবলেস টায়ার। তবে সুজিকি জিএসএক্স-আর এর ফ্রন্ট টায়ার কিছুটা চিকন ইয়ামাহা ও হোন্ডার থেকে। অন্যদিকে Yamaha R15 V3  এর রিয়ার টায়ার অন্য দুটি বাইকের থেকে একটু বেশি মোটা। তাই বলা যায় টায়ারের দিক থেকে R15 V3 অন্য দুটি বাইক CBR150R এবং GSX-R150 এর চেয়ে এগিয়ে থাকবে। 

এখন আসি ব্রেকের কথায় যদি আসি তবে এখানেও Yamaha R15 V3 সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে। R15 V3 এর ফ্রন্ট টায়ার হচ্ছে আপ সাইড ডাউন টেলিস্কোপিক শক এভজরভার এবং রিয়ার হচ্ছে মনোশক সাথে লিংক টাইপ এসেম্বল করা। অন্য দুটি বাইকের ক্ষেত্রে CBR150R এবং GSX-R150 একই ধরনের মনোশক এসেম্বল করা হয়েছে। কিন্তু তাদের ফ্রন্ট টায়ারের ক্ষেত্রে টেলিস্কোপিক শক এভজরভারটি ইউসডি টাইপ দেয়া হয়নি। 

এখানে আমরা আবারো বলছি যে তিনটি বাইকই তাদের শক্তি ও সার্মথ্যের দিক থেকে একই রকম। কিন্তু আপডেট ফিচার ও কনফিডেন্সর দিক থেকে R15 V3 অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে। অন্য বাইক দুটি বাইক একই পজিশনে থাকবে। 

yamaha r15 v3 vs msuzuki gsxm r150 vs honda cbr150r riding controlling

Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R – রাইডিং এবং কন্ট্রোলিং

বাইকের রাইডিং এবং কন্ট্রোলিং হচ্ছে বাইকের অন্যতম ফিচার। যদিও বাইকটি এগ্রেসিভ ও স্পোর্টি করে তৈরি করা হয়। বাইকের রাইডিং এবং কন্ট্রোলিং এর দিক থেকে তিনটি বাইকে কিছু দিক থেকে এগিয়ে আবার কিছু দিক থেকে উইকনেস ও আছে। তিনটি বাইকের সিট প্রশস্ত ও ক্লিপ টাইপ রেসিং হ্যান্ডেল বার। ফুট পেগ এবং অন্যান্য কন্ট্রোল লিভার রেসিং স্টাইল পজিশনে সেট করা। যদি এরেঞ্জমেন্ট ও রাইডিং পজিশনের কথা চিন্তা করা হয় তবে Honda CBR150R অনেক বেশি আরামদায়ক। এর কন্ট্রোলিং অনেক বেশি সহজ। যদিও বাইকটি ব্লাকি নয় আর অনেক বেশি ওজন নেই। 

এছাড়া পিলিয়ন সিট অনেক বেশি উচু নয়। তাই অন্য দুটি বাইকের চেয়ে পিলিয়ন নিয়ে রাইড করা অনেক বেশি আরামদায়ক। অপর দিকে রাইডিং এবং কন্ট্রোলিং এর হিসেবে CBR150R পরের স্থানেই আছে Suzuki GSX-R150। এই বাইকটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ওজন অনেক কম এবং বডির ডিজাইন অনেক স্লিম করে তৈরি করা। কিন্তু পিলিয়ন নিয়ে রাইড করাতা একটা বড় সমস্যা রাইডার এবং পিলিয়নের জন্য। বাইকটি সোলো রাইডিং এর জন্য অনেক আরামদায়ক। এর কম ওজনের কারনে হাইওয়েতে চলার সময় ভালো কনফিডেন্স দেয় না। 

এখন আসি Yamaha R15 V3 এর ক্ষেত্রে রাইডিং এবং কন্ট্রোলিং এর দিক থেকে CBR150R এবং GSX-R150 এদের মাঝামাঝি অবস্থান করে। এর রাইডিং কোয়ালিটি অনেক কমফোর্টেবল এবং কন্ট্রোলিং GSX-R150 এর থেকে ভারী ও ব্লাকি। যদিও এর টার্নিং রেডিয়াস অনেক বেশি তারপর ও খুব সহজে এবং আরামদায়ক। এর প্রশস্ত হ্যান্ডেল বার, প্রশস্ত টায়ার ও হেবি সাসপেশন এর ইম্প্রেশনকে অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলেছে। বাইকটি হাইস্পিডে অনেক বেশি কনফিডেন্স দেয়। 

yamaha r15 v3 vs suzuki gsx r150 vs honda cbr150r engine specification comparison review

Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R – স্পেসিফিকেশন কম্পারিজন

যদিও এই তিনটি বাইক প্রিমিয়াম সেগমেন্টের। কিন্তু প্রতিটি বাইকের গঠন ও তৈরি করা হয়েছে আলাদা আলাদা ভাবে। প্রতিটি বাইকের নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

SpecificationYamaha YZF R15 V3Suzuki GSX-R150Honda CBR150R (Indo)
EngineSingle Cylinder, Four Stroke, Liquid Cooled VVA EngineSingle Cylinder, Four Stroke, Liquid Cooled EngineSingle Cylinder, Four Stroke, Liquid Cooled Engine
Displacement155.1cc147.3cc149.16cc
Bore x Stroke58.0mm x 58.7mm62.0mm x 48.8mm57.3mm x 57.8mm
Compression Ratio11.6 ± 0.4 : 111.5:111.3:1
Valve SystemFour valve with single overhead VVA camshaft (SOHC)4-valve with dual overhead VVA camshaft (DOHC)Four valve with double overhead camshaft (DOHC)
Maximum Power19.06BHP (14.4KW) @ 10,000RPM18.93 BHP (14.1KW) @ 10.500RPM16.9 BHP (12.6KW) @ 9000RPM
Maximum Torque14.7NM @ 8,500RPM14.0NM @ 9,000RPM14.4 NM @ 7000RPM
Fuel SupplyFuel InjectionElectronic Fuel InjectionECU controlled  (PGM-FI) Fuel Injection
IgnitionT.C.IElectronicFull Transistorized
Clutch TypeWet Type Multi-Plate Clutch; Assist & Slipper ClutchWet Type Multi-Plate ClutchWet Type Multi-Plate Clutch
Starting MethodElectric Start
Air Filter TypePaper Air Filter
Transmission6 Speed, Pattern 1-N-2-3-4-5-6
Dimension
Frame TypeDelta BoxDiamondDiamond (Truss) Frame
Dimension (LxWxH)1,990mm x 725mm x 1,135mm2,020mm x 700mm x 1,075mm1983mm x 694mm x 1038mm
Wheel Base1,325mm1,300mm1311mm
Ground Clearance155mm160mm166mm
Saddle Height815mm785mm787mm
Kerb Weight137Kg131Kg (Kerb)135Kg
Fuel Capacity:11 Liters11 Liters12 Liters

Suspension (Front/Rear)Telescopic Fork (Inverted) / Link MonoshockTelescopic Fork/ Mono SuspensionTelescopic / Spring loaded hydraulic type (Monoshock
Brake System (Front/Rear)Both Hydraulic Disk Brake
Tire Size (Front / Rear)100/80-17M/C 52P; 140/70-17M/C 66S; Both TubelessFront: 90 / 80-17 (TL) Rear: 130 / 70-17 (TL) Both TubelessFront: 100/80-17 Rear: 130/70-17 Both Tubeless

BatteryGTZ4V/YTZ4V12V (MF)12V 5AH (MF)
Head lampLED Headlamp (Four Pit, Double Unit)Single Pit LED With Double DRLFull LED Six Pit (Double Unit)
SpeedometerFull Digital with Digital Rev CounterDigital with Digital Rev CounterFull Digital with Digital Rev Counter
Fuel Efficiency **+/-40kmpl+/-35kmpl+/-42 kmpl
Top Speed**+/-147 kmph+/-152 kmph+/-142 kmph

 

yamaha r15 v3 vs suzuki gsx r150 vs honda cbr150r engine performance

Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R – ইঞ্জিন ও পারফর্মেন্স

আপনারা সবারি জানেন যে বাইক দেখতে যতই কিছুই হোক না কেন। এর ইঞ্জিন ও পারফর্মেন্স এর উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে থাকে। তবে Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R – Engine & Performance এই বাইক গুলো প্রতিটি বলা যায় সব দিক থেকে এক রকম। যদিও কিছু কিছু জায়গাতে কোনটি একটু এগিয়ে আছে। যদি Yamaha R15 V3 এর ইঞ্জিন নিয়ে বলি তবে দেখা যায় যে, এর ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি বেশি অন্য দুটির চেয়ে। এর ইঞ্জিনটি স্কয়ার ও কম্প্রশন রেশিও বেশি। 

এছাড়া VVA ভাল্ব উচ্চ আরপিএম এর সাথে স্লিপার ক্লাচ যুক্ত হয়ে এর ইঞ্জিন কে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে। তবে এর মাইলেজ ও এক্সেলারেশন এর দিক থেকে পারফর্মেন্স আরো বেড়ে গিয়েছে। সত্যিকার অর্থে ইঞ্জিনের সাইজ, এর ক্ষমতা, ক্লাচ এবং VVA সব কিছু মিলিয়ে এর ইঞ্জিনটিকে অসাধারন করে তুলেছে। এরপরের স্থানেই আছে Suzuki GSX-R150 ইঞ্জিন। এর ইঞ্জিনটি DOHC ইঞ্জিন হওয়াতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা ও টর্ক উতপন্ন করতে সক্ষম। ক্ষমতা ও টর্কের দিক থেকে এটি প্রায় R15 V3 এর সমপর্যায়ের। 

তাছাড়া এটি দ্রুত গতির, এক্সেলারেশন বেশি এবং স্মুথ। কিন্তু হাই স্পিডে ভালো কনফিডেন্স দেয় না। কিন্তু বাইকটি ওজনে অনেক হালকা। এর হালকা ওজনের কারনে হাইস্পিডে বাইকটি অনেক বেশি রিস্কি। সবশেষে আছে Honda CBR150R এর ব্যালেন্সড ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটি মাইলেজ, পাওয়ার, ও কনফিডেন্স এর দিক থেকে সব কিছুতেই ব্যালেন্সড করা হয়েছে। এর ইঞ্জিনটি DOHC স্কয়ার ইঞ্জিন। যা ইঞ্জিনের ক্ষমতা এবং এক্সেলারেশন অনেক স্মুন্থ করেছে। তবে ইঞ্জিনের বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভালো মাইলেজ দেয়। হাইওয়েতে বা হাইস্পিডে এর কনফিডেন্স সামান্য কমে যায়। তবে সত্যিকার অর্থেই Honda CBR150R সাইলেন্ট কিলার। 

yamaha r15 v3 vs suzuki gsx r150 vs honda cbr150r

Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R – শেষ কথা

রাইডার্স আমাদের আজকের তিনটি বাইক লেটেস্ট ফিচার এবং প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। কিন্তু মার্কেটে তারা নিজেদের জায়গা নিজেরাই দখল করে নেবে। তাদের প্রযুক্তি আর ফিচার দিয়ে ইতিমধ্যে সবার নজর কেড়েছে। এখানে Yamaha R15 V3 পুরোপরি ভাবে ক্ষমতা, কন্ট্রোল এবং কনফিডেন্স এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। বাইকটি ইয়ামাহার সকল বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে। 

এছাড়া এর ইঞ্জিনে VVA প্রযুক্তি যুক্ত হওয়াতে এরমাঝে এক ধরনের রেসিং অনুভূতি পাওয়া যায়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা Suzuki GSX-R150 এর ডিজাইন এগ্রেসিভ স্পোর্টি করে তৈরি করা হয়েছে। যদিও স্পিডের দিকে খেয়াল রাখা হয়েছে তবে এক্সেলারেশন ও স্পিডের দিকে লক্ষ্য রেখেই বাইকটি ডিজাইন করা হয়েছে। আপনি যদি একজন স্পিড লাভার হন এবং একা রাইড করতে ভালোবাসেন তবে এই বাইকটি আপনার জন্য। সবশেষে রয়েছে Honda CBR150R যাকে বলা যায় Yamaha R15 V3 এর অন্য একটি অপশন। এর রাইডিং, কন্ট্রোলিং এবং স্পিড সব কিছু মিলিয়ে বাইকটি অসাধারন। 

যদিও স্পিডের দিক থেকে একটু এক্সেলারেশন কম মনে হতে পারে। তবে সেটা রাইডারের উপর অনেকখানি নির্ভর করে। সর্বোপরি বলতে চাই যে, আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের কাছে এই তিনটি বাইক সম্পর্কে তুলে ধরার। আশা করছি আপনারা আমাদের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন এই তিনটি বাইকের সম্পর্কে। আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোন ধরনের অভিজ্ঞতা থাকে তবে আমাদের সাথে শেয়ার করুন। আমরা আমাদের আজকের Yamaha R15 V3 VS Suzuki GSX-R150 VS Honda CBR150R আলোচনা এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।