Yamaha FZS V2 ৫০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - আরিফ হোসেন

This page was last updated on 21-Nov-2023 03:58am , By Shuvo Bangla

আমি আরিফ হোসেন সাকিব। থাকি রানিরহাট চট্রগ্রাম । আমি একটি Yamaha FZS V2 বাইক ব্যবহার করি । এটাই আমার জীবনের প্রথম বাইক । আজ আপনাদের সাথে আমার বাইকের মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো ।

Yamaha FZS V2

Yamaha FZS V2 ৫০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - আরিফ হোসেন


এই বাইক দিয়েই আমি বাইক চালানো শিখেছি । এটি আমার আব্বুর বাইক । বেশির ভাগ সময়ই রাঙ্গামাটি , কাপ্তাই , খাগড়াছড়ি এই জায়গা গুলো তে চালানো হয়। বাইরের জেলাগুলোতে কখনো যাওয়া হয়নি। সর্বমোট এই বাইকটি আমি ৫০০০ কিলোমিটারের অধিক চালিয়েছি।

Yamaha FZS V2

Yamaha FZS V2 বাইকের কিছু ভালো দিক -

  • ECO মুডে চালালে ৫০+ মাইলেজ পাওয়া যায়
  • মোটা টায়ারের কারণে কর্নারিং এর সময় ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যায়
  • স্পিড ৭০+ হওয়ার পর ইঞ্জিন স্মুথ হয়ে যায় তখন আরে পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পায়
  • লং টাইম ব্যবহার করার পরেও ইঞ্জিনের সমস্যা দেখা দেয় না

Yamaha FZS V2 বাইকের কিছু খারাপ দিক -

  • বাইকের দাম তুলনামূলক বেশি
  • বাম্পার থাকা দরকার ছিল
  • মাইলেজ আস্থে আস্থে কমতে শুরু করেছে ফিল হচ্ছে
  • পেছনের ব্রাক কম কাজ করে
  • হেডলাইটের আলো কম
  • বল রেসার দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়

Yamaha FZS V2

২০১৮ সালে বাইকটা মোট ২ লাখ ৭১ হাজার টাকা দিয়ে Yamaha Showroom থেকে বাইকটি ক্রয় করা হয়েছিল যা আমার মতে প্রাইজ বেশি মনে হয়েছে । এখন ডিক্স ভার্ষনের দাম ২ লাখ ১০ হাজার টাকা যা ২ লাখের নিচে হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি ।

বাইকের সাথে যে স্টক বাম্পার দেওয়া হয় তা ১০০% গাড়িকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম নয় । বাইক ডান পাশে পড়ে গেলে ইঞ্জিন থেকে যে পাইপ সাইলেন্সার এ গেছে তা বাকা হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

Yamaha FZS V2

বাইকের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মাইলেজ একটু কমে যেতে পারে । পিছনের ব্রেকের ফিডব্যাক তুলনামূলকভাবে কম। ব্রেক টাইট করে দিলে টপ স্পিড কমে যায় লুস করে দিলে ব্রেক ধরেইনা। কম সময়ে বল রেসার নষ্ট হয়ে যায় ও সামনের হেডলাইটের আলো যথেষ্ট নয়।

ভালো করে যত্ন নিয়ে রাইড করলে  বাইকটি এক লাখেরও বেশি কিলোমিটার পর্যন্ত কোন সমস্যা ছাড়াই চালাতে পারবেন বলে আমি মনে করি । ইয়ামাহা বাইক দীর্ঘ দিন ব্যবহার করা যায় । সব দিক মিলিয়ে বাইকটি খুবই কম্ফোর্টেবল । লং রাইড দেওয়ার পর শরীরের উপর চাপ পড়বে না।

মডিফিকেশন এর মধ্যে আমি ৪ টা ফ্লাস এন্দিকেটর লাগিয়েছি যা বাইকটিকে দেখতে আরো আকর্ষণীয় করে তুলে। স্টক বাম্পার খুলে Fz-s V3 এর বাম্পার লাগিয়েছি। MRF এর চাকা ব্যবহার করি সামনে ১০০ সেকশন পিছনে ১৪০ সেকশন। মোট ১০ বার সার্ভিস করিয়েছি।

Yamaha FZS V2

২ বার টায়ার পরিবর্তন করিয়েছি। ১ বার সম্পূর্ণ লক সেট পরিবর্তন করেছি। ১বার চেসিস বুস পরিবর্তন করেছি। ২ বার চেইন সেট পরিবর্তন করেছি । ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি Visco 3000 মিনারেল যার গ্রেড 20w50 যা ১০০০ কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করে ফেলি। ৫ হাজার কিলোমিটার পর পর ব্রেক প্যাড পরিবর্তন করি।

বাইক নিয়ে আমার ছোট এই মালিকানা রিভিউটার মধ্যে ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। BikeBD কে ধন্যবাদ। বাইক মানেই BikeBD ।

 

লিখেছেনঃ আরিফ হোসেন সাকিব
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।