Runner AD 80s Deluxe ৩১,০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - নজরুল

This page was last updated on 30-Jul-2024 06:51am , By Shuvo Bangla

আমি মোঃ নজরুল ইসলাম খান । আমি ঢাকা সাভার উপজেলার সাদাপুর পুরান বাড়ি এলাকায় বসবাস করি । বর্তমানে আমি একটি Runner AD 80s Deluxe বাইক ব্যবহার করছি । আজ আমি আমার এই বাইকটির ব্যাপারে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

runner ad 80s deluxe

আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী । প্রথম বাইক চালানো শিখি ২০০৬ সালের দিকে আমার বাবার বাইক দিয়ে, বাইকটি ছিল Yamaha Rx ।

এরপর আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাইক ব্যবহার করে থাকি। ২০১৭ সালের দিকে আমি প্রথম আমার নিজের টাকায় হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস বাইকটি ক্রয় করি । বাইকটি বেশ কিছুদিন চালানোর পর পুরনো হয়ে গেলে আমি তা বিক্রি করে দেই এবং দ্বিতীয় বার Runner Deluxe বাইকটি রানার এর শোরুম থেকে ক্রয় করি ।

আমি এখন পর্যন্ত আমার বাইকটি ৩১,০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এই চার হাজার কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা। আমি বাইকটি ০৫-১১-২০২০ তারিখে কিনেছিলাম।

আমি মোটরসাইকেলে প্রথম ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছিলাম ৫০০ কিলোমিটারে দ্বিতীয় বার ১২০০ কিলোমিটারে এবং তৃতীয় বার ২০০০ কিলোমিটারে। আর বর্তমানে প্রতি ১০০০ কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি । বাইকে ইঞ্জিন অয়েল এর পরিমাণ ৬০০ মিলিলিটার ।

runner ad 80s deluxe

রানার মোটরসাইকেল তাদের প্রতিটি বাইকের সাথে ৬ বছরের ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি পেতে হলে আপনাকে রানারের নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হবে। আমি আমার বাইকে Servo 20w40 গ্রেডের মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি।

রানার এর ইঞ্জিন গুলো বেশ শক্তিশালী । আমার বাইকের ইঞ্জিন ৮০ সিসির হলেও এর পারফর্মেন্স অনেক ভালো। আপনি ঢাকা শহরের রাস্তার মধ্যে চলাফেরা করার সময় বুঝতেই পারবেন না আপনার বাইকটি ৮০ সিসির বাইক রাইড করছেন ।বাইকটির পিকাপ রেস্পন্স যথেষ্ট ভালো ।

এই বাইকটি দিয়ে আমি সর্বোচ্চ ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত স্পিড তুলতে সক্ষম হয়েছি । অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না বাইকটি ৮০ সিসির। এই সেগমেন্টের মধ্যে বাইকটির ইঞ্জিন অনেক ভালো।

লং ড্রাইভে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি আর এই বাইকের স্পেয়ার পার্টস জাপানি অনেক মোটরসাইকেলের সাথে মিলে তাছাড়া এর স্পেয়ার পার্টস আপনি সবখানেই পাবেন এবং দাম খুবই কম আপনি অনেকদিন চালাতে চাইলে এই মোটরসাইকেলটি নিতে পারেন।

বাইকের ব্রেকিং কন্ট্রোলিং অনেক ভালো । চিকন চাকা থাকার পরেও আমি এখন পর্যন্ত স্কিড বা কোন জায়গায় পড়ে যাইনি ড্রাম ব্রেক খুবই কার্যকরী চাকায় অনেক ভালো গ্রিপ পাওয়া যায় গ্রামে বা শহরে যে কোন রাস্তায় বাইকটি চালাতে আপনি খুব কম্ফোর্ট ফিল করবেন ।

runner ad 80s deluxe

Runner AD 80s Deluxe বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • এর ইঞ্জিন পাওয়ার যথেষ্ট ভালো যা আপনাকে হাইওয়ে রাইডে অনেক হেল্প করবে এবং এর মেনটেনেন্স খরচ খুবই কম
  • এর মাইলেজ খুবই ভালো আপনি প্রতি লিটার তেলে ৫৫ থেকে ৬২ কিলোমিটার পর্যন্ত চালাতে পারবেন
  • বডি চেসিস খুবই মজবুত
  • এর সেল্ফ স্টার্ট খুবই কার্যকরী
  • সামনে এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক থাকার পরও এটি খুব তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আনা যায়

Runner AD 80s Deluxe বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • বাইকের স্টক হেডলাইট এর আলো অনেক কম
  • বাইকটিতে একটু বেশি ঝাঁকুনি লাগে
  • বাইকের চাকা চিকন
  • গিয়ার শিফটিং একটু শক্ত

runner ad 80s deluxe

বাইকটি নিয়ে আমি এখন পর্যন্ত দুইবার লং রাইড করেছি একবার ৩০০ কিলোমিটার আরেকবার ২৫০ কিলোমিটার । বাইকটি আমাকে কখনোই হতাশ করেনি এবং ইঞ্জিন ও অনেক কম গরম হয়। ধন্যবাদ ।

 

লিখেছেনঃ মোঃ নজরুল ইসলাম খান
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।