Suzuki Gixxer নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেছেন কামরুজ্জামান অপু
This page was last updated on 28-Jul-2024 07:07pm , By Saleh Bangla
কেমন আছেন সবাই? আমি মোঃ কামরুজ্জামান অপু , আমি কলেজ এ পড়ি। আমি কলেজ এ আসা যাওয়া করি আর বন্ধুরা মাঝে মাঝে এইদিক সেইদিক ঘুরতে যাই। মূলত আমি একজন বাইক প্রেমী। আমি Suzuki Gixxer 155 সিসি বাইক রাইড করি । আজ আমি আপনাদের সাথে এই বাইকটি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
লুকিংঃ আসলে Suzuki Gixxer 155 সিসি বাইকটি অনেক বেশি এগ্রেসিভ এবং আকর্ষণীয়। আমার কাছে রাইকটির ফ্রন্ট সাইডের থেকে ব্যাক সাইডটা বেশি ভালো লাগে। বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্কটা অনেক বড় আর একটু আলাদা শেপই এর । ইঞ্জিনঃ সুজুকি জিক্সার বাইকটির এয়ারকুল্ড ১৫৫ সিসি ইঞ্জিন আছে যা, আপনাকে ১৪.৮ পিএস আর ১৪ টর্ক শক্তি উৎপন্ন করে । আপনাকে দিবে একটি দুর্দান্ত পারফরমেন্স। এই বাইকটি আপনি রেডি পিকাপ পাবেন যা দিয়ে আপনি ০-৬০ কিমি মাত্র ৫ সেকেন্ডেই তুলতে পারবেন।
আমি এখন পর্যন্ত ১২৮ কিমি স্পীডে চালিয়েছি, তখনও আমি কোন ভাইব্রেশন ফিল করিনি। আর আমি জানি এইটা দিয়ে আরও স্পীড তোলা সম্ভব। এই বাইকটি দিয়ে আমি পিলিয়ন নিয়ে অনেক ভাঙ্গা রাস্তায়ও খুব আরামে চালিয়েছি। বাইকটির সাউন্ড আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আমার মতে Suzuki Gixxer লং জার্নি এবং দীর্ঘ স্থায়ীত্তের জন্য খুবই আদর্শ একটি বাইক। আর আমি এখন পর্যন্ত ৪ মাসে ৫৮০০+ কিমি চালিয়েছি কোন রকম বড় সমস্যা ছাড়া। ফুয়েল এবং ইঞ্জিন অয়েলঃ আমি প্রথম থেকেই অকটেন ব্যবহার করি। আর ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে রিকোমেন্ডেট ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করছি । যার জন্য গাড়ির সাউন্ড খুবই সুন্দর এবং স্মুথ এবং এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কোন প্রবলেম এর সম্মুখীন হইনি।
Suzuki Gixxer 155 Full Specification
মাইলেজঃ আমি ঢাকাতে সবসময় ৪০ কিমি প্রতি লিটার, আর হাইওয়েতে ৪৫/৪৬ কিমি প্রতি লিটার পাই। কন্ট্রোলিং এবং ব্রেকিং সিস্টেমঃ আমি মনে করি বাইকটির সেন্টার অব গ্রাভিটি একেবারেই বাইকারের সিটের নিচে দেয়া, যার কারণে গাড়ির কন্ট্রোলিং আমি এখন পর্যন্ত খুবই ভালো পাচ্ছি । এই গাড়িটির সামনের হাইড্রোলিক ব্রেক এবং পিছনের ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম। এটির ব্রেকিং সিস্টেম খুবি ভালো যা নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে থামাতে সক্ষম।
সাসপেনশনঃ সাসপেনশন খুবই চমৎকার। বিশেষ করে পিলিয়ন নিয়ে চালালে অনেক মজা পাবেন। আর সিঙ্গেল চালালেও বিশেষ করে অফ রোডে অনেক ভালো পারফর্ম করে। রেয়ার সাসপেনশনটি পিলিয়ন এর ওজন বহন করার জন্য যথেষ্ট। এটির কারনে আপনি সব ধরনের রাস্তায় এমনকি হাই স্পীডেও খুব ভালো পারফর্মেন্স পাবেন। রিম এবং টায়ারঃ দুটি চাকাই ১৭ সাইজের টিউবলেস টায়ার। যার কারনে গাড়ির হাইট অনেক বেশি। সামনে ১০০/৮০-১৭ আর পিছে ১৪০/৬০-১৭ সাইজের টায়ার।
Also Read: Suzuki Gixxer Fi ABS ১২,০০ কিলোমিটার রাইড
লাইটিং সিস্টেমঃ বাইকের হেডলাইট ডিসি টাইপের জন্য রাতে একটু প্রবলেম ফেস করবেন। যার জন্য আপনাকে ডিসি টাইপ করে ভালো মানের এলইডি লাগিয়ে চালাতে হবে। এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল টেইল লাইট যা কোন গাড়ির সাথে আপনি মিল পাবেন না। এটি আপনাকে অন্য বাইকের থেকে আলাদা করে রাখবে। ওয়েট এবং ভাইব্রেশনঃ গাড়িটির ওজন ১৩৫ কেজি হওয়াতে আমি ১২৮ কিমি বেগে চালিয়েও তেমন কোন ভাইব্রেশন অনুভব করিনি
অসুবিধাঃ এই বাইকটির প্রধান সমস্যা এর হাইট এবং ওজন যা কম হাইটের রাইডারদের একটু সমস্যায় ফেলবে। আরেকটি সমস্যা হল অনেকক্ষণ হাই স্পীডে বৃষ্টিতে এবং গরমে রাইড করার সময় মাঝে মধ্যে পিকআপ ছেড়ে দেয়। এছাড়া আর তেমন কোন প্রবলেম আমি এখন পর্যন্ত পাইনি । সর্বোপরি , আমার কাছে Suzuki Gixxer 155 বাইকটি খুবই ভালো লেগেছে বিশেষ করে এর স্মুথনেস আর সাউন্ড। এর বিল্ড কোয়ালিটিও অসাধারণ। আমার মতে ১৫০/১৬০ সিসির মধ্যে অন্যতম বাইক। আর গাড়িটি এক হাতে যত্ন সহকারে চালালে ১৫-২০ বছরেও কিছু হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। আমার এই লেখা একান্তই আমার অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ কামরুজ্জামান অপু
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।