Runner Turbo 125 ৩৬,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - বাপ্পী

This page was last updated on 01-Aug-2024 05:31am , By Shuvo Bangla

আমি আহসান হাবিব বাপ্পী । আজ আমি আপনাদের আমার Runner Turbo 125 বাইকটির সাথে আমার আড়াই বছরের রাইডিং অভিজ্ঞ্যতা শেয়ার করবো । ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর আমি রানার শোরুম গিয়েছিলাম একটি কাজে তো সেখানে এই বাইকটি প্রথম দেখাতেই অনেক ভালো লেগে যায় তাই শোরুম ম্যানেজার কে বললাম টেস্ট রাইড এর কথা উনিও বাইকটি দিলো টেস্ট রাইডের জন্য তো বাইকটি চালানোর পর ক্রাশ খেয়ে গেলাম আমার চালানো ১২৫ সিসি ক্যাটাগরিতে বেস্ট বাইক মনে হয়েছিল। 

 Runner Turbo 125

সাথে সাথে নিয়ে নিলাম ৪৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট করে । বাকিটা ৬ মাস পর শোধ করি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকাতে আমি পেয়ে গেছিলাম আমার স্বপ্নের বাইকটি। তারপর থেকে শুরু হলো বাইকটির সাথে আমার পথ চলা । বাইকটি নিয়ে আমি বেশ কয়েকটি ছোট ট্যুর দিয়েছিলাম গ্রুপ ট্যুরেও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো পারফম্যান্স ছিল ।

Runner Turbo 125 বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • ১২৫ সিসি হিসেবে বাইকটির স্পিড অনেক বেশি।
  • লং রাইড এ হতে ব্যাথা অনুভব করি নাই ।
  • পিলিয়ন সিট এর সমস্যা নেই ।
  • ওভারটেকিং এর সময় ও খুব সহজেই ওভারটেক করা যায়।
  • বাইকটির লুকিং অনেক ভালো ।

Runner Turbo 125 বাইকের কিছু খারাপ দিক -

  • বাইকের পার্টস সহজে পাওয়া যায় না ।
  • একটু জোড়ে রাইড করলে ওভার হিটিং ইস্যু হয় ।
  • মাইলেজ তুলনা মূলক কম।
  • ব্রেকিং আরো ইমপ্রুভ করা দরকার ।
  • হেডলাইট এর আলো তুলনা মূলক কম ফগ লাইট ছাড়া চালানো অসম্ভব।


কোনো কিছুই পারফেক্ট নাহ সব কিছুরই ভালোদিক খারাপ দিক আছে । আমার জীবনের প্রথম বাইক এটি অনেক সখের এবং নিজের ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা দিয়ে কেনা। বাইক আমার মানসিক শান্তি যখন মন খারাপ থাকে বাইকটি নিয়ে কিছু সময় ঘুরে আসলেই মন ভালো হয়ে যায় । এই বাইকটিতে আমি ১১৪ কিলোমিটার / ঘণ্টা স্পিড তুলতে পেরেছিলাম ।

বাইকটি দিয়ে আমি আমার প্রতিদিনের কাজ গুলো করে থাকি বাসা থেকে কলেজ যাওয়া কলেজ থেকে এসে প্রাইভেট , কোচিং , মার্কেট আমার সব কাজেই বাইকটি ব্যাবহার করে থাকি । প্রায় ৩৬,০০০ কিলোমিটার চললো এই বাইকটি ২.৫ বছরে । এখনো টায়ার চেঞ্জ করি নাই এমন কি শুধু ক্লাচপ্লেট আর ব্রেক প্যাড ব্যতীত আর কিছু চেঞ্জ করি নাই এখনো ।

বাইকটি দিয়ে আমি কিছুদিন আগে আমাদের শহর কুড়িগ্রাম থেকে সৈয়দপুর গিয়েছিলাম যাওয়া আসায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার + পথ রাইড করেছিলাম বাইকের মাইলেজ এভারেজ ৩৮-৪২ এর মত পেয়েছি যেটা তুলনা মূলক  ভাবে কম । যাইহোক বাইকটি নিয়ে আমি তারপর ও সন্তুষ্ট । বাইকটি নিয়ে গ্রুপ ট্যুর ও দিয়েছিলাম খুব সহজেই তেমন কোনো সমস্যা হয় নাই ।

বাইকের প্রতি ভালোবাসা ছোট বেলা থেকেই ছিল অনেক । আরো বেড়ে গেছে এই বাইকটি নেওয়ার পর । বাইকটি নিয়ে অনেক ভাই ব্রাদার এর সাথে পরিচয় হয়েছে আসলে বাইকিং কমিউনিটি গুলোর সাথে পরিচয় না হলে রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও যে মানুষ এত সহজে আপন হয় জানা ছিল না । আর বাইকিং গ্রুপ গুলোতে আমার প্রিয় গ্রুপ হচ্ছে বাইকবিডি । এটি বাংলাদেশ এর অন্যতম বাইকিং গ্রুপ ।

আমি এই গ্রুপে ২০২০ থেকেই আছি । এবং পোস্ট লাইক কমেন্ট করে গ্রুপ এর সাথেই ছিলাম সব সময় এবং আছি । লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি বানান ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । আরো অনেক কিছু বলার ছিল সেগুলা আজ আর নাহ , সামনে আরো রিভিউ দিবো । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে। 


লিখেছেনঃ বায়েজিদ হোসেন 

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।