Lifan KPR 165R EFI ২০,০০০ কিলোমিটার রিভিউ - তৌহিদ আলম
This page was last updated on 03-Aug-2024 04:08pm , By Ashik Mahmud Bangla
আমি তৌহিদ আলম । আমি অনেক দিন থেকে বাইক রাইড করছি । আজ আমি আপনাদের সাথে আমার Lifan KPR 165R EFI বাইকটির ২০,০০০/- কিলোমিটার রাইডের রিভিউ নিয়ে এসেছি । চলুন বাইকটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই ।
Lifan KPR 165R EFI ২০,০০০ কি.মি. রিভিউ বিস্তারিত
লিফান বাংলাদেশের চাইনিজ কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম । তারা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে তাদের Lifan KPR স্পোর্টস বাইক সিরিজ দিয়ে । এই সিরিজটির অন্যতম ভাল দিক হচ্ছে কম দামে স্পোর্টস বাইক । আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব এই সিরিজের ১৬৫সিসির অন্যতম আকর্ষণীয় বাইক Lifan KPR 165R EFI । চলুন আগে জেনে নেই বাইকটির কিছু ভাল দিক সম্পর্কেঃ
- মাইলেজ দিকে থেকে অন্যান্য স্পোর্টস বাইকের চেয়ে ভাল
- রেডিপিক আপ ও দারুন । মানে এর এক্সেলারেশ ভাল ।
- কন্ট্রোলিং দারুন
- পারফর্মেন্স
- ব্রেকিংও দারুন
- হেড ল্যাম্পের আলো দারুন
- লং ট্যুরের জন্য ভাল
Click To See The Lifan KPR165R Video Review
এবার জানা যাক বাইকটির কিছু খারাপ দিকঃ
- ইঞ্জিন গরম হয়ে যায়
- সেন্সর ইস্যু
- টায়ার গ্রিপ কম
- ক্লাচ হার্ড
- চেইন ও স্প্রোকেটে সমস্যা রয়েছে
- রেয়ার সাসপেনশন
বাইকটির কিছু কিছু দিক আমি নিজ থেকে আপগ্রেড করিয়েছি । চলুন দেখে নেইঃ
- কেপিটি ডিস্ক ব্রেক (ফ্রেন্ট ও রেয়ার)
- টিমসান টায়ার
- ও রিং চেইন
আমি আমার বাইকের ক্ষেত্রে আরও কিছু পরিবর্তন করিয়েছি । যেমন ৫ থেকে ৭ হাজার কিলো পর পর আমি এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করেছি তিন বার । স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন করেছি ১ বার ১৫ হাজার কিলোপর । ব্যাটারি পরিবর্তন করেছি ১৫ হাজার কিলো পর এবং স্প্রোকেট চেঞ্জ করেছি ১ বার ১০ হাজার কিলো পর । এছাড়া আরও পরিবর্তন করেছি কুলেন্ট, ফিউজ, ক্লাচ ক্যাবল, টায়ার, থ্র্যাটল ক্যাবল, ব্রেক প্যাড (ফ্রন্ট ও সামনে) । বাইকটি নিয়ে আমার কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা । প্রথমত, সেন্সর নিয়ে আমার একটা সমস্যা হয়েছিল, দ্বিতীয়ত ফিউজ নিয়ে আমার আরও একটি সমস্যা হয়েছে ।
মাইলেজ নিয়ে যদি বলি তবে, শহরে আমি মাইলেজ পেয়েছি ৩৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে আমি মাইলেজ পেয়েছি ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার । তবে সবচেয়ে কম পেয়েছি ৩৮ কিলোমিটার এবং সবচেয়ে বেশি পেয়েছি ৪৮ কিলোমিটার । এভারেজ এ মাইলেজ পেয়েছি ৪০ কিলোমিটার শহরে এবং ৪৫ কিলোমিটার হাইওয়েতে । সব শেষে, বলতে চাই যে নুরুল আবরার রাসেল ভাই কে ধন্যবাদ এই দামে একটি স্পোর্টস বাইক আমাদের দেশে নিয়ে আসার জন্য । আর Lifan KPR 165R EFI বাইকটি স্পোর্টস বাইক হিসেবে চমৎকার একটি মোটরসাইকেল । সবাইকে ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ তৌহিদ আলম
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।