Hero Hunk ১৫,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - জামিল হাসান
This page was last updated on 01-Aug-2024 11:58am , By Shuvo Bangla
আমি জামিল হাসান। আমি একটি Hero Hunk বাইক ব্যবহার করি । আপনাদের সাথে আজ এই বাইকটি নিয়ে আমার মতামত শেয়ার করবো ।
আমি একজন ছাত্র । বাইক অনেক পছন্দ করি বলতে পারেন একজন বাইক প্রেমি। আমি অনেক আগেই বাইক চালানো শিখেছি। ৪র্থ শ্রেনীতে পড়াশুনা করা অবস্থায় আমার দাদু আমাকে বাইক চালানো শিখিয়েছে। ২০১৭ সালে এস এস সি পরিক্ষার পর থেকে আমি বাইক রেগুলার রাইড করে থাকি।
২০১৭ সালে আমার বাবার হোন্ডা সিবি সাইন বাইকটা রেগুলার রাইড এর জন্য আমাকে দিয়ে দেয়। সিবি সাইন বাইকটা আমি ২বছর চালাই। ২০১৯ এ এইচএসসি পরিক্ষার পরে বাইকটা বিক্রি করে Hero Showroom থেকে আমি হিরো হাংক ডাবল ডিস্ক এর ব্রাউন কালার এর বাইকটা নেই।
Hero Hunk বাইকটার ১৫ হাজার কিলোমিটার চালানোর ছোট খাট একটা রিভিউ দিব। হিরো হাংক বাইকটা দিয়ে আমি অনেক জায়গায় ট্যুর করেছি। পাহাড়,সমুদ্র, অফ রোড, অন রোড, সিটি রাইড সব জায়গায়ই মোটামুটি রাইড করোছি।হাংক নেওয়ার প্রধান কারন হলো হাংক বাইক আমার ছোট থেকেই খুব পছন্দ, আমার বাবারও Hero Hunk বাইক খুব পছন্দ। শুরু থেকে আমি হাংক এ হেভলিন 10w30 গ্রেডের মিনারেল ইন্জিন অয়েল ব্যাবহার করি ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। হেভলিন দিয়ে ভাল পারফরম্যান্স না পাওয়ায় সিফট হই হুন্ডা 10w30 গ্রেডের মিনারেল ইন্জিন অয়েল এ।
হোন্ডা 10w30 ইন্জিন অয়েল দিয়ে ৬ হাজার কিলোমিটার চালাই। স্মুথ এর জন্য সিফট হই মতুল 3000 10w30 এ। মতুল এ ভাল পারফরম্যান্স পাচ্ছি বর্তমানে ১৫হাজার কিলোমিটার রানিং এখন ও মতুল ব্যাবহার করছি।
হাংক এর পারফরম্যান্স নিয়ে বলার মত কিছু নেই বরাবর এর মত অনেক ভাল। হাংক এর মজা সবাই বুঝে না যারা হাংক বাইকটা রাইড করে শুধু তারাই বুঝবে। কম বাজেট এ হাংক বেস্ট।
বাইকটির মাইলেজ ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ৩৭-৩৮ পেয়েছি। ৫-৭ হাজার কিলোমিটার এ মাইলেজ খুব খারাপ পেতাম ৩০-৩২ পেতাম। তারপর সার্ভিসিং এ দেওয়ার পর ভাল মাইলেজ পাচ্ছি। বর্তমানে সিটিতে ৩৮-৩৯ এবং হাইওয়ে তে ৪০-৪২ মাইলেজ পাচ্ছি।
৬হাজার কিলোমিটার চালানোর পরে আমার বাইকের এর চেইন স্পকেটটা খুব সমস্যা দেখা দিয়েছিল তারপর আমি শোরুম থেকে নতুন চেইন স্পকেট লাগাই। বর্তমানে চেইনে তেমন কোন সমস্যা নেই। ১৫ হাজার কিলোমিটারে একবার এয়ার ফিল্টার এবং দুইবার প্লাগ পরিবর্তন করি ।হাংক এর ব্রেকিং এবং কন্ট্রোলিং খুব ভাল সামনে এবং পিছনের ব্রেক একসাথে ধরলে খুব ভাল সাপোর্ট পাওয়া যায়। আমার হাংক এ আমি টপ স্পিড পেয়েছিলাম সিংগেল এ ১১৮ - ১১৯। সব বাইক এর যেমন ভাল দিক রয়েছে তেমন খারাপ দিকও রয়েছে।
Hero Hunk বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- বাইকটির পিছনের চাকা ১০০ সাইজ এর হওয়ার কারন বালু এবং কাঁদায় স্লিপ করে।
- কালার খুব ভাল নাহ রং উঠে যায়।
- চেইন টা তারাতারি লুজ হয়ে যায়।
- হেডলাইটের আলো খুব কম থাকার কারনে রাতে রাইড করতে সমস্যা হয়।
- সুইস কোয়ালিটি খুব ভাল না ।
- ইন্জিন কিল সুইচ নাই ।
- ইন্জিন এর কালার উঠে যায় খুব তারাতারি।
আমার কাছে এইগুলাই মনে হলো। সব দিক দিয়ে আমার কাছে কম বাজেটে হাংক বেস্ট মনে হলো। চেষ্টা করেছি আমার বাইক এর ভাল এবং খারাপ দিক কিছুটা হলেও তুলে ধরতে। ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।