Hero Glamour এর মালিকানা রিভিউ - তমাল সিফাতুর
This page was last updated on 07-Jul-2024 12:29pm , By Shuvo Bangla
ছেলে বেলায় প্রথম মোটরসাইকেল দেখি টেলিভিশনে। স্বভাবতই মা কে প্রশ্ন করেছিলাম, “এটা কি?” মা বললেন, “এটা হোন্ডা”। শিশুতোষ মনে আবার প্রশ্ন করলাম, “এটা কারা চালায়?” পাশ থেকে কাজের বুয়া মজা করে বলল, “হোন্ডা চালায় গুন্ডারা”। তখনভেবেছিলাম যেকোন মূল্যে গুন্ডা হতে হবে, কারণ আমাকে এই জিনিস চালাতেই হবে। যাইহোক গুন্ডাতো হতে পারিনি, আবার মোটরসাইকেল এর প্রতি আকর্ষনও কমাতে পারিনি। অবশেষে ৭/০৭/২০১৪ইং তারিখে হিরো গ্লামার মোটরসাইকেল কিনে ফেললাম। কেনার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অফিসে যাতায়াত। Hero Glamour নিয়ে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা নিম্নে বর্ণনা করা হলও।
কেন হিরো গ্লামার?
আমার মতে মোটরসাইকেল কেনার আগে মৌলিক কিছু বিষয় চিন্তা করে অতপঃর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। মোটরসাইকেল কেনার আগে আমিও বেশ কয়েকদিন বিভ্রান্ত ছিলাম। চিন্তা করছিলাম যে ১৫০ সিসি কিনব না ১২৫ সিসি। অন্যের মতের ওপর ভিত্তি করে কেনাটা হবে বোকামি। যেহেতু এটা আমার প্রথম মোটরসাইকেল, তাই হাতে কিছুদিন সময় নিয়ে বাইক এর টুক-টাক জিনিষ জানা শুরু করলাম বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে, সেই সাথে বিভিন্ন মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের লেখা পড়লাম। আমার বাজেট ছিল ২,০০,০০০ (মোটরসাইকেল + রেজিস্ট্রেশন + লাইসেন্স)। এরপর বের করলাম আমার কি কি সুবিধা দরকার এই মোটরসাইকেল থেকে –
১। জ্বালানি স্বাশ্রয়ী হতে হবে।
২। মোটরসাইকেল অবশ্যই টেকসই হতে হবে।
৩। দেশব্যাপী খুচরা যন্ত্রাংশ সহজলভ্য হতে হবে।
৪। মোটরসাইকেল এ বসার জায়গা আরামদয়ক হতে হবে।
৫। সামনের ডিস্ক ব্রেক থাকতে হবে।
৬। গ্রাফিক্যাল ও এরো-ডায়নামিক ডিজাইন সুন্দর হতে হবে।
৭। ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়ের পরের সেবা ভাল হতে হবে।
এই পয়েন্ট গুলোর সাথে মিলে যায় হোন্ডা শাইন, বাজাজ ডিস্কভার ১২৫ এসটি ও হিরো গ্লামার। কিন্তু বাজাজ ডিস্কভার এসটির পেছনের চাকা এবং সামনের ডিস্কটা কেন যেন ভাল লাগল না, সেই সাথে এর ওয়ারেন্টির সময় কম ও সার্ভিস সেন্টারটা ভালো লাগল না। দাম টাও অতিরিক্ত মনে হল। অপরদিকে হিরো গ্লামার মোটরসাইকেল সিসি, ডিজাইন, ওজন, বসার সিট, ওয়ারেন্টি মনের সাথে মিলল। সেই সাথে তেজগাঁও এ অবস্থিত হিরো মটোকর্পোরেসন এর সেলস সেন্টার, সার্ভিস সেন্টার, কাস্টমার কেয়ার ইত্যাদি খুব ভাল এবং বিশ্বমানের মনে হল। সুতরাং এই মোটরসাইকেল কিনতে আর দেরি করলাম না। তেজগাঁও এ অবস্থিত হিরো মটোকর্পোরেসন এর প্রধান শো-রুম থেকে ১,৫৭,৫০০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলটা কিনেছিলাম।
হিরো গ্লামার স্পেসিফিকেশনঃ
Engine
Type: Air cooled, 4-stroke single cylinder OHC
Displacement: 124.7 cc
Max. Power: 6.72 KW (9.1 Ps) @ 7000 RPM
Max. Torque: 10.35 N-m @ 4000 RPM
Bore x Stroke: 52.4 x 57.8 mm
Compression Ratio: 9.1 : 1
Starting: Self-Start / Kick start
Ignition: AMI - Advanced Microprocessor Ignition System
Engine Oil Grade: SAE 10W 30 SJ Grade
Transmission & Frame
Clutch: Multiplayer wet
Gear box: 4 speed constant mesh
Frame Type: Tubular double cradle type
Suspension
Front: Telescopic hydraulic shock absorbers
Rear: Swing Arm with Hydraulic Shock Absorbers
Brakes
Front Brake Disc: 240 mm Dia; Pad Non Asbestos Type
Rear Brake Drum: Internal expanding shoe type (130 mm) Liners - Non Asbestos Type
Wheels &Tyres
Rim Size Front: 18 x 1.60, Spoke wheel / Cast wheel
Rim Size Rear: 18 x 1.60, Spoke wheel / Cast wheel
Tyre Size Front: 2.75 x 18 – 42 P/ 4 PR
Tyre Size Rear: 3.00 x 18 -52 P/ 6 PR
Electricals
Battery: 12V-3 Ah, MF battery
Head Lamp: 12V-35W/35W - Halogen bulb (Multi Reflector Type)
Tail/Stop Lamp: 12V-5 / 21 W (Multi Reflector)
Turn Signal Lamp: 12V-10W (Amber bulb) x 4 nos (MFR – Clear lens)
Dimensions
Length: 2005 mm
Width: 735 mm
Height: 1070 mm
Wheelbase: 1265 mm
Ground Clearance: 150 mm
Fuel Capacity: 13.6 Ltrs (Min)
Reserve: 1 Litre (Usable reserve)
Kerb Weight: 129 Kg
হিরো গ্ল্যামার চালানোর বাস্তব অভিজ্ঞতাঃ
এই রিভিইউ লেখা পর্যন্ত আমি ৪৩৭৪ কিঃমিঃ চালিয়েছি, যার মঝে ৫ টি বড় হাইওয়ে রাইড ছিল।সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ১০৩ কিঃমিঃ/ঘন্টা। প্রতি ১০০০ কিঃমিঃ পর মোটরসাইকেল ওয়াস এক্সপার্টদের দ্বারা এটাকে ওয়াস করেছি এবং চেইন পরিষ্কার করে তাতে লুব্রিকেন্ট দিয়েছি।মোটরসাইকেলটার লোহার অংশ এবং বাম্পার এর ডিজাইন খুব ভাল।
এর গ্রাফিকাল ডিজাইন ও আকার খুব সুন্দর। যে কারণে দূর থেকে দেখলে কিছুটা স্পোর্টস বাইক এর মত মনে হয়।বাংলাদেশে ১২৫ সিসি ক্যাটাগরির যত মোটরসাইকেল আছে, তার মাঝে এটার ওজন সবচেয়ে বেশি (১২৯ কেঃজিঃ)। এটা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই, বরং আমি ভারি মোটরসাইকেলে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। এর ইঞ্জিন ও জ্বালানি ট্যাঙ্ক এর মাঝে একটা ছোট টুল বক্স আছে, যাতে প্রয়োজনীয় ছোট-খাট জিনিস রাখা যায়।
Also Read: Hero Hunk 150DD মাইলেজ ১৯ কিলোমিটার - আশিক রহমান
পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত এমন কোন মোটরসাইকেল তৈরী হয়নি, যা কিনা ১০০% সঠিক। হিরো গ্লামারও তার ব্যাতিক্রম না। এই মোটরসাইকেলটা চালানোর সময় কিছু ভাল অভিজ্ঞতা যেমন পেয়েছি, তেমনি পেয়েছি কিছু খারাপ অভিজ্ঞতাও। এসব পয়েন্ট আকারে নিচে বর্ণনা করলাম।
হিরো গ্ল্যামার এর ভালোদিকঃ
১। চেসিস টিউবুলার ডবল ক্রেডেল টাইপ হওয়াতে একে কন্টোল করাটা কিছুটা সহজ।
২। ইঞ্জিন হরিজন্টাল হওয়াতে হরিজন্টাল গ্রেভিটিতে ভাল কর্ণারিং ও টার্নিং এর সুবিধা পাওয়া যায়। সেই সাথেইঞ্জিন ভাইব্রেশন তুলনামূলক কম অনুভূত হয়।
৩। এর সামনের ও পেছনের ব্রেক সিস্টেম ভাল।
৪। ক্লাচ ও থ্রোট্রল এ এখনও পর্যন্ত কোন সমস্যা পাইনি।
৫। লং হাইওয়ে রাইড এ কোন ব্যাক-পেইন সৃষ্টি হয়নি। আমি সর্বোচ্চ ১৩৮ কিঃমিঃ একটানা রাইড করেছি, কিন্তু ক্লান্তিবোধ করিনি। সুতরাং এর এরো-ডাইনামিক সিস্টেম কে আমি এগিয়ে রাখব অন্যান্য ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল থেকে।সিটিং পজিশন ডিজাইন খুব ভাল, যে কারনে রাইডার ও পিলিওন রাইডার খুব আরামে বসতে পারে।
৬। সামনের ও পেছনের হাইড্রোলিক সক অ্যাবসরবার খুবই ভাল মানের, যে কারণে ভাঙ্গা রাস্তাতেও ঝাকি খুব কম অনুভূত হয়।
হিরো মোটর সাইকেল সার্ভিসিং সেন্টার. তেজগাও, ঢাকা।
হিরো গ্ল্যামার এর খারাপ দিকঃ
১। জ্বালানিতে মাইলেজ ভাল পাচ্ছিনা। গড়ে ৩১.০৬ কিঃমিঃ/লিঃ পাচ্ছি ওকটেনে এবং ৪০ কিঃমিঃ/লিঃ পাচ্ছি পেট্রোলে।(এর বিষদ বর্ণনা “জ্বালানি ও লুব্রিকেন্ট অভিজ্ঞতা” অংশে দেয়া আছে)
২। বাংলাদেশে ১২৫ সিসি ক্যাটাগরির যত মোটরসাইকেল আছে, তার মাঝে এর এক্সিলারেসন সবচেয়ে কম।
৩। হেড লাইট এর পাওয়ার থ্রোট্রল এর সাথে সংযুক্ত, যে কারনে খুব ধীরে মোটরসাইকেল চালনা করলে, হেড লাইট খুব অল্প আলো দেয়। এতই অল্প আলো দেয় যে রাতে সামনের রাস্তা ভালোভাবে দেখা যয় না।
৪। কুয়াশার মাঝে অনেকক্ষণ চালালে, এর সুইচ সিস্টেম এ শিশির ঢুকে যায়। ফলে পাস-ল্যাম্প সুইচ, টার্ন-সিগনাল সুইচ জ্যাম হয়ে যায়।
৫। ২৫০০ কিঃমিঃ এর পর থেকে সর্বোচ্চ গতি ৯৫ কিঃমিঃ/ঘন্টা এর উপর উঠছে না। তুলনামূলক আগের থেকে কম এক্সিলারেসন পাচ্ছি। এই ইস্যুটা আমি তাদের সার্ভিস সেন্টারে জানিয়েছি, কিন্তু ভাল সমাধান পাইনি।
৬। ধীরে চালনোর সময় গিয়ার শিফট এ মাঝে মাঝে সমস্যা করে। হিরো সার্ভিস সেন্টারে থেকে গিয়ার লুজ ও টাইট করে দেখেছি, ভাল সমাধান পাইনি।
হিরো গ্ল্যামার এ যা যুক্ত করা যেতঃ
১। “আর. পি. এম.” কাটা থাকা দরকার। এটার গুরুত্ব নতুন করে বলার কিছু নেই।
২। আলাদা ইঞ্জিন অফ-অন সুইচ হলে ভাল হত।
৩। টিউবলেস টায়ার হলে খুবই ভাল হত। যেখানে ১০০ সিসি হিরো আই-স্মার্ট এ টিউবলেস টায়ার, সেখানে গ্লামার এ টিউবুলার টায়ার।
৪। ড্যাস-বোর্ডটা পুরো ডিজিটাল হলে মন্দ হত না। ড্যাস-বোর্ড এ গিয়ার নির্দেশক ও ঘড়ি থাকলে ভাল হত।
৫। হ্যান্ডেল এ সুইচ বক্স এর ভেতর লাইটিং সিস্টেম থাকলে ভাল হত। অন্ধকারে মোটরসাইকেল অন করলে সুইচ গুলো বোঝা সহজ হত। হ্যান্ডেলসুইচ সিস্টেম ওয়াটার-প্রুফ করা দরকার।
৬। সিঙ্গেল নাইট্রোক্স মনো-সকঅ্যাবসরবার দেয়া যেত।
হিরো গ্ল্যামার নিয়ে জ্বালানি ও লুব্রিকেন্ট অভিজ্ঞতাঃ
মোটরসাইকেলের জ্বালানি খরচ নির্ভর করে ভাল জ্বালানি, সঠিকভাবে থ্রোট্রল চালনা, টায়ার প্রেসার ও সঠিক মাপে ব্রেক ব্যবহার ইত্যাদি এর ওপর। যতটুকু পারি এই ইস্যু গুলো খেয়াল রাখি, তারপরও জ্বালানি খরচ নিয়ে আমি এই বাইক এর ওপর সন্তুষ্ট নই। মোটরসাইকেলটা কেনার পর থেকে কতটুকু জ্বালানি খরচ হয়েছে ও কতটুকু মাইলেজ পেয়েছি, তার বিষদ বর্ণনা নিচে ছক আকারে দেয়া হল -
Date | Fuel category | Fuel Quantity in Liter | Fuel Price in BDT | ODO Meter | Total Trip on current refilled fuel (Km) | Mileage (Km/ Liter) | Fuel Tuning |
14/07/2014 | Octane | 5.05 | 500 | 67 | 146 | 28.91 | High (Company tuned by Machine) |
28/07/2014 | Octane | 11.31 | 1120 | 213 | 328 | 29.00 | - |
16/08/2014 | Octane | 8.67 | 860 | 541 | 251 | 28.95 | - |
3/9/2014 | Octane | 9.6 | 950 | 792 | 346 | 36.04 | Medium (Company tuned manually) |
13/09/2014 | Octane | 6.06 | 600 | 1138 | 218 | 35.97 | - |
28/09/2014 | Petrol | 10.3 | 997 | 1356 | 412 | 40.00 | - |
7/10/2014 | Octane | 4.95 | 490 | 1768 | 178 | 35.96 | - |
12/10/2014 | Petrol | 7.28 | 699 | 1946 | 291 | 39.97 | - |
28/10/2014 | Petrol | 10.42 | 1000 | 2237 | 417 | 40.02 | - |
14/11/2014 | Petrol | 8.65 | 830 | 2654 | 346 | 40.00 | - |
24/11/2014 | Octane | 12.12 | 1200 | 3000 | 366 | 30.20 | High (Company tuned by Machine) |
13/12/2014 | Octane | 11.11 | 1100 | 3366 | 494 | 44.46 | Low (Manually from outside) |
29/12/2014 | Octane | 11.11 | 1100 | 3860 | 471 | 42.39 | - |
31/12/2014 | Octane | 10.1 | 1000 | 4331 | *** | *** | High (Company tuned by Machine) |
Fuel category | Fuel Quantity in Liter | Total Mileage | Avg. Mileage (Km/per Liter) |
Octane | 90.08 | 2798 | 31.06 |
Petrol | 36.65 | 1466 | 40 |
আশা করব এই দুটা ছক থেকে আপনারা জ্বালানি খরচ সমন্ধে ভাল ধারণা পাবেন।
হিরো গ্লামার মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল ধারণ ক্ষমতা ৯০০ মিঃলিঃ। প্রথম তিনবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছি ৫০০-৭০০ কিঃমিঃ এর মাঝে। এরপর প্রতি ১০০০ কিঃমিঃ পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছি। আমি এ পর্যন্ত হিরো, হ্যাভলিন এবং ওমেরা ব্র্যান্ড এর ইঞ্জিন অয়েল ব্যাবহার করেছি এবং সবসময় অয়েল গ্রেড “10W 30”বজায় রেখেছি। আমার মতে হিরো ও ওমেরা সবচেয়ে ভাল পার্ফমেন্স দিয়েছে।
উপসংহারঃ
বলে রাখি, এটা আমার প্রথম মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেল চালাতে পারতাম না বলে কেনার পরেও ৭ দিন গ্যারেজ এ মোটরসাইকেলটা ফেলে রেখেছিলাম। ভাগ্নের কাছ থেকে মোখিক কিছু টিপস নিয়ে একাই চালানো শিখেছি। চালনো শেখার পর আমি অন্যান্য মোটরসাইকেলও চালিয়ে দেখেছি, কিন্তু আমার কাছে মানে হয়েছে মোটরসাইকেল চালানো শিখার জন্য ও অফিস যাতায়াত এর ক্ষেত্রে হিরো গ্লামার একটা ভাল মোটরসাইকেল।
এটা খুবই ভাল যান, কিন্তু একটা ভুলে হতে পারে আপনার-আমার মৃত্যুর কারণ। সুতরাং সাবধানে এই যান কে চালাবেন ও চালানোর সময় অবশ্যই হেলমেট পড়তে ভুলবেন না। এটা আমার লেখা প্রথম মোটরসাইকেল রিভিউ, সুতরাং কিছু ভুল লিখে থাকলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশা করি Hero Glamour এর এই অভিজ্ঞতা অন্যদের সাহায্য করবে।
ধন্যবাদ
-তমাল সিফাতুর
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।