Bajaj Pulsar NS400z – পালসার লাইনআপের সর্বোচ্চ বাইক
This page was last updated on 07-Aug-2024 02:38am , By Badhan Roy
পালসার, নামটা শুনলেই আইকনিক ডুয়াল টেইল ল্যাম্প, পাওয়ারফুল পারফর্মেন্স এবং এগ্রেসিভ ডিজাইনের বিল্ড কোয়ালিটির বাইক চোখে ভেসে ওঠে। বাজাজের পালসার সিরিজের ন্যাকেড স্পোর্টস সেগমেন্টের বাইকগুলো সংক্ষেপে N ও NS নামে ব্র্যান্ডিং করা হয়ে থাকে।
পালসার NS160, N160, N250, NS200 এর তুমুল জনপ্রিয়তা ও সাফল্যের উত্তরসুরি হিসেবে বাজাজ অটো লিমিটেড সম্প্রতি ভারতে লঞ্চ করেছে Bajaj Pulsar NS400z – যার ট্যাগলাইন The biggest Pulsar Ever. পালসার সিরিজের সর্বোচ্চ পাওয়ারফুল বাইক এখন পর্যন্ত এটাই, যা তার স্পেসিফিকেশন এবং পারফর্মেন্স দ্বারা একই ক্যাটাগরির যে কোন বিশ্বমানের বাইকের সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করতে সক্ষম। তো একনজরে Bajaj Pulsar NS 400zএর বিস্তারিত এখানে তুলে ধরা হলো।
Bajaj Pulsar NS400z – ডিজাইন
ন্যাকেড স্পোর্টস ক্যাটাগরির ডিজাইন Pulsar NS 400z বাইকে লক্ষ করা যায়। N250 ও NS400z এর লুক প্রায় কাছাকাছি মনে হলেও Pulsar NS 400z বেশ বড়সড় বাইক এবং এর USD সাসপেনশন ও মোটা চাকার দ্বারা এর লুক আরো কয়েক গুন বেশি এগ্রেসিভ বটে। সামনের z শেপ ডিআরএল এবং প্রজেকশন হেডলাইটের সাথে এর সিট স্প্লিটেড হওয়াতে বাইকটির লুক আরো অনেক এগ্রেসিভ ও স্পোর্টি দেখায়।
Bajaj Pulsar NS400z – ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
Pulsar NS 400zবাইকটিতে রয়েছে ইউরো BS VI প্রযুক্তির ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড (FI) লিকুইড কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার, DOHC 373.27 সিসির ৪ ভাল্ভ ৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন যা ৮৮০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ৩৯.৪০ হর্সপাওয়ার শক্তি ও ৬৫০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ৩৫ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করে ৪ টি ভিন্ন ভিন্ন রাইডিং মোডে। ভিন্ন ভিন্ন রাইডিং মোডের বিষয়টি ফিচার সেকশনে বিস্তারিত বলা হবে। ওয়েট মাল্টিপ্লেট এসিস্ট এন্ড স্লিপার ক্লাচ এবং ৬ স্পিড গিয়ারবক্স স্মুথ এবং প্রতি গিয়ারেই কুইক রেসপন্স দিতে সক্ষম। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ২১০ কিমি প্রতি ঘন্টায়।
Bajaj Pulsar NS400z – ফিচারস
NS400z এর কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচারস হলো:
সিট হাইট, ওজন ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স: ৮০৭ মি.মি এর সিট হাইটের সাথে ১৬৮ মি.মি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে বাইকটিতে। ১৭৪ কেজি ওজনের কার্ব ওয়েট হওয়া স্বত্বেও বাইকটির ওয়েট ব্যালান্স খুবই সুন্দর এবং উচ্চ সিসির অন্যান্য বাইকের তুলনায় থিওরেটিকালি কিছুটা কম ওয়েট ও বলা চলে।
ইগনিশন সিস্টেম: সেলফ ইলেক্ট্রিক ইগনিশন।
ডুয়াল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার: সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারটি দুই ভাগে বিভক্ত। এতে ফুয়েল লেভেল, একাধিক ট্রিপ মিটার, স্পিডোমিটার, ট্যাকোমিটার, গিয়ার, সার্ভিস ইন্ডিকেটর, টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন, এবিএস ইন্ডিকেটর, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, রাইডিং মোড, ঘড়ি ইত্যাদি রয়েছে। ক্লাস্টারটির ডান দিকে ছোট কালারফুল এলসিডি ডিসপ্লে ও দেওয়া আছে যা দ্বারা ফোন কানেক্টিভিটির প্রায় সব ফিচার সিংক করানো ও ল্যাপ টাইমার সিলেক্ট করা পসিবল।
বাই ফাংশনাল ডিআরএল ও প্রজেকশন হেডল্যাম্প: বাইকটির ডিআরএল এবং হেডল্যাম্প যেমন এগ্রেসিভ তেমন প্র্যাক্টিকাল, এবং প্রচুর আলো প্রদান করে ও অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।
৪ টি রাইডিং মোড: রাইডার তার পছন্দমত রোড, রেইন, স্পোর্ট এবং অফ রোড মোডে বাইকটি সেট করে তার নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার আউটপুট এবং এবিএস ব্রেকিং ইন্টেনসিটি নিতে পারবেন, যা সাধারণত অত্যাধুনিক স্পোর্টসকার এর ক্ষেত্রে দেখা যায়। মোড গুলোর কারনে নির্দিষ্ট আরপিএম এ যথাযথ টর্ক আউটপুট এবং সর্বোচ্চ স্পিড অটোমেটিক লক হয়ে যায়, যা বিভিন্ন রোড কন্ডিশনে যথেষ্ট হেল্পফুল এবং দরকারি। নিঃসন্দেহে এটি একটি অত্যাধুনিক ফিচার বটে।
আন্ডারবেলি এক্সহস্ট: বাইকটির এক্সহস্ট সিস্টেম আন্ডারবেলি হওয়ার কারনে বেটার বেজ এর সাউন্ডের পাশাপাশি বেটার রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স নিশ্চিত করে এবং বাইকের বাড়তি ওজন হ্রাস করে।
টিউবলেস টায়ার: বাইকটির টায়ার সাইজ- সামনের টায়ার 110/70-17, পিছনের টায়ার: 140/70-17. টিউবলেস MRF Nylogrip Zapper টায়ার বাইকটিতে দেওয়া হয়েছে যা সহজে পাংচার বা লিক হওয়ার ঝুঁকি কম ও বেটার পারফর্মেন্স দিতে সক্ষম।
ব্রেক: Pulsar NS 400zবাইকটিতে ৩২০ মি.মি এর বিশাল ফ্রন্ট ও ২৩০ মি.মি এর রিয়ার ডিস্ক ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে। বাইকটিতে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা যায়। বাইকটিতে N সিরিজের একই Grimeca ব্র্যান্ড এর ব্রেক ক্যালিপার ও মাস্টার সিলিন্ডার ব্যাবহার করা হয়েছে তাই বুঝতেই পারছেন বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম কতটা উন্নত।
সাসপেনশন সিস্টেম: বাইকটির সামনে ৪৩ মি.মি আপসাইড ডাউন ফর্ক (USD) ও পিছনে ৬ স্টেপ এডজাস্টেবল মনোশক অ্যাবজর্বার ব্যাবহার করা হয়েছে যা রাইডিং আরামদায়ক করবে বলে ধারণা করা যায়।
এডজাস্টেবল ক্লাচ ও ব্রেক লিভার: ৫ স্টেপের এটজাস্টেবল ক্লাচ ও ব্রেক লিভার বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে যাতে রাইডার তার সুবিধা অনুযায়ী ক্লাচ ও ব্রেক লিভারের পজিশন এডজাস্ট করে নিতে পারেন।
ইলেকট্রনিক থ্রোটল কন্ট্রোল, কুইক শিফটার, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল: বেস্ট রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স নিশ্চিতের লক্ষ্যে বাইকে ইলেক্ট্রনিক থ্রোটল কন্ট্রোল, কুইক শিফটার, ট্যাকশন কন্ট্রোল দেওয়া হয়েছে যা বাইকের পাওয়ার আউটপুট এবং রাইডিং ডিফিকাল্টিজ রাইডারের পছন্দ অনুযায়ী কন্ট্রোল করা সম্ভব।
মাইলেজঃ মোট ১২ লিটারের ফুয়েল ক্যাপাসিটির সাথে প্রতি লিটার জ্বালানী তেলে বাইকটি ৩০ কিলোমিটারের মাইলেজ দিতে সক্ষম। বাজাজের তথ্য অনুযায়ী উচ্চ সিসির বাইকে এই মাইলেজ যথেষ্ট ভাল বলেই মনে হচ্ছে, তবে জ্বালানীর মান ও রাইডিং স্টাইলের উপরে মাইলেজ কম বেশি হতে পারে।
এই ছিল এক নজরে Pulsar NS 400zএর এক নজরে বিস্তারিত। বিশ্বব্যাপী বাইকারদের পছন্দে শীর্ষে থাকা পালসার সিরিজের বাইকটির হায়ার সিসি এবং আকর্ষণীয় ফিচারস এর কারনে Pulsar NS 400z আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে।
যেহেতু বাংলাদেশের বর্তমান সিসি লিমিট ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত এবং এই বাইকটির ইঞ্জিন ৩৭৩.২৭ সিসি এর সুতরাং আমরা আশা করতেই পারি বাজাজ বাংলাদেশ তথা উত্তরা মোটরস লিমিটেড বাংলাদেশি বাইকারদের কথা মাথায় রেখে বরাবরের মতই স্পেয়ার পার্টসের সহজলভ্যতা এবং সন্তোষজনক বিক্রোয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করে বাইকটি রিজনেবল প্রাইসে অতিদ্রুত বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ করার ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।
বাইকের লঞ্চিং, মূল্য ও প্রি বুকিং, বিষয়ক তথ্য সবার আগে পেতে বাইকবিডির সাথেই থাকুন।