বাংলাদেশে মোটরসাইক্লিং স্টান্ট করার ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল
This page was last updated on 03-Jul-2024 11:21am , By Shuvo Bangla
বর্তমানে বাংলাদেশে মোটরসাইক্লিং স্টান্ট (Motorcycling Stunt) একটি জনপ্রিয় বিষয় । বাইক চালানো হল এমন কিছু যা আমাদেরকে স্বপ্নের রাজ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং আমরা যে বাইকে চড়ছি তার সম্পূর্ণ ক্ষমতা সম্পর্কে ধারনা দেয় । কিন্তু প্রত্যেক উৎসুক চালকই বাইক চালানোর সাধারন কৌশলগুলো আয়ত্ত করেই নিজেদেরকে “ ঝুঁকিপূর্ণ চালনার” দিকে ধাবিত করে মানে সে স্টান্ট বাইকিং এর দিকে মনোযোগ দেয় । স্টান্ট বাইকিং হল নিপুণ দক্ষতা দেখানোর একটি শিল্প যা চালককে তার সর্বোচ্চ সীমায় বাইকটি চালাতে সক্ষম করে তোলে সচরাচর যেমন দেখা যায় তার চেয়েও সেরা নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে । একজন বিভিন্ন উপায়ে স্টান্ট করতে পারে,এটা হতে পারে হুইলের সাহায্যে বা থামানোর সময় কিংবা অন্য কোনভাবে । স্টান্ট করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মোটরসাইকেলের উপর চালকের নিয়ন্ত্রণ ।
বাংলাদেশে মোটরসাইক্লিং স্টান্ট করার ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল
Also read: বাইকের স্যাডল হাইট কী এবং এর গুরুত্ব
যে কোন ধরনের স্টান্ট যেটা আপনার মনে রয়েছে, সেটি যথাযথভাবে করার জন্য প্রথমেই আপনার যেটা জানা প্রয়োজন সেটা হল ,স্টান্ট সম্পর্কে জানা এবং যে মেশিনের সাহায্যে স্টান্ট করবেন সেটি সম্পর্কে জানা ।
কিভাবে মোটরসাইক্লিং স্টান্ট করা হয় তা জানতে নিন্মে কিছু সাধারন পরামর্শ দেওয়া হলঃ (এগুলো সব ধরনের স্টান্ট এর ক্ষত্রে প্রযোজ্য)
১.প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল,নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরিধান করা। মেরুদণ্ডের বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থাসহ জ্যাকেট পরা যা মাথা থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত রক্ষা করবে এবং ভালো হেলমেট ক্রয় করা ।
২. দ্বিতীয়ত এবং গুরুত্বপূর্ণ হল, বাইকে কোন ত্রুটি আছে কিনা তা জানার জন্য বাইকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা করা । যে কোন ছোটখাটো সমস্যাই বড় সমস্যার কারণ হতে পারে যে কারণে বাইক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে এবং স্টান্টটি নষ্ট হয়ে যাবে যেটা আপনি করতে চেয়েছিলেন।
৩.বাইকের ব্রেক ও টায়ারের আকার পরীক্ষা করে নিন যেগুলো সবসময় ভালোভাবে রক্ষনাবেক্ষণ করা উচিত।
৪.যে কোন স্টান্টেই বাইকের মাঝখানের অংশ বড় ভূমিকা পালন করে । তাই একটি যথাযথ স্টান্টের জন্য বাইকের মাঝখানের অংশ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণের কৌশল আয়ত্ত করে তারপর স্টান্ট করা উচিত। একটি বাইক যেমন এফ.জেড.এস ( FZ-s ) এ মাঝখানের অংশ খুবই নিচু যা প্রায় মাটির কাছাকাছি। তাই যেকোনো ধরনের স্টান্টের জন্য এমন আকার প্রয়োজন যাতে বাইকের উপর আপনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে । অন্যদিকে ম্যাগেল্লি ধরনের বাইকগুলোর মাঝখানের অংশ অন্যান্য বাইক হতে উঁচু ।এটি সাধারনের কাছে বিভিন্ন ধরনের স্টান্টের জন্য জনপ্রিয় ।
৫. আপনার স্টান্টটি অনুশীলন করুন । আপনি যদি অবহেলা করেন তবে আপনি পিছিয়ে পড়বেন । প্রত্যেক স্টান্টের সঠিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করুন এবং বাস্তবে দেখানোর আগে ভালোভাবে অনুশীলন করুন। যেকোনো দুর্ঘটনার জন্য একটি বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখুন ।
৬. মোটরসাইকেল স্টান্টের জন্য একটি প্রশস্ত খোলা জায়গা নির্বাচন করুন । ঢাকা শহরে এ রকম জায়গা বেশী নেই কিন্তু বসুন্ধরার শেষে কমিউনিটি সেন্টারের পাশের জায়গাটি একটি ভালো স্থান হতে পারে । অন্যটি হল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠের সাথে যে রাস্তাটি মিলিত হয়েছে সেটি । কিন্তু সেরা স্থান হল জাতীয় সংসদ ভবনের মাঠ, যদি আপনি সেখানে অনুশীলনের অনুমতি পান ।
৭. আপনার উভয় টায়ারেই ওজনের ভারসাম্য পরীক্ষা করুন এবং অবশ্যই টায়ারে বাতাসের চাপ পরীক্ষা করুন এটা জানার জন্য যে এটা আপনার স্টান্ট সম্পূর্ণ করতে পারবে ।
আজকে আমরা বাংলাদেশে মোটরসাইক্লিং স্টান্টের শুধুমাত্র সাধারণ বিষয়গুলো ঝালিয়ে নিলাম ।এই কৌশলগুলো বুঝার সবচেয়ে ভালো উপায় হল গুগলে কিছু ভিডিও দেখা । স্টান্ট করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল কোন বড় ভাই থেকে শেখা বা বাইকিং সমাজের অন্য কেউ যে সাধারণভাবে এক্ষেত্রে দক্ষ হিসেবে পরিচিত ।এই লেখার পরবর্তী পর্বে আমরা নির্দিষ্ট স্টান্ট এবং কি করে আপনার স্টান্ট আরো ভালো করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবো ।
ছবিঃ রোড রাইডারস