165cc মোটরসাইকেল বাংলাদেশে - সঠিক সিদ্ধান্ত নাকি মূল্যহীন সিদ্ধান্ত ?

This page was last updated on 28-Jul-2024 09:55am , By Saleh Bangla

বাংলাদেশের বাইকারদের জন্য সবচেয়ে সুখবর হচ্ছে যে সরকার সিসি লিমিট বাড়িয়ে 165cc করেছে। এর ফলে বাইকারদের অনেকেই  নিজেদের স্বপ্নের বাইক কিনতে পারবে। যদিও আগে সিসি লিমিটেশন 155cc ছিল, যার ফলে বাইকারা অনেক স্বপ্নের বাইক ও চালাতে পারেনি। কিন্ত্‌ এখন প্রশ্ন হচ্ছে  যে সিসি লিমিট বাড়ানো ফলে এটা বাংলাদেশে কি প্রভাব পরবে ?  তাই আজ আমাদের আলোচনার বিষয়, হলো, যে বাংলাদেশে 165cc মোটরসাইকেল কি ভাল হবে নাকি সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ন মূল্যহীন হবে ? 

165cc motorcycle in bangladesh

বাংলাদেশে 165cc মোটরসাইকেল - সম্পূর্ন মূল্যহীন সিদ্ধান্ত!

যখন খবর পেলাম যে বাংলাদেশে সিসি এর লিমিটেশন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে তখন আমার রিএকশন ছিল যে এই ছোট লিমিটেশন এ কি হবে! মাত্র ১০সিসি বাড়িয়ে সিসি লিমিট ১৫৫সিসি থেকে ১৬৬সিসি করা হয়েছে। আসলে এটা হতাশাজনক এবং বিরক্তিকর, যেখানে আশা করা হয়েছিল যে সিসি লিমিট হবে ২৫০সিসি। আমার পক্ষ থেকে যদি বলি, তবে এই সিসি বাড়ানোর কোন মানে হয় না। এই সিসি লিমিটেশন এর জন্য হয়ত অল্প কিছু বাইক দেশে আসবে। কিন্তু অলরেডি  কিছু হাই পাওয়ারের  বাইকও আছে ১৫৫সিসি লিমিট এর মধ্যে। 

165cc honda cb hornet feature specification price

Upcoming 165cc Motorcycles In Bangladesh

যদি সত্যি বলি তবে এই সিদ্ধান্তে আমাদের বাইক মার্কেটে সেভাবে মানগতভাবে কোন চেঞ্জ আসবে না। তাই আমি আবারও বলছি যে এই বাইক লিমিটেশন তেমনভাবে বাইকারদের সেভাবে উপকারে আসবে না। তারপর আপনাদের জন্য চেষ্টা করছি কিছু ভাল দিক তুলে ধরার।

বাংলাদেশে ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেল - কি কি ভালো দিক রয়েছে?

বাংলাদেশে এই সিসি লিমিট এর কোন মানেই হয় না। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করলাম, আসলে ই কি কোন বেনিফিট নেই এই সিসি লিমিত থেকে? একটু আলাদা ভাবে চিন্তা করে দেখলাম, তারপর চিন্তা করে কিছু পয়েন্ট আউট করলাম এর কিছু ভালো দিক ও আছে। চলুন দেখি সিসি লিমিট বাড়ানোর পর এর ভালো দিক গুলো কি। 

yamaha yzf r15 v3 feature specification price

Few Newcomers in 165cc Motorcycle in Bangladesh

সিসি লিমিটেশন বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে ভালো যেটা হয়েছে তা হল কিছু নতুন মডেল এর বাইক বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশের বাইকাররা ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল কম্পানির যেসব ড্রাগ বাইক ব্যববহার করে থাকেন তারা এখন একচুয়াল ক্যাপসিটির বাইক ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে টিভিএস এপাচি আরটিআর১৬০ এবং বাজাজ পালসার এনএস১৬০ খুব শীঘ্র আমাদের বাজারে পাওয়া যাবে। 

যদিও ইতিমধ্যে কিছু বাইক পাওয়া যাচ্ছে তবে সংখ্যায় কম। তবে আশা করা যায় ইয়ামাহা আর১৫ ভার্সন৩.০ এবং হোন্ডা সিবি হর্নেট খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে পাওয়া যাবে। দিন শেষ বাইক আমদানীকারকদের জন্য সুখবর হচ্ছে যে এই সিসি লিমিট এর মধ্যে অনেক বাইক রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। তাই সেসব বাইক খুজে এদেশের জন্য প্রযোজ্য বাইক গুলো আমদানী করতে পারবে। 

165cc dirt bike in bangladesh

165cc Motorcycle in Bangladesh That’s Not The End!

খবর হচ্ছে এই যে ১৬৬সিসি লিমিটেশন ই শেষ নয়। এই সিসি তে আমরা এখন কিছু কম্পানির অল্প কিছু মডেলর বাইক পাবো। এতে করে কিছু কম্পানি লাভবান হবে এবং তাদের বর্তমান প্রোডাক্ট গুলো কে নতুন করে ডিজাইন করার সুযোগ রয়েছে। তরুনদের জন্য অল্প কিছু কম্পানি নতুন একদম নতুন কিছু নিয়ে এসছে। অপর দিকে যারা বর্তমানে তাদের রেগুলার বাইক নিয়ে বাজার ধরে আছে তারও নতুন কিছু আমদানী করার চেষ্টা করছে। 

saleh md hassan yamaha m slaz coxs bazar

 নতুন প্রোডাক্ট এবং ফিচার সম্বলিত হওয়াতে মার্কেট ধরতে একটু লম্বা সময় লাগবে, কারণ বর্তমান এ যারা মার্কেট এ আছে তারা অনেক সময় ধরে আছে। এছাড়া অন্য দিকে লবিং এর মাধ্যম এ সিসি লিমিটেশন বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে, সাথে সাথে তাদের বর্তমান প্রোডাক্ট গুলো নতুন ভাবে রিডিজাইন করছে আর যেসব প্রোডাক্ট গুলো লাইন আছে সেগুলোও বিভিন্ন ফিচার যুক্ত হচ্ছে। আর এখানেই আমি আশাবাদী যে ভবিষ্যত এ অনেক নতুন ফিচার এবং সিসি এর বাইক পাবো। পাঠকেরা আশা করছি আপনার আমাদের পয়েন্ট গুলো বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের যেকোন মতামত শেয়ার করতে পারেন। আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।