হিরো Xtreme 200s 4v: স্পোর্টি ফিল ও কমফোর্টের কম্বিনেশন
This page was last updated on 14-Jul-2024 02:59am , By Badhan Roy
আমরা জানি, সাধারণত স্পোর্টস বাইকগুলোর সিটিং পজিশন খুব একটা আরামদায়ক হয়না। পিলিওনতো বটেই, দীর্ঘসময় রাইড করার জন্য স্পোর্টস বাইকের সিটিং পজিশন আদর্শ নয় বলা বাহুল্য। তবে পাওয়ার, কম্ফোর্টনেস, প্র্যাক্টিকাল এবং স্পোর্টি ফিলের কম্বিনেশনে বাংলাদেশে শীঘ্রই লঞ্চ হতে যাচ্ছে Xtreme 200s 4v মডেল টি। বাইকটি সম্প্রতি হিরো বাংলাদেশ কতৃক আয়োজিত “কারিজমা কার্নিভাল” ইভেন্টে ডিসপ্লে করা হয়েছে এবং বাইকারদের আকর্ষিত করেছে। চলুন এক নজরে বাইকটি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
হিরো Xtreme 200s 4V ডিজাইন:
হিরো Xtreme 200s 4v এর ডিজাইন স্পোর্ট সেগমেন্ট ফোকাস করে করা হলেও এই বাইকটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটির সিট এবং হ্যান্ডেলবার পজিশন কম্যুটার বাইকের মত। প্রথম দেখায় এটির সাথে হিরোর অন্যতম জনপ্রিয় কম্যুটার বাইক Hunk 150r এর সাথে কিছুটা মিল পাওয়া যায় বলে মনে হতে পারে। স্পোর্টি এরোডায়নামিক ফেয়ারিং এর কারনে বাইকটিকে বেশ এগ্রেসিভ দেখায় এবং এর এরোডায়নামিক হ্যান্ডেলিং উন্নত করে। এতে দেওয়া হয়েছে ডুয়াল এলইডি হেডল্যাম্প এবং মাল্টিবাল্ব টেইলল্যাম্প যা ডিআরএল ফিচারসহ এবং যথেষ্ট স্টাইলিশ।
ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন:
হিরো Xtreme 200s 4v বাইকটিতে রয়েছে ৫-স্পিড গিয়ারবক্স ও ওয়েট মাল্টিপ্লেট ক্লাচের সাথে ১৯৯.৬ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, অয়েল কুলড, ৪ ভাল্ভ, ৪ স্ট্রোক ফুয়েল-ইনজেক্টেড OHC ইঞ্জিন, যা ৮৫০০ আরপিএম-এ ১৮.৮৪ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৬৫০০ আরপিএম-এ ১৭.৩৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকটি ১৩০ কি.মি/ঘন্টা পর্যন্ত টপস্পিড দিতে সক্ষম। এই ইঞ্জিনটি বিএস-৬ প্রযুক্তির সাথে তৈরি, যা পরিবেশবান্ধব ও ভাল রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স এর নিশ্চয়তা দেয়।
ফিচারস: হিরো Xtreme 200s 4v এর কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচারস হলো:
সিট হাইট, ওজন ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স: ৮২৫ মি.মি এর সিট হাইট, ১৬৫ মি.মি এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ও ১৫৮ কেজি ওজনের কার্ব ওয়েট থাকছে বাইকটিতে।
ইগনিশন সিস্টেম: সেলফ এবং কিক।
ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার: সম্পূর্ণ ডিজিটাল এলসিডি ক্লাস্টারটিতে রয়েছে ফুয়েল লেভেল, একাধিক ট্রিপ মিটার, স্পিডোমিটার, ট্যাকোমিটার, গিয়ার, সার্ভিস ইন্ডিকেটর, টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন এবিএস ইন্ডিকেটর, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, ঘড়ি ইত্যাদি। ক্লাস্টারটির নিচে সর্বাধুনিক ইউএসবি চার্জিং পোর্টও দেওয়া আছে।
এলইডি লাইটিং: এলইডি ডিআরএল ও ডুয়াল হেডল্যাম্প, টেইলল্যাম্প এবং হ্যালোজেন টার্ন ইন্ডিকেটর বাইকটিকে আধুনিক এবং আর্কষণীয় করে তুলেছে। ডুয়াল হেডল্যাম্পটি বেশ প্র্যাক্টিকাল ও ফেয়ারিং এর সাথে মানানসই হওায় আকর্ষনীয় লুক দেয়।
গ্র্যাব রেইল: বাইকের বেটার ইন হ্যান্ড মুভিং ও পিলিওন এর জন্য থাকছে গ্র্যাব রেইল।
স্প্লিট ওয়াইড সিঙ্গেল সিট: যথেষ্ট চওড়া ও আরামদায়ক সিঙ্গেল কিন্তু সামান্য স্প্লিট সিট হওয়ার কারনে রাইডার ও পিলিওন উভয়ের কমফোর্ট নিশ্চিত হবে।
আপরাইট স্প্লিট হ্যান্ডেলবার ও লুকিং গ্লাস: আপরাইট ৩-পার্ট স্প্লিট হ্যান্ডেলবারের কারনে কম্ফোর্ট ও কন্ট্রোল এবিলিটি যেমন অনেকাংশে বেড়ে যায় তেমনই লুকিং গ্লাসের প্লেসমেন্ট হ্যান্ডেলবারের সাথে হওয়ায় বেটার ভিউয়িং এঙেল পাওয়া যায় যা পিছনের যানবাহন দেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
টিউবলেস টায়ার: বাইকটির টায়ার সাইজ সামনের টায়ার 100/80-17, পিছনের টায়ার: 130/70-17. বাইকটিতে এলয়রিমের সাথে টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে ফলে টায়ার পাংচারের ঝুঁকি কম এবং বেটার কনফিডেন্স এর সাথে রাইড করা সম্ভব।
ব্রেক: ব্রেকিংএর জন্য সামনে ২৭৬ মিমি ও পিছনে ২২০ মিমি এর পেটাল ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। ব্রেকিং কে আরো দ্রুত এবং নিরাপদ করতে বাইকটিতে দেওয়া হয়েছে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম যা বৃষ্টি ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে খুবই জরুরী।
সাসপেনশন সিস্টেম: বাইকটির সামনে টেলিস্কোপিক শক অ্যাবজর্বার ও পিছনে ৭-স্টেপ মনোশক অ্যাবজর্বার ব্যাবহার করা হয়েছে যা রাইডিংকে আরামদায়ক করে তুলবে।
মাইলেজঃ হিরো মোটরকর্পের তথ্য অনুযায়ী ১২.৮ লিটারের ফুয়েল ক্যাপাসিটির সাথে প্রতি লিটার জ্বালানী তেলে বাইকটি ৩৫-৪০ কিলোমিটারের মাইলেজ দিতে সক্ষম। তবে পরিবেশ, জ্বালানীর মান এবং রাইডিং স্টাইলের উপর মাইলেজ কম বেশী হতে পারে।
তো এই ছিল হিরো Xtreme 200s 4v এর বিস্তারিত। স্পোর্টস লুক এন্ড ফিলের সাথে যে সকল বাইকারগণ কমফোর্টকে অগ্রাধিকারে রাখেন তাদের জন্য এই বাইকটি হতে পারে পারফেক্ট চয়েস। আশা করা যায় শীঘ্রই সাধারণ বাইকারদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই হিরো বাংলাদেশ তথা নিটল-নিলয় মটরস বাইকটি বাজারজাত করবে।
বাইকের লঞ্চিং, মূল্য ও প্রি বুকিং, বিষয়ক তথ্য সবার আগে পেতে বাইকবিডির সাথেই থাকুন।