Suzuki Gixxer 155 ৮০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - তৌহিদ রাসেল
This page was last updated on 31-Jul-2024 05:42am , By Shuvo Bangla
Suzuki Gixxer 155 নিয়ে শুরুটা কিভাবে করবো সেটাই ভাবছি , আমার নাম তৌহিদ রাসেল । চাকুরী করি অর্থ মমন্ত্রনালয়ের একটি প্রোজেক্টে । ঘুরাঘুরি আমার নেশা । বাংলাদেশের খুব কম জায়গা রয়েছে যেখানে আমার পাদচারণ পড়েনি , আর সেটা বাইক নিয়েই বেশী। নিজের কথা না বলি, চলেন সবাই আমার বাইকের গল্পের ভিতরে ঢুকি ।
Suzuki Gixxer 155 ৮০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ
আমি ঠিক জানি না আমার মত সবাই এমনটি ভেবেছেন কিনা ছেলেবেলা যখন কিছুই বুঝি না তখন থেকেই একটা জিনিস খুব করে মাথায় ঢুকে থাকতো , বড় হয়ে যেন আর যাই হোক আমার একটা বাইক থাকা চাই ।
রাস্তায় পাশকাটিয়ে বাইকগুলি চলে যাওয়া দেখতে খুব ভালো লাগতো, এক প্রকার হাঁ করে বোকার মত তাকিয়ে থাকতাম। এভাবেই কখন যে বড় হলাম, পড়ালেখা পাঠ - চুকিয়ে চাকুরীতে যোগদান করলাম কিন্তু আমার বাইকের পোকা মাথা থেকে তখনো সরেনি । সময় ২০০৭-০৮ হবে অল্প বেতনের চাকুরী, চাকুরির পাশাপাশি এমবিএ ভর্তি হওয়ার মধ্যে আমার বাইকের স্বপ্নগুলি ফ্যাকাশে হয়েই রইলো।
একদিন ক্যাম্পাসে বন্ধু শিহাবের নতুন বাইক পালসার ১৩৫ দেখে হাত বুলিয়ে নিলাম বাইকটার গায়ে। কেমন যেন খুব অসহায় লাগছিল , স্বাদ আছে সাধ্য নেই ব্যাপারটা সেরকমই। বন্ধু শিহাবকে সেদিন বলারও সাহস ছিল না যদি না করে দেয় এই ভয়ে। এর পরে একদিন ক্যাম্পাসে লিটন ভাই নতুন বাইক নিয়ে হাজির, বাইক দেখে মনে হচ্ছিল এটা আমার নিজেরই বাইক।
বনানী রোডে সেদিন আমি বাইক প্রথম চালিয়েছি, আহ্! সে কি অনুভুতি! যা হয়ত লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না। এমবিএ পড়া অবস্থায় লিটন ভাইয়ের বাইক ছিল আমার প্রতিদিনের সঙ্গি। এগুলি ছিল ২০০৯-১০ এর ফেলে আসা কাহিনি। এত দিনে আমার এমবিএ শেষ, কিন্তু বাইকের স্বপ্ন শেষ হয় না। অতপর এসেছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, জীবনের প্রথম বাইক । ক্রয়ের দিন চলেন ঘুরে আসি সেদিনে ।
আমার প্রথম বাইক ক্রয়ের দিন :
বিশ্বাস করুন সেদিন আমার কাছে ছিল ৬০ হাজার টাকা, আব্বু তখন হজের ফ্লাইট ধরবে এমন অবস্থা। আম্মুকে বললাম আমি বাইক কিনতে যাচ্ছি। আম্মু শুনে তো অবাক বাইক কিনবি টাকা আছে তোর কাছে ? আমি বললাম, আছে।
আমাকে অবাক করে আম্মুর নিজের টাকা (৪৪ হাজার) আমার হাতে দিয়ে বললো নে, এই টাকাই আছে। আমি ছুটলাম আমার স্বপ্ন পূরণ করতে। কি বাইক কিনবো তখনো ঠিক নাই। বন্ধু মহসিনকে সাথে নিয়ে ফরিদপুর শহরে বাইকের সন্ধানে। ঘুরতে ঘুরতে ওয়াল্টন প্লাজায় ঢুকলাম। কিনে ফেললাম আমার প্রথম বাইক ওয়াল্টন ফিউশন ১১০ সিসি। প্রথম বাইক হিসেবে অনেক আবেগঘন মূহুর্ত রয়েছে, সেদিকে যেতে চাই না।
ফিরছি আমার ৫ নাম্বার বাইক Suzuki Gixxer 155 এর কথায়। মাঝখানে অবশ্য keeway 100, keeway 150 (cbs) আর বেনেলী ১৫০ চালিয়ে চাইনিজ এর তিক্ত অভিজ্ঞতা জমেছে নিজের ঝুলিতে সে অনেক কথা, কাউকে বোর করতে চাইছি না।
কেন Suzuki Gixxer 155 আমার পছন্দ :
শুরুতেই বলবো শান্ত ভাইয়ের কথা, একদিন বসে আছি মিরপুর ৬০ ফিটে zontes এর শোরুমে। শান্ত ভাই বলছে ভাই বাইক তো সেল করে দিলেন বাইক কিনবেন না ? উত্তরে আমার পালটা প্রশ্ন ছিল ভাই কি বাইক নিবো। শান্ত ভাই বললো চলেন , শান্ত ভাইয়ের R15 নিয়ে দুই ভাই ছুটলাম Suzuki Rider zone এ। পরিচয় হলো পলাশ দাদার সঙ্গে, দাদা কফি খাইতে খাইতে বললো ভাই নিজেদের মানুষ তাই একটা পরামর্শ দেই জিক্সার মনোটন নেন ।
এই বাইক নিয়ে কোন কমপ্লেন নেই । শান্ত ভাই বলে উঠলো ভাই তাহলে মেরুন কালার নিবেন। আমার কোন কথা ছিল না শান্ত ভাই তার কাছ থেকেই ৫০০০ টাকা এডভান্স করলো। চলে আসলাম, ঠিক এক মাস পরে বাইক পেলাম। Suzuki ব্রান্ডে আমার এই প্রথম পদচারণ। শুরু হলো নতুন অভিজ্ঞতা। বাইক রাইড করি আর - টিম বাইকবিডির একটি কথা ব্রেনকে কুল করে দেয় Man this is an epic machine! সত্যি বাইক প্রেমিদের জন্য কথাগুলি মনে গেঁথে রাখার মত ।
একটা সিঙ্গেল ডিস্কের বাইকের এতটা কন্ট্রোল যা আমাকে প্রতি নিয়ত আবাক করেছে। আমার এই বাইক কেনার কয়েকটা কারনের মধ্যে একটা ছিলো সেল্ফ + কিক স্টার্ট। এছাড়াও ব্যাটারি / ওয়্যারিং - এর ব্যাকআপ থাকাটা আমাকে খুব স্বস্তি দেয়। বাইকটা কিনেছি ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা দিয়ে ,আর কাগজ ১২০০০/- সব মিলে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার পড়েছিল কাগজ সহ।
বাইকটাতে আমার প্রথম অভিজ্ঞতা :
বাইকটি কেনার পরে প্রথম যেদিন শোরুম থেকে বের হই, মিরপুর-১০ নাম্বারের সিঙ্গনাল ছাড়িয়ে আসার পথেই এর প্রেমে পরে যাই। এক্সিলারেশন অন্য সাধারণ বাইকের মত না, সিটং পজিশন অন্য বাইক থেকে পুরোই আলাদা। ব্যলেন্স, কন্ট্রোলি যেন আগুন। আপসোস হচ্ছিল বিগত দিনে কি বাইক চালিয়েছিলাম এই ভেবে।
কি কি আছে Suzuki Gixxer 155 SD বাইকটিতে :
Suzuki Gixxer 155 SD বাইকটি বাজারে Monotone নামে পরিচিত। পূর্বে এর কালারের ভেরিয়েশন থাকলেও, বর্তমানে বাইকটি সম্পুর্ন এক কালারে পাওয়া যায়। নতুনভাবে ম্যাট কালার যোগ হয়েছে।
- 4-stroke, Single Cylinder, Air-cooled ইঞ্জিন।
- 154.9 CC শক্তিশালী ইঞ্জিন।
- ৫ স্পিড গিয়ার বক্স ।
- এর সর্বোচ্চ পাওয়ার 14.8
- 8000 rpm এবং সর্বোচ্চ 14Nm Torque উৎপন্ন করতে পারে।
- ওজন ১৩৯ কেজি।
- টায়ার সাইজ 160/60R-17 (পিছনে), 100/80-17 সেকশন(সামনে) উভয়ই টিউবলেস টায়ার।
- এটি কমিউটার নেকেড স্পোর্টস বাইক।
- অফিসিয়াল ট্যাগ “The street sports”।
আমার ৮০০০ কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা :
প্রথমেই বলবো এ কয়টি দিনে এই বাইকটা আমাকে কখনোই হতাশ করেনি। বড় রাইডের মধ্যে ঢাকা- টু - যশোর ছিল এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। হাইরোডে এই বাইক যেন বাজ পাখির মত। কাউকে পরোয়া করেনা যদিও এই ভাষাটা একজন বাইকারের ভাষা হওয়া উচিৎ না, কারন আমি কখনোই গতিতে বিশ্বাসী নই।
সেদিনের সর্বচ্চ গতি ছিল ১০৬ কিমি, যা এই বাইকের আমার তোলা এটাই সব থেকে বেশি । তখন অবশ্য আর পি এম লক ছিল, হয়ত আরো উঠতো। বেশি যেটা ভালো লেগেছিল সেটা হলো এতটা পথ পারি দেওয়ার পরেও আমার মধ্যে কোন ক্লান্তিভাব ছিল না। হাত ব্যাথা , ব্যাক পেইনের বালাই ছিল না।
প্রতি ৫০-৬০ কিলোমিটার পর পর বাইক রেষ্ট দিয়েছি সাথে নিজেও চা খেয়েছি। এছাড়াও প্রতিনিয়ত আমার ঢাকা-টু- রাজবাড়ি আসা যাওয়া হয়। বাইক আমার কাছে নেশার মত, ফেরীতে পারাপার আমাদের রাজবাড়ি বাসীর জন্য এক্সট্রা বেনিফিট বলবো। ঈদের মূহুর্তে যখন শুধু বাইক আর বাইক থাকে সেটা সত্যি ভিন্ন রুপ নেয়। একজন বাইকার হিসাবে ব্যাপারটা ভিষন ইনজয় করি।
আমি কেন বাইক প্রেমী :
আমার আম্মুই মাঝে মধ্যে বলে একটা বাইক দরকার আছে পরিবারে টুকিটাকি অনেক কাজে লাগে । আম্মুর কথাটির অনেক যৌক্তিক কারন রয়েছে। আমি বাইক কেনার পরে অটো, ভ্যান, সি এন জি তে কবে উঠেছি মনে পড়ে না। আর বাসে খুব দূরে না হলে কখনোই না। আমার একটা চিন্তা মাথায় সবসময় ঘুরপাক খায় সেটা হলো, একজন অটো , সি এন জি , অথবা বাস ড্রাইভার কি আমার থেকে সচেতন ভাবে ড্রাইভিং করে !
আমি আমার ব্যাপারে যতটুকু সচেতন অন্যরা কিভাবে সেটি হবে আমি ঠিক জানি না। হয়ত অনেকেই আমার সঙ্গে দ্বিমত হতে পারেন সেটা ভিন্ন বিষয়। আমার যেহেতু এই মূহুর্তে চার চাকা কেনার সামথ্য নেই তাই বাইকই প্রথম পছন্দ।
বাইক নিয়ে আমার কিছু ভিন্ন অভিজ্ঞতা :
আমি যখন বাইক রাইড করি তখন নানা রকম তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মূখিন হই। বিশেষ করে হাইরোডে বেশী হয় আমাকে ওভারটেক করে ভুঁ করে চলে যাচ্ছে কোন বাইকার অথচ মাথায় হেলমেট নেই। পপার সেফটি মেইনটেইন করছে না, ভাবছে আমি তাদের সাথে রেস খেলবো। যা রীতিমত আমার কাছে হাস্যকর লাগে।
এদের দেখলেও করুনা হয়। এরা বাইকিং সেক্টরটা কুলশিত করছে প্রতিনিয়ত।
৮০০০ কিলোমিটার চালাতে আমার বাইকের সার্ভিসং অভিজ্ঞতা :
আমি বরাবরই মিরপুর ৬০ ফিট থেকে সার্ভিস নিয়ে থাকি। নির্দ্রিষ্ট একজনকে দিয়েই করাই। নাম উল্লেখ করতে চাইছি না। তবে আমার বাইক নিয়ে গেলে কিছু বলতে হয় না। বাইক চালিয়েই বলে দেয় কি প্রব্লেম আছে। আমার একটা জিনিস বলা উচিৎ বাইক অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই সার্ভিস করানো উচিৎ।
ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে করলে বাইকের প্রব্লেম হতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি একবার ফরিদপুর থেকে ( সুজকির ডিলার থেকে ) করিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়েছিলাম।
আমি যেভাবে বাইকের ব্রেকইন পিরিয়ড মেইনটেইন করেছি :
২৫০০ কিলয়মিটার বাইক রাইড করেছি কোম্পানির গাইড লাইন মেইনটেইন করে। প্রথম ৩০০ কিলয়মিটার ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ
করেছি , পরেরটা ৮০০, এর পরে আবার ১৮০০ তে গিয়ে। এর পর থেকে প্রতি ১০০০ কিলোমিটারে ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করেছি , যা এখনো চলমান । এখন ফুল সেনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করিনি। ভাবছি ১০ হাজার থেকে করবো। আর একটি কথা যদিও আরপিএম লক ছিল তবুও ২০০০ কিলোমিটার এর মধ্যে কখনোই ৫০০০ আর পি এম এ বাইক রাইড করি নাই।
আমার বাইকের যত্ন আমি যেভাবে নেই :
প্রথমেই বলে নেই আমি একজন সাধারণ মানুষ। একেবারেই নিম্ন মধ্যবিত্ত বলতে পারেন। ইচ্ছা করলেই আমি বাইক চেঞ্জ করতে পারি না, তাই আমার বাইকের যত্নটা সেভাবেই করতে হয়। পথমেই বলবো ইঞ্জিন অয়েল, যা আমি কখনো ১০০০ ক্রস করতে দেই না। অয়েল ফিল্টার ২০০০ কিলোমিটার পর পর চেঞ্জ করি।
কখনো ইঞ্জনে প্রেসার দিয়ে রাইড করি না। নিয়মিত চেইন লুব দেই। আর একটা বিষয় উল্লেখ , আমি ইঞ্জিনে কাদা প্রটেকশনের জন্য কিছু লাগাইনি কারন এটি যেহেতু এয়ার কুল ইঞ্জিন তাই এমন কিছু করতে চাইনি যাতে আমার বাইকের ইঞ্জিন ক্ষতি হয়। বাইক পরিস্কার রাখা আমার সখ এটা নিজ হাতেই করি।
যে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি :
আমি শুরু থেকেই মতুল মিনারেল 10w40 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। আগেই বলেছি এটা ১০০০ কিলোমিটার এর বেশী চালাই না। আর অথরাইজ ডিলার অথবা সুজকির শোরুম থেকে নেওয়ার চেষ্টা করি।
৮০০০ কিলোমিটারে আমি যা পরিবর্তন করেছি :
এই ৮০০০ কিলোমিটারে আমার তেমন কিছুই পরিবর্তন করতে হয়নি। শুধু মাত্র চেইন লক আর স্পার্ক প্লাগ ছাড়া। সেটিও আমার ইচ্ছায়। সার্ভিস সেন্টার থেকে বলেছিল আরো চালনো যাবে। আমি রিস্ক নেইনি।
আমার বাইকে যা মডিফাই করেছি :
আগেই বলে নেই আমি মডিফাইয়ে বিশ্বাসী না। তবে আমার বাইকের কিছু মডিফাই করেছি সেটি এক্সট্রা টাউয়ার গার্ড লাগিয়েছি আর ফুয়েল ট্যাংকির মাঝখানের পার্ট ব্লাক কালার করেছি। আমার মনে হয়েছে এতে আমার বাইকের লুক কিছুটা হলেও আরো এগ্রেসিভ লাগছে।
Suzuki Gixxer 155 বাইকের কিছু ভালো দিক :
- বাজেট অনুযায়ী বেষ্ট বাইক এই সেগমেন্টে ।
- রেডিপিকাপের জন্য বেষ্ট ।
- নেকেট স্পোর্টস হিসাবে লুক অন্য বাইক থেকে আলাদা ।
- সিটিং পজিশন ভালো ।
- বাইকের হেন্ডেলবার বাইক অনুযায়ী অসাধারণ ।
- যথেষ্ট মজবুত একটা বাইক, কোন ভাইব্রেশন পাই নাই।
- টায়ার সাইজ অসাধারণ, যা কর্নারিং এ ভিন্নতা দেয়।
- কালার কোয়ালিটি বেশ ভালো ।
Suzuki Gixxer 155 বাইকের কিছু খারাপ দিক :
- পিলিয়ন সিট খুবই ছোট। আরামদায়ক নয়।
- হ্যালোজেন হেডলাইট।
- হর্ণ কোয়ালিটি খুবই নিম্নমানের।
- ক্লাস খুব হার্ড।
- গিয়ার সিফটিং হার্ড
পরিশেষে আমার কিছু কথা :
সুজকি বাইক নিয়ে আসলে নতুন কিছুই বলার নাই। একটি জাপানি বাইকের রিভিউ দেওয়া সত্যি কঠিন। যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করেছি। আমি নিজে একজন বাইক প্রেমী মানুষ । বাইককে মনেপ্রাণে ধারন করি। আসলে শুভ্র সেন দাদা কিন্তু আমার জন্য আর একটি বড় অনুপ্রেরণার নাম। মানুষটাকে যত দেখি ততই অবাক হই, কি অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মানুষটার মধ্যে। যদিও দাদার সাথে সামনা সামনি পরিচয় হয়নি কখনো ।
তবে ইচ্ছা আছে খুব। দাদার মত করে আমাদের মত হাজারো বাইকার মনে প্রাণে ধারণ করুক একটি সার্টিফাইড হেলমেট আর সেফটি গিয়ার সহ বাইক রাইডিং । তবেই আমরা এগিয়ে যাবো। সবাই একটি জিনিস মনে রাখবেন বাইক থাকলেই আপনি বাইকার না ।
বাইকার হতে সাধনা প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই সত্যিকারের বাইকার হই। সবাই ভাল থাকবেন। শুভকামনা নিরন্তর।
লিখেছেনঃ তৌহিদ রাসেল