হিরো হাঙ্ক ৮,০০০ কিঃ মিঃ মালিকানা রিভিউ - সাব্বির আহমেদ শুভ
This page was last updated on 11-Jul-2024 10:54am , By Saleh Bangla
বর্তমানে এ প্রায় প্রতিদিনই একাধিক হাঙ্ক সেল হচ্ছে, ধরা যায় এখনকার বাজারে হাঙ্ক টপ ৫ এ আছে সেলিং এর দিক দিয়ে তাই সবার জন্য হিরো হাঙ্ক নিয়ে একটা রিভিউ দিলাম। আমার হাঙ্ক ৮০০০ কিঃ মিঃ পার করেছে, সেই এক্সপিরিয়েন্স থেকে রিভিউটা দিচ্ছি।
হিরো হাঙ্ক ৮,০০০ কিঃ মিঃ মালিকানা রিভিউ
হিরো হাঙ্ক এর অসুবিধা:
১) সামনের দিকে মাস্কুলার লুক চাপা জায়গায় একটু বেশি জায়গা নিয়ে কর্নারিং করতে হয়। ২) চাকা ১০০ সেগমেন্টের হওয়াতে ব্যালেন্স এবং ব্রেকিং এ একটু রিস্কি। ৩) চেন কিছুদিন পর পর লুজ হয় সার্ভিস সেন্টার থেকে ফ্রি টাইট করে দেয় কিন্তু আবার ২৫-৩০ দিন পর লুজ হয়ে পরে এতে চেন কাভারে ধাক্কা খায়। ৪) ৭০-৮০ তে স্পিড থাকলে সাউন্ড স্মুথের কারণে শোনা কম যায় এতে ওভার টেকিং এর সময় পাশের গাড়ি সাউন্ড নাও শুনতে পারে এসময় বেশি বেশি হর্ন ব্যাবহার করতে হয়। ৫) হেডলাইটের আলো অনেক কম, থ্রোটল এর সাথে কানেক্টেড রাতে রাইডের জন্য কষ্টকর পিকাপের সাথে আপ ডাউন করে আলো
হিরো হাঙ্ক এর সুবিধা:
১) সিটিং পজিশন এতটাই কমফোর্টেবল যে, হাইওয়েতে চালিয়ে মজা পাবেন, লং টুর দিবেন কোনো সমস্যা নেই , ব্যাক পেইন হবে না । ( আমার দেখা এসজেড এর পর একমাত্র কমর্ফোটেবল বাইক ) ২) বাইকের স্মুথনেস এবং কন্ট্রোলিং দারুন, ৯০-১০০+ তে চালালেও কোন ভাইব্রেট করেনা। ৩) মাইলেজ একটা মেজর ইস্যু, যেটা আমি হাঙ্ক চালিয়ে এখন পর্যন্ত স্যাটিসফাই। ইকোনমি স্পিড এ চালালে ৫০+ পাওয়া যায় আমি এখন পর্যন্ত সিটিতে ৪০+ হাইওয়েতে ৪৫+ পেয়েছি। ৪) লং লাস্টিংয়ের জন্য সেরা বাইক এটিই, ৫ বছরের ওয়ারেন্ট অথবা ৭০০০০ হাজার কিলো আবার ৪ টা ফ্রি সার্ভিস। ৫) পিছনের চাকা চিকন হওয়ায় চেন অনেকদিন টিকবে,মাইলেজ বেশি পাওয়া যাবে,স্পিড বেশি পাওয়া যাবে। ৬) ব্রেকিং নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ । ডুয়াল ডিস্ক হওয়াতে দুটো ব্রেক একসাথে ব্যাবহার করলে ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ব্রেকিং সিস্টেম ইন বাংলাদেশ ৭) রেডি পিকাপ, হিরো হাঙ্কের রেডি পিকাপ খুব কার্যকর , ৫ সেকেন্ডের মধ্য ৬০+ উঠে যায় হাইওয়েতে খুব কাজে দিবে ওভারটেকিং এর জন্য ৮) পেছনে রয়েছে এলইডি টেইল লাইট ৯) ওজন ভারি হওয়াতে হাই স্পিড, ব্রেকিং এই সব সময় কনট্রোলিং ঠিক থাকে রিস্ক কম থাকে ১০) ১ লাখ ৬০-৭০ হাজার টাকার ভিতরে সবার জন্য হাংক বাইক টি বেটার সব দিক দিয়ে । এই সেগমেন্টে বেস্ট বাইক । টপ স্পিড নিয়ে আমার তেমন মাথা ব্যাথা নেই! তারপরেও আমি ১১৬-১১৭ পেয়েছি পিলিওন ছাড়া। ( আরও ২৫% এর মত থ্রোটল বাকি ছিলো )
হিরো হোন্ডা হাঙ্ক আর হিরো হাঙ্কের ডিফারেন্সঃ
হিরো হোন্ডা হাঙ্কের ম্যাক্স পাওয়ার এবং ম্যাক্স টর্ক হিরো হাঙ্কের থেকে বেশি ছিলো এতে স্পিড বেশি পাওয়া যেতো আর রেডি পিকাপও বেশি ছিলো । বাকি সব একই জিনিস, হিরো আর হিরো হোন্ডার মধ্যে আর কোনো ডিফারেন্স নেই। যাদের বাজেট এমন তারা চোখ অফ করে হিরো হাঙ্ক নিতে পারেন। আজকে এই পর্যন্ত, সবসময় নিরাপদে বাইক চালাবেন, বাইক চালানোর সময় হেলমেট এবং সেফটি গিয়ার ব্যাবহার করবেন, ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ সাব্বির আহমেদ শুভ
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।