হাইওয়েতে বাইক রাইডিং এর ক্ষেত্রে যে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে

This page was last updated on 06-Jul-2024 01:29pm , By Shuvo Bangla

সকল বাইক রাইডারদের জানাই শুভেচ্ছা। কিছুদিন হতেই ভাবছি বাইকবিডি এর মাধ্যমে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যায় কিনা। তাই আজকে হঠাৎ করেই বসে পড়লাম কম্পিউটারের সামনে। আজকের বিষয়টি মূলত হাইওয়েতে বাইক রাইডিং এর সতর্কতা সম্পকে। কথা না বাড়িয়ে বরং সামনে আগানো যাক।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনেকদিন হতেই বাইক চালাই। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই আছেন যারা শহর এলাকায় অথবা  লো স্পিডে বাইক বেশি চালান।ফলে হাইওয়েতে নিয়মিত চলাচল হয়ে ওঠে না। তারা যখন মাঝে মাঝে হাইওয়েতে বাইক ড্রাইভ করেন তখনও অসতর্কতার কারনে বড় ধরনের দুঘটনা ঘটতে পারে। সেই সমস্ত পরিস্থিতি গুলো নিয়েই আমি মূলত এই লেখাটি সাজিয়েছি।

০১/ হেলমেট একটি খুবই গুরুত্বপূর্ন্য বিষয়। কিন্তু নিয়মিত যারা হেলমেট পরেন না তারা যখন হটাত করে হেলমেট পরেন তখন কিছু সমস্যা তৈরি হয়। যেমন বাইকের গতির বাস্তবিক অব্স্থা, বাইক ইঞ্জিনের সূক্ষ কোন সমস্যা বা আশেপাশের সাইন বোর্ডে কোনো সতর্কতা মূলক দিক নিদের্শনা ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারনা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। একজন বাইকার হয়ত স্পিড মিটারে দেখছেন স্পিড ৯০ কিঃমিঃ/ঘন্ট‍া কিন্তু হেলমেট পরার কারনে মনে হতে পারে এটি আসলে অনেক কম স্পিড, কারন হেলমেট পরলে মুখে বাতাসের চাপ লাগেনা। যে কারনে দেখা যায় তিনি আরেকটু স্পিড বাড়ানোর প্রয়োজন মনে করতে পারেন। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার অতি গতিতে চালানোর ফলে বাইকে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তা হেলমেট পরার কারনে অতোটা বোঝা যায় না। কারন হেলমেট পরলে কানে শব্দ কম যায়। এটি মূলত অভ্যাসের ব্যাপার। আমি অনেকের মুখে শুনেছি যে, হেলমেট পরলে বাইক সাধারন সমসয়ের চেয়ে বেশি জোরে চালানো হয়ে যায়। অথবা অনেকে বেশি জোরে চালানোর প্রবনতার কথা বলেন। আগেই বললাম বিষয়টি সর্ম্পুন অভ্যাসের ব্যাপার এই জন্য আমার পরার্মশ হলো নিয়মিত হেলমেট পরা। এটি অভ্যাসে পরিনত হলে পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পকে যে একটি অস্পষ্ট ধারন থাকে তা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে।

০৩. অনেক সময় দেখা যায় যে, রাস্তা নির্মানের সময় পিচ নরম অবস্থায় থাকে। এসময় যদি শক্ত কোন কিছু দাগ টানা হয় তাহলে সেটি পরবতীতে স্থায়ী হয়ে যায়। এ কারণে দেখা যায় রাস্তার কোন কোন অংশে মোটা ও গভীর দাগের সৃষ্টি হয়েছে। দুর হতে এ ধরনের দাগ অনেক সময়ই বোঝা যায় না। কিন্তু কোন কারনে যদি বাইকে সামনের চাকা এ ধরনের ‍দাগের মাঝে চলে যায় তাহলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দুঘটনা ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে রাস্তাটি যদি পরিচিত হয় তাহলে এ ধরনের জায়গা গুলি মনে থাকে। কিন্তু রাস্তা অপরিচিত হলে যেকোন সময় এ সমস্যা সামনে আসতে পারে। সে কারনে অপরিচিত রাস্তার কম গতিতে বাইক চালানোই ভাল। আমাদের মনে রাখতে হবে যেহেতু বাইক একটি দুই চাকার বাহন সেকারনে একটি চারচাকার গাড়ী ও একটি বাইকের ভারসাম্য অনেক আলাদা। একটি চারচাকার গাড়ী রাস্তার যেসকল ভাঙ্গা অংশের মাঝখান দিয়ে যেতে পারে একটি বাইক সেসকল অংশ দিয়ে যেতে পারে না।

০৪. নদীমাতৃক দেশ হওয়ার কারনে হাইওয়েতে বাইক রাইডিং এর সময় অনেক সময়ব্রীজ এর মাধ্যমে বড় নদী পার হতে হয়। যেমন যমুনা সেতু, লালনশাহ সেতু, গড়াই সেতু ইত্যাদি। খোলা নদীর উপর সেতু হওয়ার কারনে ব্রীজের উপরে প্রায় সব সময়ই ভারী বাতাস অনুভব করা যায়। এই বিষয়টি লক্ষ্যনীয়। যদিও এখনকার বাইকগুলি যথেষ্ট ভাল ডিজাইনের এবং তাদের এ্যারো ডাইনামিকস ও অনেক ভাল। কিন্তু তারপরও যখন একটি বাইক যথেষ্ট গতিতে চলে তথন গতির কারনে তার ওজন কিছুটা কমে যায় এবং সে সময় বাতাসের কারনে ভারসাম্য হীনতা ঘটতে পারে। এ কারনে বাইক চালানোর সময় যদি মনে হয় বাতাসের কারনে বাইক চালানো সমস্যা হচ্ছে সেক্ষেত্রে বাইকের গতি কম করে নিরাপদ সীমার মধ্যে রাখাই ভাল। এখানে আরও একটি বিষয় লক্ষনীয় সেটি হল যখন পাশ দিয়ে বড় কোন বাস বা ট্রাক অনেক গতির সাথে সামনে বা পেছন থেকে চলে যায় তখন তাদের সাথে সাথে বাতাসের একটি ঝাপটা লক্ষ্য করা যায়। এই ঝাপটাটিও একজন অনভিজ্ঞ বাইকারকে ভারসাম্য হীনতায় ফেলতে পারে।

০৫. হাইওয়ে রাস্তায় অনেক সময় কোন দ্রুতগামী বাস অথবা ট্রাককে অপর একটি যানবাহনকে ওভারটেক করতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে বাইকটি সাথে সাথে থামিয়ে বা গতি কমিয়ে নিরাপদ দুরত্বে থাকাই ভাল। কারণ দ্রুতগতিতে ওভারটেক করার সময় অনেক ক্ষেত্রে তার চালকগণ প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি সাইডে সরে আসেন। এক্ষেত্রে পাশের ছোট বাইকটিকে তারা অতটা গুরুত্বের সাথে দেখেন না। সুতরাং এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বাইকারকেই সাবধান থাকতে হবে। আমার জানা মতে হাইওয়ে রাস্তা গুলোতে বিশেষ করে রাতের বেলার এ ধরনের অনেক দুঘটনা ঘটে।

০৬. বড় রাস্তাগুলিতে এর দুপাশ দিয়ে সাধারনত বড় গাছপালা লাগানো থাকে। গাছপালা গুলি রাস্তায় একটি আলো ছায়ার পরিরেশ সৃষ্টি করে যার কারনে ওই রাস্তায় বিদ্যমান স্পিড ব্রেকার অথবা ভাঙা অংশ ভালমতো নজরে আসেনা। সাধারনত অপরিচিত রাস্তাগুলিতে এ সমস্যাটি বেশি হয়। এক্ষেত্রে সামনে একই গতিতে চলা কোন বাইককে অনুসরণ করা যেতে পারে। আর যদি রাস্তা ফাঁকা থাকে তাহলে যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক চালাতে হবে।

০৭. অনেক সময় দেখা যায় যে, বড় রাস্তা গুলিতে বাঁশ, বড় কাঠ ইত্যাদি বহনকারী ট্রাক, লরি বা ভ্যান চলাচল করে। সমস্যা হল দুর হতে এ সকল যানবাহন দেখা যায় ঠিকই কিন্তু বহনকৃত মালামাল কতখানি জায়গা জুড়ে আছে তা বোঝা যায় না। ফলে কাছাকাছি যাওয়ার পর প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। আবার ওভারটেকিং এর ক্ষেত্রেও যে পরিমান সময় লাগার কখা এ ধরনের মালবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রে যে সময়টা বেশি লাগবে। এ বিষয় গুলি মাথায় রাখা উচিত। এক্ষেত্রে ট্রাকটি বা লরিটি কত গতিতে চলছে বা আপনার বাইকের সাপেক্ষে ওই গাড়িটির গতি কি রকম সে বিষয়ে একটি ভাল ধারনা থাকা বাঞ্চনীয়। বিশেষ করে আখবাহী লরিটি যেখানে সাধারনত তিনটি লরি ট্রেনের বগিরমত একসাথে চলাচল করে। এ ধরনের গাড়ী এর ক্ষেত্রে সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে হওয়া উচিত।

০৮. আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তায় মটরসাইকেল চালিয়ে যান। একটা কথা মনে রাখতে হবে, সেটি হল যখন রাস্তা ভেজা থাকে তখন গোটা পরিস্থিতি কিন্তু পাল্টে যায়। ভেজা আবহাওয়ায় টায়ার গ্রিপিং, ব্রেকিং, সবোর্পরি কন্ট্রোলিং এর ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় প্রভাব ফেলে। আপনারা যারা টিভিতে মোটর সাইকেল রেস দেখেন তারা হয়ত খেয়াল করে থাকবেন যে যখন ভেজা আবহাওয়ায় রেসিং হয় তখন রেসাররা টায়ার পরিবর্তন করে ফেলেন। এই টায়ারকে ওয়েট টায়ার বলে। ওয়েট টায়ার থাকলে রাস্তাতে গ্রিপিং বেশি হয় ফলে পিছলি যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। কিন্তু খারাপ দিক হলো এতে রাস্তার বাইকের স্পিড কমে যায়। কথাগুলো বলার কারণ হলো আমরা যারা সাধারন বাইকার তাদের কিন্তু ঘটা করে টায়ার পরিবর্তনের কোন সুযোগ থাকে না। সে কারনে ভেজা রাস্তায় গ্রিপিং ও ব্রেকিং এর বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে। সাধারন টায়ার ভেজা রাস্তায় কম গ্রিপ করে ফলে দ্রুতগতিতে চালানোর সময় হঠাৎ  ব্রেক করলে বাইক পিছলে যেতে পারে। এছাড়া কর্নারিং এর সময়ও যদি বাইক বেশি কাত হয়ে থাকে তাহলেও বাইক পিছলে যেতে পারে। বিশেষ করে বলতে হয় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে কর্দমাক্ত রাস্তার চালানোর জন্য বর্তমান ১৫০ সিসি বাইকগুলো খুবই অনুপযোগী। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ বাইকারেরাই এ ধরনের রাস্তায় চলতে পারেন। তাদের পাহাড়ী ভেজা রাস্তায় বাইক চালানোর ভিডিওগুলো দেখলেই বোঝা যাবে যে, তারাও কতটা সাবধানে এসব রাস্তায় বাইক চালান। সবোপরি আমার মতামত হলো রাস্তা যদি ভেজা ও কর্দমাক্ত হয় তাহলে বাইক না চালানোই ভাল। যদি জরুরী হয় তাহলে রাস্তায় আপনার বাইক কিরকম আচরন করছে সেটি মাথায় রেখে বাইক চালাতে হবে।

০৯. গতিরোধক বা স্পিড ব্রেকার সাধারনত আমরা দেখতে পাই কোন মোড়,  রেললাইন বা গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা রাস্তার পাশে স্থাপিত হলে। কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন সময় অপ্রয়োজনীয় কিছু জায়গায় স্পিড ব্রেকার থাকতে দেখা যায়। সে সকল স্পিড ব্রেকারে বেশি ভাগ সময়ই কোন সাদা দাগ থাকেনা যার কারনে দুর হতে বা রাস্তা অচেনা থাকলে স্পিড ব্রেকার গুলি বোঝা যায় না। এ সমস্ত ক্ষেত্রে বাইক চালানোর সময় হঠাৎ করেই স্পিড ব্রেকারগুলি সামনে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে একটি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে, হঠাৎ সামনে চালক অনেক জোরে ব্রেক করে বা দ্রুত গতিতে স্পিড ব্রেকারটি পার হয়ে যায়। ফলে চালক দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে। বাস্তবে আমি অনেক ঘটনা জানি যেখানে স্পিড ব্রেকারের অবস্থান বুঝতে না পারায় চালক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারনে চালক মৃত্যুবরণ করেছেন।

১০. আমরা যখন হাইওয়েতে চলাচল করি, তখন অনেক সময় সামনে দেখা যায় বড় ধরনের টার্নিং বা বাঁক থাকে। অনেকেই হাই স্পিডে টার্নিংটি পার হয়ে যেতে চান। কিন্তু এখানে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য করা দরকার। সেগুলো হল যে বাইকটি চালাচ্ছি তার চাকার ডিজাইন বা ডাইমেনশন এবং রাস্তার অবস্থা। আমার বাইকের চাকা দুটির চওড়া অংশ যদি গোলাকার আকারের না হয় তাহলে টার্নিং বা কর্নারিং করার সময় ঝুঁকি থেকে যাবে। চাকা গোলাকার না হলে রাস্তার সাথে গ্রিপিং কম হবে ফলে চাকা সহজেই পিছলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে উদাহরন হিসাবে বলা যায় যারা এ্যাপাচি পালসার এফজেড চালান তারা খুবই সহজে কর্নারিং করতে পারবেন। কিন্তু যারা হাঙ্ক বা সিবিজেড চালান তার কর্নারিং করতে গেলে সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ এই বাইক দুটির চাকা কিছুটা চিকন ও ততটা গোলাকার আকৃতির নয়।

অন্য একটি বিষয় হল যেটি আগেই বলছিলাম যে রাস্তার অবস্থা। এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে।

  • রাস্তাটি অমসৃন কিনা
  • কর্নারিং পয়েন্টে রাস্তার ব্যাংকিং কম কিনা।
  • কর্নারিং পয়েন্টে রাস্তাটি পিচ্ছিল কিনা।

উপরের কোন একটি প্রশ্নের উত্তর পজিটিভ হলে কর্নারিং বিপদজনক হতে পারে।

১১। সবশেষে আসি রাতে হাইওয়েতে বাইক রাইডিং এর ব্যাপারে। রাতের ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটা আসে সেটা হচ্ছে আপনার বাইকের হেডলাইট কতটা ভালো। এক্ষেত্রে হেডলাইটের ভেতরের রিফ্লেক্টর ও সামনের প্লাস্টিকের স্বচ্ছ অংশটি যদি ভালো না হয় তাহলে ভালো মানের বাল্ব থাকার পরও আলো ভালো নাও হতে পারে। আমার নিজের বাইকেরও এই সমস্যাটি আছে। কেনার সময় এটি অতটা বোঝা যায়না।

এর পরে যেটা আসে সেটা হচ্ছে আপনার বাইকের হেডলাইট ডিসি না এসি। বাল্ব যদি এসি হয় তাহলে পিক আপ কমালে আলো কমে যাবে যেটা হাইওয়ে তে অনেক বিপদজনক। কারন সামনে থেকে প্রায়ই বড় গাড়ি আসবে, সেক্ষেত্রে গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পিক আপ কমালেই আলো কমে যাবে যেটা কেউই চান না। এক্ষেত্রে অবশ্য সিগনাল লাইটটি ব্যবহার করা যায়। আবার পাসিং লাইট ব্যবহার করেও সুবিধা হতে পারে।

মুল কথা হচ্ছে রাতে বাইক চালানোর সময় অন্য যানবাহনের কাছে নিজের অবস্থান টা পরিস্কার করা জরুরি। এজন্য উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা যেতে পারে। পোশাকে এবং বাইকের সামনে যদি লাইট রিফ্লেক্টিং কোন স্টিকার লাগানো যায় তাতেও ভালো কাজ হবে। আর একটা বিষয় হচ্ছে আপানার চোখ কতটা ভালো। চোখে সমস্যা হলে সামনের বড় গাড়ি গুলোর আলো খুব সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমানে বাজারে নাইট ভিশন চশমা পাওয়া যাচ্ছে।

এটা ব্যবহার করলে সুবিধা হতে পারে। একটা কথা মনে রাখতে হবে। সেটা হচ্ছে বড় গাড়িগুলোর চালকের উচ্চতা থাকে বেশি তাই তারা সহজে সামনের দিকে দেখতে পায়। কিন্তু বাইকের ক্ষেত্রে চালকের চোখ আর অন্য বাস ট্রাকের লাইট একই উচ্চতায় থাকে যে কারনে আলো চোখে লাগে। সর্বোপরি রাতে বাইক চালানোর ক্ষেত্রে রাস্তা, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, নিরাপত্তা ইত্যাদি মাথায় রাখতে হবে। রাতে অচেনা রাস্তায় বাইক চালানো একেবারেই ঠিক না।

উপরোক্ত বিষয়গুলির বিষয়ে যত্নশীল হলে আশা করি একজন বাইকারের জন্য হাইওয়ে নিরাপদ হতে পারে। একটি কথা মনে রাখা উচিত, সময় বাচানোর জন্য একজন চালক বাইক জোরে চালাতেই পারেন, কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থ‍া আপনার অনুকূলে আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝে যেখানে যেমন ভাবে বাইক চালানো উচিত তেমন ভাবেই চালাতে হবে।

একটি কথা মনে রাখা উচিত মোটর সাইকেল এমন একটি বাহন যার ভারসাম্য বা ব্যালান্স রক্ষা করা খুবই কঠিন। একটু এদিক ওদিক হলেই নিয়ন্ত্রনটি আর নিজের হাতে থাকবেনা। সুতরাং বাইক চালানোর সময় মাথা ঠান্ডা রাখাটা দরকার। ইমোশনাল না হয়ে প্র্যাকটিকাল ভাবে চিন্তা করে বাইক চালাতে হবে এবং হাইওয়েতে বাইক রাইডিং এর সকল নিয়ম ও পরামর্শ মেনে চলতে হবে। মনে রাখবেন একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।

লিখেছেনঃ S M Fazle Rabbi