প্রথম দেখায় সুজুকি জিক্সার
This page was last updated on 07-Jul-2024 07:57am , By Shuvo Bangla
গত ১৪ই জানুয়ারী সন্ধ্যায় ঢাকার বাইকাররা কি করছিলো ?? সেদিন অবরোধ থাকার কারনে বেশিরভাগ বাইকাররাই দ্রুত বাসায় ফিরছিলেন , যাতে তারা রাস্তায় কোন অনাকাঙ্খিত সমস্যায় না পড়েন।কিন্তু হাউডিতে প্রায় বিশজনের মতো বাইকারকে একত্রে দেখা যাচ্ছিলো , যারা প্রথমবারের মতো সুজুকি জিক্সার কে সামনাসামনি দেখতে এসেছিলেন , যা সম্ভবত বাংলাদেশের অন্যতম প্রতীক্ষিত বাইক।
আমরা এই বাইকটি নিয়ে অতীতে অনেক আলোচনা করেছি। তাই এখন আমরা বাইকটি সামনাসামনি দেখার পর ও অতি ছোট্ট একটি টেস্ট রাইড দেবার পর বাইকটি সম্পর্কে আমাদের যে প্রাথমিক ধারনা হয়েছে , তা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। প্রথম দেখাতেই বাইকটিকে অত্যান্ত আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। বাইকটির ডিজাইন অত্যান্ত চমৎকার ও পেশীবহুল। এর ডিজাইনের সাথে ইয়ামাহা এফজেড-এস এর ডিজাইনের মিল আছে বলে মনে হলেও বাস্তবে এদের ডিজাইনে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। এর ফুয়েল ট্যাংকের সাথে প্লাস্টিকের কাউলিং বা কান রয়েছে ও উভয়ের ফিনিশিং সম্পূর্ণ নিখুঁত ।
এর হেডলাইটটা আমার কাছে কিছুটা ছোট মনে হয়েছে , যদিও ছবিতে এটাকে অনেক বড় দেখা যাচ্ছে । তবে বাইকটির পেছনের অংশ আমার অত্যান্ত পছন্দ হয়েছে। পেছনের হ্যান্ড রেইল বা হ্যন্ডেলটি অত্যান্ত সুন্দরভাবে বাইকের শরীরের সাথে মিশে রয়েছে। কিন্তু সেটা ধরতে পাইলিওনের কোন সমস্যাই হয় না। বাইকটির সিটিং পজিশন আরামদায়ক , এছাড়াও বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে , যে রাইডার ইচ্ছা করলেই ট্যংকের ওপর শুয়ে অর্থাৎ রেসিং স্টাইলে বাইকটি চালাতে পারবে। বাইকটির অন্যতম আরেকটি বিশেষত্ব হলো এর দুইমুখী সাইলেন্সার , যা যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
Also Read: সুজুকি জিক্সার আটটি ভিন্ন সংস্করণে এখন বাংলাদেশের বাজারে
সুজুকি জিক্সারে রয়েছে একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল স্পীডোমিটার যাতে অন্যান্য সকল সাধারন ফিচার ও আরপিএম মিটার , ঘড়ি , গিয়ার ইন্ডিকেটর , ইত্যাদি রয়েছে। মিটারের ব্যাকগ্রাউন্ড এর রঙটি অনেক আনকমন , যা অনেকটা কমলা রঙের মতো মনে হলেও বাস্তবে লালচে-কমলা রঙ ।
এই বাইকটিতে রয়েছে একটি ২ ভালভবিশিষ্ট ১৫৫ সিসি ইঞ্জিন যা ১৪.৬ বিএইচপি শক্তি ও ১৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে ( বাংলাদেশের সাধারন সিসি লিমিট ১৫৫ সিসি ) । জিক্সারে রয়েছে সুজুকির নিজস্ব SJCS অর্থাৎ Suzuki Jet Cooling System . ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে এই সিস্টেমটি পিস্টনের গায়ে তেল স্প্রে করে। যদিও বাইকটি একদম নতুন ছিলো, তবুও আমি যতটা সম্ভব থ্রটল ছাড়ছিলাম ও তৃতীয় গিয়ারে আমি ৮২ কিমি/ঘন্টা গতি তুলতে সক্ষম হই। এর গতি সম্পর্কে আমার ধারনা হলো যে এর গতি ইয়ামাহা এফজেড-এস এর থেকে বেশী ও হোন্ডা সিবি ট্রিগারের কাছকাছি। সুজুকি জিক্সারে পাঁচটি গিয়ার রয়েছে।
এই বাইকটির ব্রেকিং ইয়ামাহা এফজেড-এস এর থেকেও ভালো মনে হলো। বাইকটির পেছনের টায়ার ও পেছনের সাসপেনশন আমার অত্যান্ত ভালো লেগেছে। কোন ভালো রাইডারের হাতে পড়লে এই বাইকটি কর্নারিংয়ে সেগমেন্টের অন্যান্য বাইকের থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে। বাইকটির পেছনে রয়েছে ১৪০/৬০-১৭ সাইজের এমআরএফ রেভজ টায়ার ও সামনে রয়েছে ১০০/৮০-১৭ সাইজের টায়ার।
অতি স্বল্প সময় টেস্টিং করার ফলে বাইকটির সাসপেনশন , টপ স্পীড ও মাইলেজ নিয়ে এখনই কোন ধারনা দিতে পারছি না। তবে আশা করছি শীঘ্রই আমরা বাইকটি কয়েকদিনের জন্য টেস্ট রাইড করার সুযোগ পাবো র্যাং কন মটরস এর ভাষ্যমতে এবছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের ২৫শে জানুয়ারী থেকে বাইকটি তাদের শোরুমে পাওয়া যাবে।
টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন্স ইঞ্জিন – এক সিলিন্ডার ও দুই ভালভবিশিষ্ট ফোর স্ট্রোক এয়ার কুলড ১৫৪.৯ সিসি ইঞ্জিন। বোর/স্ট্রোক – ৫৬.০ * ৬২.৯ মিমি। সর্বোচ্চ শক্তি – ১৪.৮ পি.এস @ ৮০০০ আরপিএম সর্বোচ্চ টর্ক – ১৪ এনএম @ ৬০০০ আরপিএম ফুয়েল সিস্টেম – কারবুরেটর স্টার্টার সিস্টেম – ইলেকট্রিক। ট্রান্সমিশন – ৫ টি গিয়ার।
Also Read: সুজুকি ঈদ ডিস্কাউন্ট অফার - সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় !
সুজুকি জিক্সারের মূল্য – ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। র্যাং কন মটরসের হেড অফিসের ঠিকানা – ৩৮৭, তেজগাঁ , ঢাকা ১২০৮ । ই-মেইল – Suzuki@rangs.com এসেম্বলিং কারখানা সমূহ – ভবানীপুর , কাশিমপুর , গাজিপুর। কাস্টোমার সার্ভিস – ০১৭৮৯৩৩৩১১১ , ০৪৪৭০০৩০০১০
লেখাটি অনুবাদ করা হয়েছে বাইক বিডি ইংরেজি ওয়েব সাইট থেকে>> http://www.bikebd.com/suzuki-gixxer-in-bangladesh-first-impression/