বিগার ক্লাস মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুবিধা

This page was last updated on 11-Dec-2023 04:47pm , By Saleh Bangla

মোটরসাইক্লিং অভুতপূর্ব এক জগৎ যা অ্যাডভেঞ্চার, স্পোর্টস, ফান, ও ডেইলিলাইফ ইভেন্টের সাথে বেশ গভীরভাবে জড়িত। মোটরসাইক্লিংয়ের জগতে টাইপ, ক্যাটাগরী, পারপোজ, ডিজাইন, ও ফিচার ভেদে বিভিন্ন ধরনের মোটরসাইকেল রয়েছে। তবে বিগার-ক্লাস মোটরসাইকেল এ সব শ্রেনীর মোটরসাইকেলের মধ্যেও সরলভাবে একটি বৃহত্তর শ্রেনী তৈরী করে। আর বিগার ক্লাস মোটরসাইকেলগুলো অ্যাডভেঞ্চার ও ট্রাভেলিংয়ের জগতে সঙ্গত করনেই অত্যন্ত সমাদৃত। সুতরাং আজ আমরা বিগার ক্লাস মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুবিধা গুলো জানবো।

 

বিগার ক্লাস মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুবিধা

>> বড় বা বিগার ক্লাস মোটরসাইকেল ব্যবহারের বেশকিছু চমৎকার সুবিধা রয়েছে। আর এসব মোটরসাইকেলের বিভিন্ন সুবিধার মধ্যে অন্যতম একটি আকর্ষনীয় দিক হলো, সাধারনত এসব মোটরসাইকেলের বিল্ড-কোয়ালিটি অত্যন্ত ভালো হয়। কেননা, এসব মোটরসাইকেল সাধারণত বিস্তৃত পরিসরের রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট আর অনেক বছরের ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সপার্টাইজ অর্জনের পরই কোন ম্যানুফ্যাক্চারার তৈরী করে। ফলে এসব মোটরসাইকেল গুনগত মান নিশ্চিত করেই উৎপাদন করা হয়।

>> বিগার ক্লাস মোটরসাইকেলগুলো সাধারণত বড় সাইজের এবং বেশি ক্যাপাসিটির ইঞ্জিন নিয়ে বাজারে আসে। এসব সাধারণত টুইন বা ফোর-সিলিন্ডার ইঞ্জিনযুক্ত হয়। ফলে এই মোটরসাইকেলগুলির ইঞ্জিনগুলি বেশ সহজেই ব্যবহারযোগ্য পরিমান পাওয়ার ও টর্ক উ‍ৎপাদন করে। সুতরাং, বড় সাইজের মোটরসাইকেলগুলি যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে থাকে। আর স্ট্রেসফুল রাইডেও একজন রাইডারকে এসব মোটরসাইকেল নিয়ে পাওয়ার স্বল্পতার জন্য ভুগতে হয় না।

>> বিগার ক্লাস মোটরসাইকেলগুলো সচরাচরই সফিস্টিকেটেড মডার্ণ ও টেকনিক্যালি এডভান্সড ফিচার নিয়ে বাজারে আসে। ফলে নি:সন্দেহে এসব মোটরসাইকেল বেশি ক্যাপাবিলিটি সমৃদ্ধ; যার ব্যাবহারযোগ্যতা যেমন বেশি, তেমনি এসব একজন রাইডারকেও বেটার রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স ও বাড়তি নিরাপত্তা দিতে পারে।

>> বড় সাইজের মোটরসাইকেলগুলি সাধারণত অত্যন্ত ক্যাপাবল হুইল, ব্রেক, ও সাসপেনশন সিস্টেম নিয়ে ডিজাইন করা হয়। এরসাথে প্রায়শ:ই এডভান্সড সিকিউরিটি ও কন্ট্রোলিং ফিচার যেমন:  একাধিক চ্যানেল এবং মাল্টি-মোডের এবিএস, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, বিভিন্ন সারফেস ডেডিকেটেড রাইডিং মোড, ক্র‍ূইজ কন্ট্রোল, সেফ কর্নারিং ফিচার, প্রভৃতি ফিচার যোগ করা হয়। ফলে বিগার ক্লাস মোটরসাইকেলগুলো চালানো যেমন নিরাপদ তেমনি সেগুলি ভিন্নমাত্রার রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স দিতে পারে।

>> প্রিসাইজড ওয়েট-ডিস্ট্রিবিউশন এবং সমন্বিত ওয়েট ব্যালান্স বিগার ক্লাস বা বড় সাইজের মোটরসাইকেলগুলির এক অনন্য ফিচার। সমন্বিত ওয়েট ডিস্ট্রিবিউশনের কারনে এসব মোটরসাইকেলের ব্যালান্স, কন্ট্রোল, ও হ্যান্ডেলিং খুবই ভালো হয়। এর কারনে প্রতক্ষ্যভাবে একটি মোটরসাইকেল যথাযথভাবে রোড সারফেসে প্লান্টেড থাকে। ফলে এসব মোটরসাইকেলের যথাযথ ট্র্যাকশন যেমন বজায় থাকে তেমনি এক্সট্রিম কন্ডিশনেও নিরাপদ ব্রেকিং সম্ভব হয়।

>> বড় সাইজের বিগার ক্লাস মোটরসাইকেলগুলির আরো একটি সুবিধা হলো, ছোট সাইজের মোটরসাইজের তুলনায় এসবের ক্যারিং ক্যাপাসিটি যথেষ্ট ভালো। এসব মোটরসাইকেলের ওয়েট ব্যালান্স অত্যন্ত ভালো হবার কারনে এসবে ভারী লাগেজ যেমন: বিভিন্ন ধরনের ট্যাঙ্ক-ব্যাগ, রোল-টপ, টেইলবক্স, প্যানিয়ার প্রভৃতি সেট করা যায়। আর এতে প্যাসেঞ্জারও ভালোভাবে বহন করা যায়। এর এতো লোড দেবার পরও এসব মোটরসাইকেলে সামগ্রিক ব্যালেন্স ততটা বাধাগ্রস্ত হয় না।

>> বিগার ক্লাস মোটরসাইকেলগুলো মোটামুটি বেশি ডিসপ্লেসমেন্টের পাওয়ারফুল ইঞ্জিন সমৃদ্ধ হওয়ায় সেগুলি নিয়ে হাই-স্পিডে ও লং রাইড করা যায়। ফলে এসব মোটরসাইকেল হাইওয়ে রাইডের জন্য অত্যন্ত মানানসই। আর হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়েতেই মূলত: বড় সাইজের মোটরসাইকেলগুলিই বেশি ভাল পারফর্ম করে এবং তাদের প্রকৃত সক্ষমতা ও উপযোগিতা প্রকাশ করে।

>> সাধারণত বিগার ক্লাস মোটরসাইকেলগুলোর মেইনটেন্যান্স ইন্টারভেল বেশ লম্বা হযে থাকে। আর বেশি ডিসপ্লেসমেন্টের পাওয়ারফুল ইঞ্জিনগুলো আক্ষরিক অর্থেই কম ডিসপ্লেসমেন্টের ছোট ইঞ্জিনগুলির তুলনায় কম চাপ মোকাবেলা করে। ফলে সেগুলির ভেতরের হাইলি-টেমপার্ড পার্টসগুলো কম ক্ষয় হয় এবং তুলনামূলক দেরীতে ক্ষয় হয়। এর ফলে এসব মোটরসাইকেলে সচরাচর ছোট মোটরসাইকেলের মতো ঘন ঘন রিপেয়ার ও মেইসটেন্যান্সের প্রয়োজন হয় না।

>> সর্বোপরি উপরে উল্লেখিত মোটামুটি সব সুবিধাগুলির কারনেই বিগার ক্লাস মোটরসাইকেলগুলো ক্রস কান্ট্রি ট্রিপ, ট্রান্সকন্টিনেন্টাল রাইড, বা ওয়ার্ল্ড-রেইড রাইডগুলোর মতো লং-ট্রাভেলের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত এবং ডেডিকেটেড। তাই বেশিরভাগ অ্যাডভেঞ্চার ট্রাভেলাররাই তাদের রাইডে বড় সাইজের মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন।

 

সুতরাং বন্ধুরা, মোটমুটি এই ছিলো বিগার ক্লাস বা বড় সাইজের মোটরসাইকেলগুলো ব্যবহারের সুবিধা। সত্যিকার অর্থেই বড় সাইজের মোটরসাইকেলগুলি সাধারণত হ্যান্ডফুল পাওয়ার ও টর্ক, বেটার ব্যালান্স, বেটার ইর্গোনোমিক্স, এ্যাডভান্সড সেফটি ফিচার, ও হাই-পারফরম্যান্স ফিচারসহ আসে। ফলে এসব মোটরসাইকেল নিয়ে একজন রাইডার নির্বিঘ্নে তার রাইড উপভোগ করতে পারেন। তাই নিঃসন্দেহে বড় সাইজের মোটরসাইকেল চালানো বেশি মজাদার, এ্যাডভেঞ্চারাস ও রিল্যাক্সিং। ধন্যবাদ সবাইকে।