গুজব নাকি সত্য!!! Kawasaki Ninja 125 & Z125 লঞ্চ হচ্ছে বাংলাদেশে !
This page was last updated on 29-Jul-2024 08:58am , By Ashik Mahmud Bangla
গুজব নাকি সত্যি? Kawasaki Ninja 125 & Z125 বাংলাদেশে লঞ্চ হতে যাচ্ছে ২০১৯ এর অগাস্টের শুরুতেই । কাওয়াসাকি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে যাচ্ছে কাওয়াসাকির অন্যতম প্রতীক্ষিত মোটরসাইকেল, Kawasaki Ninja 125 & Z125 ।
এই দুটি মোটরসাইকেল এই বছরের অন্যতম বহুল প্রতীক্ষিত মোটরসাইকেল । কাওয়াসাকি বাংলাদেশের চতুর্থ জাপানিজ ব্র্যান্ড যারা গত বছর বাংলাদেশে অফিশিয়ালি তাদের যাত্রা শুরু করে । এছাড়া তারা গতবছর ঢাকা বাইক শোতেও অংশগ্রহন করেছিল ।
গত বছর তারা চারটি মোটরসাইকেল একত্রে লঞ্চ করেছিল, যাদের মধ্যে Kawasaki D-tracker, Kawasaki KLX150BF, Kawasaki KSR Pro এবং Kawasaki Z125 Pro বাইক গুলো ছিল । এই লঞ্চিং এর পর তারা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে Kawasaki KLX150L ।
Kawasaki Ninja125 & Z125 লঞ্চিং অগাস্ট ২০১৯
পৃথিবী জুড়ে কাওয়াসাকি বিখ্যাত তাদের উচ্চ সিসি, গতি এবং স্টাইল সম্পন্ন মোটরসাইকেলের জন্য । বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত গতি সম্পন্ন মোটরসাইকেলটি হচ্ছে Kawasaki Ninja H2R । নিনজা সিরিজ হচ্ছে কাওয়াসাকির ফ্ল্যাগশীপ সিরিজ মোটরসাইকেল ।
বাংলাদেশে সিসি লিমিটেশন থাকার কারনে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল বাংলাদেশে আমদানী করা সম্ভব নয় । তবে বাংলাদেশী বাইকাররা একটা নিনজা রাইড করতে ইচ্ছুক, তাই তাদের ইচ্ছে পূরনের লক্ষ্যে কাওয়াসাকি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে যাচ্ছে Kawasaki Ninja 125 & Z125 ।
যদি বাংলাদেশে নিয়ে আসা বাইক গুলো হবে ১২৫সিসি । Kawasaki Ninja 125 বাইকটি হচ্ছে স্পোর্টস টাইপ কিট সহ এবং Z125 হচ্ছে নেকেড স্পোর্টস বাইক, যেটি নিনজা ১২৫ এর নেকেড ভার্সন ও বলা যায় । উভয় বাইক ই রয়েছে আইকনিক ডিজাইন, গ্রাফিক্স ও ইলেক্ট্রনিক ফিচার সমৃদ্ধ ।
Kawasaki Ninja 125 বাইকটি স্পোর্টি করে ডিজাইন করার কারন হচ্ছে বাইকটি রাস্তায় রাজ্যত্ব করবে বলে । আর এই বাইকটির ডিজাইন করা হয়েছে Ninja 250SL মোটরসাইকেলটির ডিজাইন অনুযায়ী । তাই আমরা বলতেই পারি বাইকটিতে নিনজার ডিএনএ এর সকল গুনাগুন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায় ।
বাইক দুটির ফিচারের মধ্যে উভয় বাইক ই প্রায় সকল ফিচার এক রকম । উভয় বাইক ই ব্যবহার করেছে Tubular Trellis Type frame টাইপ ফ্রেম । উভয় বাইকের একই রকম ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে । ইঞ্জিন হচ্ছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার ফোর স্ট্রোক, ওয়াটার কুল্ড ইঞ্জিন ।
এছাড়া অন্যান্য ফিচারের মধ্যে আরও রয়েছে সম্পূর্ন ডিজিটাল স্পিডোমিটার, এতে স্পিড, আরপিএম, ঘড়ি, ট্রিপ মিটার ও এবিএস সিগনাল শো-করে । উভয় বাইকেই যুক্ত করা হয়েছে একই রকম ইঞ্জিন, ফ্রেম, চাকা, ব্রেকিং এবং সাসপেনশন ।
এখন উভয় মোটরসাইকেল কে সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, আর বাইক গুলো ১ অগাস্ট ২০১৯ তারিখ থেকে কাওয়াসাকির শোরুমে পাওয়া যাবে । এখন দেখার বিষয় হচ্ছে বাইক দুটি বাংলাদেশের মার্কেটে কতটা প্রভাব বিস্তার করবে । চিয়ার্স !