This page was last updated on 06-Jul-2024 12:01pm , By Shuvo Bangla
মোটরসাইকেল নিবন্ধনের কর ও ফি কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ সড়ক যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএ। ইঞ্জিনের ক্ষমতাভেদে ৩৩ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
সোমবার বিআরটিএর এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১০০ সিসির মোটরসাইকেল (জ্বালানি ছাড়া ওজন ৯০ কেজি) নিবন্ধনে এখন থেকে ১৩ হাজার ৯১৩ টাকার বদলে দিতে হবে ৯ হাজার ৩১৩ টাকা।
আর ১০০ সিসির বেশি (জ্বালানি ছাড়া ওজন ৯০ কেজির বেশি) ক্ষমতার মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি ২১ হাজার ২৭৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২ হাজার ৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি মোটরসাইকেল নিবন্ধনের ফি ৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এরপর চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে যানবাহনে রেট্রো-রিফ্লেকটিভ নম্বরপ্লেট এবং বেতার তরঙ্গ শনাক্ত করার (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন) ট্যাগ বাধ্যতামূলক করা হয়।
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ১২ লাখ ৫১ হাজারের বেশি। আর মোটরসাইকেল চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স ৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৮৫ জনকে দেয়া হয়েছে।
(সংশোধিত)
মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সময় সড়ক করের ক্ষেত্রে কিস্তি সুবিধা দেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএ। এর ফলে মোটরসাইকেল ক্রেতাদের এককালীন খরচ সামান্য কমে আসবে; পুরো কর তারা শোধ করতে পারবেন পরে, আট বছরে। সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে বিআরটিএ জানিয়েছে, ১০০ সিসির মোটরসাইকেল (জ্বালানি ছাড়া ওজন ৯০ কেজি) নিবন্ধন ও অন্যান্য ফি বাবদ আগে ৮ হাজার ১৬৩ টাকা দিতে হতো। সেই সঙ্গে সড়ক কর হিসাবে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা মিলিয়ে মোট দিতে হতো ১৩ হাজার ৯১৩ টাকা। নতুন নিয়মে আগের মতোই নিবন্ধন ও অন্যান্য ফি বাবদ আগে ৮ হাজার ১৬৩ টাকা দিতে হবে।তার সঙ্গে সড়ক করের প্রথম কিস্তি বাবদ ১ হাজার ১৫০ টাকা দিলেই মিলবে নিবন্ধন। সড়ক করের বাকি টাকা শোধ করতে হবে আট বছরে চারটি সমান কিস্তিতে; প্রতি কিস্তি ১ হাজার ১৫০ টাকা হিসাবে। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ১০০ সিসির বেশি (জ্বালানি ছাড়া ওজন ৯০ কেজির বেশি) ক্ষমতার মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রেও। এ ধরনের মোটরসাইকেলে আগে নিবন্ধন ও অন্যান্য ফি বাবদ ৯ হাজার ৭৭৩ টাকা এবং সড়ক কর হিসাবে ১১ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হতো। সব মিলিয়ে বাইক মালিকের দিতে হতো ২১ হাজার ২৭৩ টাকা। এখন নিবন্ধন ও অন্যান্য ফি বাবদ ৯ হাজার ৭৭৩ টাকার সঙ্গে সড়ক করের প্রথম কিস্তিতে ২ হাজার ৩০০ টাকা দিলে নিবন্ধন হয়ে যাবে। পরের আট বছরে চার কিস্তিতে (প্রতি কিস্তি ২ হাজার ৩০০ টাকা) পরিশোধ করা যাবে সড়ক করের বাকি টাকা।