ইয়ামাহা রে জেড এর ফিচার রিভিউ - ইয়ামাহা এর স্টাইলিশ স্কুটার

This page was last updated on 07-Jul-2024 01:51pm , By Shuvo Bangla

আমরা অনেকেই ইয়ামাহা এর বাইকের ভক্ত। ইয়ামাহা মোটর ইন্ডিয়া এবার নিয়ে এসছে নতুন স্কুটার ইয়ামাহা রে জেড। ইয়ামাহার বাইক গুলো বাংলাদেশে অল রেডি জনপ্রিয়। কিন্তু বর্তমানে তদের কোন স্কুটার বাংলাদেশে নেই। তবে আমরা আশা করি খুব দ্রুত বাংলাদেশে এই স্কুটারটি পাওয়া যাবে। তাই এখন আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ইয়ামাহা রে জেড এর ফিচার রিভিউ। 

ইয়ামাহা রে জেড – আউটলুক 

ইয়ামাহার সকল বাইক এবং স্কুটার ডিজাইন স্মার্ট এবং গুড লুকিং। রে জেড এর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আপনি যে বয়েসের ই হোন না কেন ইয়ামাহা রে জেড আপনার উদ্দেশ্য পূরনে সফল হবে। এর সম্মুখ ভাগ অনেক ট্রেন্ডি, কারন এর সম্মুখ ভাগ অনেকটা প্রশস্থ এবং সাথে ডায়মন্ড শেপ এর হেড লাইট আছে। সম্মুখ ভাগের হেড লাইট এর পাশে সংযুক্ত করা ইণ্ডিকেটর এর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া সম্মুখের প্যানেল এর যুক্ত রয়েছে ওডো প্যানেল আর সাথে চাকার উপর মাডগার্ড স্কুটারটির লুককে আরও সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে। পুরো বডি প্যানেল ম্যাট এবং গ্লসি ফিনিশড প্লাস্টিক এর তৈরি। এবং, এতে ডুয়েল টোন দেয়া হয়েছে যাতে করে এর লুক গর্জিয়াস আর স্মার্ট দেখায়। ককপিট এবং সিটে ক্রাফটেড কার্বন প্যাটার্ন ব্যবহার করা হয়েছে।

Yamaha Ray Z এর লেটেস্ট বিক্রয়মূল্য দেখতে এখানে ক্লিক করুন

yamaha ray z price in bangladesh

ইয়ামাহা রে জেড – চাকা, ব্রেক এবং সাসপেশন সিস্টেম

ইয়ামাহা রে জেড স্কুটারটির ডিজাইন এবং চাকা, ব্রেক ও সাপেশন সিস্টেম সম্পূর্ন আলাদা ভাবে তৈরি করা। চাকার ডায়ামিটার একটু ছোট ও এটির রিম ১০ ইঞ্চির মেটাল প্লেট দিয়ে তৈরি। টায়ার গুলোর ডাইমেনশন একই এবং উভয় টায়ার টিউবলেস টায়ার। এর ব্রেকিং সিস্টেমে ফ্রন্ট এবং রিয়ার দুটি  ব্রেকই ড্রাম ব্রেক। যেহেতু রিম ১০ ইঞ্চির তাই এখানে ডিস্ক ব্রেক দেয়া কঠিন। ফ্রন্ট সাসপেনশন হচ্ছে টেলিস্কোপিক ফর্ক সাসপেশন। অপর দিকে রিয়ার সাসপেনশন হচ্ছে সিঙ্গেল স্প্রিং লোডেড সুইং আর্ম।

yamaha ray z feature review

ইয়ামাহা রে জেড – অফিসিয়াল স্পেশিফিকেশন

স্পেসিফিকেশনইয়ামাহা রে জেড ( স্কুটার ) 
ইঞ্জিন
ডিসপ্লেসমেন্ট১১৩ সিসি
বোর  x স্ট্রোক৫০.০ মিমি  x ৫৭.৮ মিমি
কমপ্রেশন রেশিওনট ফাউন্ড
ম্যাক্সিমাম পাওয়ার৭.৫ পিএস @ ৭,৫০০ আরপিএম
ম্যাক্সিমাম টর্ক৮.১ এনএম @ ৫,০০০ আরপিএম
ফুয়েল সাপ্লাইকার্বুরেটর
ইগনিশানসিডিআই ( ক্যাপাসিটর ডিসচার্জ ইগনিশান )
স্টার্টিং ম্যাথডইলেকট্রিক ও কিক
ক্লাচ টাইপড্রাই, সেন্ট্রিফিউগাল
লুব্রিকেশনওয়েট সাম্প
ট্রানসমিশনভি – অটো মেটিক সিভিটি
ডাইমেনশন 
ফ্রেম টাইপডায়মন্ড Diamond
ডাইমেশন (এল x ডাব্লিউ x এইচ )১,৮৩৫মিমি x ৬৭৫ মিমি x ১,০৯০ মিমি
হুইলবেস১২৭০মিমি
গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স১২৮ মিমি
স্যাডেল হাইট৭৬০মিমি
ক্রেব ওয়েট১০৪ কেজি
ফুয়েল ক্যাপাসিটি৫ লিটার
চাকা, ব্রেক ও সাসপেনশন
সাসপেনশন ( ফ্রন্ট/রিয়ার )টেলিস্কোপিক ফর্ক/ ইউনিট সুইং সিঙ্গেল সাসপেনশ
ব্রেক সিস্টেমউভয় ১৩০মিমি ড্রাম ব্রেক
টায়ার সাইজ ( ফ্রন্ট / রেয়ার )

ফ্রন্টঃ ৯০/১০০-১০

রিয়ারঃ ৯০/১০০-১০

টিউবলেস

 
ব্যাটারি১২ভি, ৫.০এএইচ(১০এইচ)
হেড ল্যাম্প১২ভি ৩৫/৩৫ডাব্লিউ , হ্যালোজেন বাল্ব
স্পিডোমিটারএনালগ

yamaha ray z top speed

ইয়ামাহা রে জেড – ইঞ্জিন এন্ড পারফর্মেন্স

ইয়ামাহার এর এই স্কুটারটি ফোর স্ট্রোক এয়ার কুল্ড ১১৩সিসি সিঙ্গেল সিলেন্ডার ইঞ্জিন। দুটি ভালব সিস্টেম সাথে SOHC ফিচার। এটির ফুয়েল সিস্টেম হচ্ছে রেগুলার কার্বুরেটর। এই স্কুটারটির সবচেয়ে আকর্ষনীয় ফিচার হচ্ছে সিভিটি, যা কন্টিনিউয়াস ভেরিয়াবেল ট্রান্সমিশন নামে পরিচিত। অর্থাৎ এতে করে রাইডার এর ক্লাচ বা গিয়ার নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। এর কাচ এবং গিয়ার, বাইকের থ্রটল এর সাথেই চেঞ্জ হবে। 

Also Read: এসিআই মোটরস ইয়ামাহা বাইকের বুকিং নেয়া শুরু করেছে

যেহেতু এই স্কুটারটিতে সিভিটি ব্যবহৃত হয়েছে তাই এটি ভালই শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম। এছাড়া এর ব্লু-কোর প্রযুক্তির কারনে ভাল স্পিড এবং ভালো মাইলেজ দেয়। এটি ৭.৫ পিএস এবং ৮.১এনএম টর্ক শক্তি তৈরি করতে সক্ষম, যা প্রতিদিন এর কমিউনিটিং এর ক্ষেত্রে অনেক ভালো।

yamaha ray z mileage

ইয়ামাহা রে জেড এর ফিচারসমূহ

অনেক স্পেশাল ফিচার নিয়ে ইয়ামাহা রে জেড বাজারে এসেছে। তবে, এর লুক, ডিজাইন এবং আলাদা কিছু ফিচার এর জন্য রাইডারদের কাছে এটি খুব আকর্ষণীয়। চলুন দেখি এতে কি কি ফিচার যুক্ত হয়েছে।

  • এর ডিজাইন ইউনিক, যা অন্য স্কুটার থেকে একে আলাদা করে।
  • এটি যেকোন বয়সের অথবা যেকোন প্রফেশনাল রাইডারদের জন্য প্রযোজ্য।
  • টাইট, কমপ্যাক্ট আর স্লিক হওয়ার কারনে প্রতিদিনের কমিউনিটং এর জন্য ভাল।
  • এর সলিড বডি এবং ম্যাট ডিজাইন এর কারনে জ্যামের মধ্যেও রাইডিং এ সমস্যা হয়না।
  • পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই এই স্কুটারটি সুন্দরভাবে রাইড করতে পারবেন।
  • ফুট রেস্ট এর জায়গাটি স্পেসিয়াস, তাই রেগুলার শপিং বা সাপ্লাই বহন করা খুব সহজ।
  • সিটের নিচের কমপার্টমেন্ট এর জায়গা বেশ বড়, যার ভেতর এ মুল্যবান কাগজপত্র, টুলস এবং ডেইলি কিটস রাখা সম্ভব।
  • ফ্রন্ট এর দুটি ছোট কমপার্টমেন্ট রয়েছে, যাতে ছোট জিনিস বহন করা সম্ভব।
  • বড় হেড লাইট, টেল লাইট এবং প্রশস্থ সিট
  • জ্বালানী সাশ্রয়ী ব্লু কোর ইঞ্জিন
  • সিভিটি এর জন্য ক্লাচ ও গিয়ার নিয়ে কোন চিন্তা করতে হয়না। এতে করে যেকোন অবস্থায় স্মুথ রাইডিং এর নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।

yamaha ray z review

 এই ছিল ইয়ামাহা রে জেড এর ফিচার রিভিউ। আশা করছি একটি পূর্নাঙ্গ চিত্র তুলে ধরতে পেরেছি স্কুটারটি সম্পর্কে। আজ এখানেই শেষ করছি, পরবর্তিতে আবার ফিরে আসব নতুন কোন বাইকের রিভিউ নিয়ে। ধন্যবাদ সবাইকে। ভাল থাকবেন।