দেশের বাজারে হোন্ডা মোটরসাইকেলের দাম কমেছে।

This page was last updated on 04-Jul-2024 04:30am , By Shuvo Bangla

দেশের বাজারে হোন্ডা মোটরসাইকেলের দাম কমেছে। বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল) তাদের তিনটি মডেলের মোটরসাইকেলের দাম কমিয়েছে। মডেলগুলো হলো হোন্ডা নিও ড্রিম, হোন্ডা শাইন ও হোন্ডা সিবি ট্রিগার (সিঙ্গেল ডিস্ক ও ডাবল ডিস্ক উভয় ভার্সন) এবং এই মূল্য হ্রাস ১৭ জুলাই ২০১৬ থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

মূলত দুইটি কারণে মূল্য কমিয়েছে হোন্ডা :

১. ভারতে দাম কমেছে হোন্ডা মোটরসাইকেলের

২. বিদেশী মুদ্রার বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হয়েছে

আসলে হোন্ডা সবসময়ই গ্রাহকদের স্বার্থের প্রতি সচেতন, সেজন্য ভারতেও হোন্ডার দাম কমায় বাংলাদেশেও বিএইচএল দামি কমিয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে নতুন বাজেট (২০১৬-১৭) কার্যকর হলে পুনরায় দাম কমানো হতে পারে।

হোন্ডা ২০১৩’র শেষদিকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং তখন থেকেই তারা ধীরে চলো নীতিতে অগ্রসর হচ্ছে। তারা বেশি পণ্য সম্ভার নিয়ে বাজারে নামেনি। অন্য কোম্পানিগুলোর মতো না করে, হোন্ডা বরং প্রতি সিসি ক্যাটাগরিতে একটি করে মডেল বাজারে ছেড়েছে এবং ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বাইক এনেছে তারা।

তাছাড়া তারা সারাদেশে গণহারে ডিলারশিপ না দিয়ে প্রতিটি জেলায় একটি করে ডিলার নিয়োগ দিয়েছে। তবে শুধু ঢাকাতেই উইংস বিডি’র ব্যানারে হোন্ডার ২টি ডিলার পয়েন্ট রয়েছে মিরপুর ও তেজগাঁওয়ে এফডিসি গেটের কাছে। (রাজশাহীতেও দুই জায়গায় রয়েছে মিঠুন হোন্ডা’র শোরুম- বানেশ্বর বাজার ও রাণীবাজার)

বাংলাদেশ জুড়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের কাছে হোন্ডা নিও ড্রিম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং এর ২০১৬’র নতুন স্টিকারটিও অনেক ক্রেতার কাছে একে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের মতে হোন্ডা শাইন তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাইক, যেটার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই!

অপরদিকে যেসব বাইকার ১৫০ সিসি ক্যাটাগরিতে স্পিড ও মাইলেজের কম্বিনেশন চান, তাদের কাছে হোন্ডা সিবি ট্রিগার প্রথম পছন্দ।

হোন্ডা’র যেসব মডেলে দাম কমেছে

নামপূর্বমূল্যবর্তমান মূল্য
নিও ড্রিম১৪৯,০০০১৪২,৫০০
সিবি শাইন১৭০,০০০১৬৩,০০০
সিবি ট্রিগার (সিঙ্গেল ডিস্ক)২০৮,০০০২০৫,০০০
সিবি ট্রিগার (ডাবল ডিস্ক)২১৮,০০০২১৫,০০০

যদিও অন্য মডেলগুলোর দাম না কমানোর কারণ নিশ্চিতভাব জানতে পারিনি। তবে হোন্ডা’র অফিসিয়াল সূত্রে যেটা জানা গেছে তা হলো, ২০১৬-১৭’র বাজেটে সিবিইউ (সম্পূর্ণ তৈরি) মোটরসাইকেলে আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়নি। ফলে সিবিইউ হিসেবে আনা হোন্ডা সিবিআর১৫০আরহোন্ডা ওয়েভ আলফা’র দাম কমেনি।

তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, হোন্ডা সিডি৮০ মোটরসাইকেলের দাম কমেনি। আমার মতে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত একটি বাইক হতে পারে যদি হোন্ডা এর জন্য কিছু মার্কেটিং করে।

হোন্ডা’র যেসব মডেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে

মডেলের নামমূল্য
সিডি৮০৯৯,৯০০
ওয়েভ আলফা১৩৫,০০০
সিবিআর১৫০আর৪,৯০,০০০

সম্প্রতি হোন্ডা টিম বাইকবিডিকে একটি ওয়েভ আলফা উপহার দিয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য। আমরা এটার বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে প্রাপ্ত তথ্য হোন্ডা ও বাইকবিডির পাঠকদের কাছে তুলে ধরবো।

অন্যদিকে হোন্ডা সিবিআর১৫০আর স্ট্রিটফায়ার কবে বাংশলাদেশে আনবে বিএইচএল তা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে তারা জানিয়েছে, সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে অনুমোদিত ইঞ্জিন ক্ষমতা বাড়ানোর। তারা চাচ্ছে এটাকে ১৬৫ সিসি করা হোক, যাতে করে তারা হোন্ডা সিবি ইউনিকর্ন ১৬০হোন্ডা হর্নেট বাংলাদেশে আনতে পারে, এদেশের বাইকারদের মাঝে যেগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

এটা খুবই খুশির খবর যে, নতুন বাজেটের পর বিএইচএল’ই প্রথম তাদের বাইকের দাম কমিয়েছে। আশা করছি অন্য কোম্পানিগুলোও বিষয়টি ভেবে দেখবে এবং দাম কমাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ বাইক কিনতে পারবে এবং তাদের টাকা ও সময়ের সাশ্রয় করে উপকৃত হবে।