সাজেক ট্যুর ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব স্পন্সর বাই ইয়ামাহা

This page was last updated on 09-Jul-2024 09:57am , By Saleh Bangla

ইয়ামাহা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোটরসাইকেল ব্রান্ড। তারা তাদের প্রিমিয়ার সেগমেন্টের বাইক গুলোর জন্য খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও তাদের বেশ কিছু ভাল মান সম্পন্ন কমিউটার বাইক রয়েছে  তাদের মধ্যে ইয়ামাহা স্যালুটো এবং ইয়ামাহ এস জেড আর আর ভি২  অন্যতম। ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের বাংলাদেশের অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর হচ্ছে এ সি আই মোটরস। সম্প্রতি ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব আয়োজন করেছিল সাজেক ভ্যালি ট্যুর। এই ট্যুর টি স্পন্সর করেছে ইয়ামাহা বাংলাদেশ । এতে প্রায় ৯০+ বাইক এবং ১২০+ বাইকার এই ট্যুরে অংশ গ্রহন করে ।

সাজেক ট্যুর ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব স্পন্সর বাই ইয়ামাহা

 সাজেক ট্যুরঃ প্রথম দিনঃ এই ট্যুরের শুরু হয়েছিল ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ 3S সেন্টার থেকে। ভোর ৪ টার সময় সকল বাইকার তাদের যাত্রা শুরু করে । বাইকাররা ইয়ামাহার সেফটি গিয়ার এবং এক্সেসরিস পড়ে ছিল। এক্সেসরিস গুলোর মধ্যে ছিল জ্যাকেট, গ্লাভস, হেলমেট ইত্যাদি। সকাল ১১ টার সময় আমরা দীঘিনালা উপজেলার আনসার-ভিডিপি অফিসে পৌছলাম। আমরা সেখানে সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবার সেরে নিলাম। এছাড়া আমরা পাশের ইয়ামাহা সার্ভিস সেন্টার থেকে আমাদের বাইক গুলো সার্ভিসিং করিয়ে নিলাম। এরপর আমরা সাজেক এর উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলাম। বিকাল ৩.৩০ মিনিটের সময় আমরা আর্মি ক্যাম্পে পৌছলাম। এরপর আমরা আবার আমাদের যাত্রা শুরু করলাম এবং বিকাল ৫ টার দিকে সাজেক পৌছলাম।

 রাত ৯.৩০ থেকে ১১.০০ পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নিলাম এবং সাথে হাল্কা নাস্তা এং রাতের খাবার সেরে নিলাম। সাজেকে আমরা অবকাশ, প্যারাডাইস, মেঘকাব্য এবং মেঘমালা তে ছিলাম। এরপর এসিআই মোটরস বাইকারদের জন্য ডি জে পার্টির আয়োজন করে। এটা খুব ভাল একটা সময় ছিল বাইকারদের জন্য।

<<<Click Here For Yamaha R15 V3 Test Ride Review>>>

সাজেক ট্যুরঃ দ্বিতীয় দিনঃ পরের দিন সকালে ৮.৩০ এর সময় আমরা সকালের নাস্তা করলাম অবকাশে। এরপর আমরা কিছু সময় আমাদের নিজেদের মত করে কাটালাম এবং ক্যামেরার কিছু মূহুর্ত বন্দি করলাম। সকাল ১০.০০ টার সময় সকল বাইকাররা হ্যালিপ্যাডে একত্রিত হলাম। সেখানে আমরা প্রায় ১.০০ টা পর্যন্ত ছিলাম। এরপর দুপুরের খাবারের পর আমরা সাজেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বের হলাম। 

 বিকাল ৫ টার দিকে আমরা অবাক হয়েছি যখন ইয়ামাহ এর এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আমাদের সাথে দেখা করতে আসেন। যা আমাদের জন্য খুব অবাক করার মত ছিল । সবাই তাকে দেখে খুব খুশি হয়েছিল। তিনি আমাদের সাবধানে বাইক নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চালানোর জন্য উপদেশ দেন। তিনি বাইকারদের মোটিভেট করেন । তিনি সবাইকে ট্রাফিক রুলস এবং সাবধানে রাইড করার পরামর্শ দেন । তিনি সব সময় বাইকারদের সাথেই ছিলেন । তাদের বিপদে আপদে পাশে দাড়িয়েছেন । তিনি তার অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান দিয়ে সব সময় বাইকারদের পাশে ছিলেন। এরপর আমার হালকা নাস্তা করলাম। সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা  পর্যন্ত আশে পাশে ঘুরলাম। রাতের খাবারের পর আবার আমরা বাইকারদের জয় আয়োজিত ডিজে পার্টি উপভোগ করলাম যা এ সি আই মোটরস আয়োজন করে। 

 সাজেক ট্যুরঃ তৃ্তীয় দিনঃ  তৃ্তীয় দিন হচ্ছে সাজেক থেকে ফেরার দিন। সকাল ৮.৩০ এর সময় আমাদের নাস্তা শেষ করে সকাল ১০.৩০ এর সময় আমরা ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলাম। আমরা আমাদের দুপুরের খাবার দীঘিনালা উপজেলার আনসার-ভিডিপি অফিসে সেরে নিলাম। আমরা সেখানে দুপুর ১২.০০ টার দিকে পৌছেছি। আমরা সন্ধ্যার দিকে ঢাকা পৌছলাম। এই ট্যুরটা আমাদের জন্য খুবই উপভোগ্য ছিল। আমরা অনেক মজা এবং আনন্দ করেছি। সবাই ট্যুরটা খুব উপভোগ করেছে। ঢাকা পৌছার পর সবাই যার যার বাসায় চলে যাই। 

 এই ট্যুরে ইয়ামাহার বাইক গুলো দিয়েছে পারফেক্ট ব্যালেন্স। এফ জেড এস ডুয়েল ডিস্ক বাইক অন্যতম আরামদায়ক বাইক এবং এর ব্রেকিং পূর্বের ড্রাম ব্রেক থেকে আরও উন্নত হয়েছে। ইয়ামাহা সেফটি গিয়ার গুলোও অনেক ভাল ও উন্নত মানের । বিশেষ করে জ্যাকেট গুলোও রাইডিং এর জন্য খুব ভালো ও আরামদায়ক। হেলমেট এবং গ্লাভস ও খুব উন্নত মানের। ঢাকা-সাজেক- ঢাকা  ইয়ামাহা আমাদের মন জয় করে নিয়েছে। এর মানে হচ্ছে ইয়ামাহার বাইক গুলো ব্যালেন্স, কমফোর্ট এবং ব্রেকিং খুবই মান সম্পন্ন। একটা বাইকে যা থাকা দরকার তা সবই রয়েছে ইয়ামাহা বাইকে। ধন্যবাদ সবাইকে ।