বাংলাদেশে মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া - টীম বাইক বিডি

This page was last updated on 06-Jul-2024 09:57am , By Shuvo Bangla

বাংলাদেশে মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া একটি অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ন ও জটিল বিষয়। আমরা টিম বাইক-বিডি এই বিষয়টির জটিলতার কারনে প্রায়ই নানারকম প্রশ্নের সম্মুখীন হই। আর বিআরটিএ এর মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতিতে প্রায়ই ছোট-খাট পরিবর্তন হয়, আর এর বিভিন্ন জোনভেদে এতে বেশ পার্থক্যও দেখা যায়। মূলত সংক্ষিপ্ত আর সহজ পদ্ধতি না থাকায় এমন পরিবর্তন আর আপাত-পার্থক্য দেখা যায়। যাহোক, আমরা অবস্থা বিচারে আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে। ‍

বাংলাদেশে মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া

কিন্তু কিছুদিন ধরে বর্তমান প্রচলিত মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা খুব বেশি প্রশ্নের সম্মুখিন হচ্ছি; কেননা খুব কাছাকাছি সময়ে আমাদের সরকার পক্ষ থেকে একটা ঘোষনা দেয়া হয়েছে যে আগামী ১ জানুয়ারী থেকে ডিজিটাল নম্বর প্লেট ছাড়া কোন যানবাহন তথা মোটরসাইকেল রাস্তায় বের হতে পারবে না। মূলত সেই কারনেই আজ আমরা আপনাদের সামনে বর্তমানে প্রচলিত বাংলাদেশে মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া ‍নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন কথা না বাড়িয়ে আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলি খোঁজার সাথে সাথে পুরো প্রক্রিয়াটি জেনে নেয়ার চেষ্টা করি।

প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংগ্রহ: 

আপনি যদি নিজেই নিজের মোটরসাইকেলের রেজিষ্ট্রেশন করতে চান তবে মোটরসাইকেল কেনার সাথে সাথেই আপনাকে এর রেজিষ্ট্রেশনের যাবতীয প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সমূহ সংগ্রহ করে নিতে হবে। আর বর্তমানে রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতিটি এমন যে আপনি যদি ডিলারকে দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করাতে চান তবুও অনেক বিষয়ে আপনাকে সময় দিতেই হবে, হয়তো কিছু ক্ষেত্রে তাতে ঝামেলা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই বাইক কেনার সাথে সাথেই আমদানী সংক্রান্ত কাগজসহ বাকী কাগজগুলো ভালো করে বুঝে নিন।যেমন,

  • আমদানী সংক্রান্ত সকল কাগজ
  • কাষ্টমস ক্লিয়ারেন্স
  • গেটপাশ
  • ভ্যাট-১১ (আমদানীকারক আর ডিলার উভয়েরই)
  • ট্রেজারী চালান (আমদানীকারক আর ডিলার উভয়েরই; সোনালী ব্যাংক থেকে)
  • ক্যাশ-মেমো
  • ক্রেতার ভোটার আই-ডি কার্ড এর ফটোকপি

আপনাকে উপরের পুরো কাগজের সেট ডিলারের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে। আবার রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া পুরাতন কোন বাইক কেনার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তা না হলে আপনি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেননা। আর ডিলাররা প্রায়ই অসুম্পূর্ন কাগজ দেয় যাতে ক্রেতা রেজিষ্ট্রেশন করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন, আর পুনরায় ডিলারের শরনাপন্ন হন, আর কিছু বাড়তি টাকার বিনিমযে তাদেরই মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে নেন। তবে বিআরটিএ তে দালাল ধরার চেয়ে ডিলারের মাধ্যমে কাজ করানো আমাদের কাছে ভালো মনে হয়েছে। যাহোক একথা সত্যি যে বিআরটিএ তে মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন করানো আসলেই বেশ এক ঝামেলা আর বিরক্তিকর কাজ। তবু আপনি যদি নিজের বাইক নিজেই রেজিষ্ট্রেশন করাতে চান তবে নিশ্চয়ই আপনি তা থেকে কিছু শিখবেন আর ঝামেলাটুকু হয়তো উপভোগও করবেন।

যাহোক আপনি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য কাগজের পুরো সেট সংগ্রহ করার পর বিআরটিএ অফিস অথবা তাদের ওয়েবসাইট থেকে তিন পাতার যানবাহন রেজিষ্ট্রেশন ফরম টি সংগ্রহ করুন। আবেদনকারী আর বাহনের তথ্য সহকারে ফরমটি পূরন করুন। এই ফরমটিই আপনার আবেদনপত্র, যার সাথে বাকী সকল কাগজ-পত্র সংযুক্ত করতে হবে। আপনার সকল কাগজ-পত্র সহকারে আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে নিরীক্ষন করিয়ে নিন। কোন কাগজ বাদ পড়লে বা বাড়তি কাগজ দরকার হলে বিআরটিএ কর্মকর্তাই আপনাকে জানিয়ে দেবে। কাগজ-পত্র ঠিক থাকলে তারা আপনাকে একটা এ্যাসেসমেন্ট ফরম পূরন করে দেবে যেটা আসলে সংশ্লিষ্ট ফি এর খাত উল্লেখপূর্বক নির্দিষ্ট টাকা জমা দেবার মানি ডিপোজিট স্লিপ; যার মাধ্যমে আপনি ব্যংকে বা সংশ্লিষ্ট বুথে রেজিষ্ট্রেশনের টাকা জমা দেবেন। আর এই ফরমটিতে আপনি আফিসিয়ালের সিল ও স্বাক্ষর নিতে ভুল করবেননা।

ব্যাংকে টাকা জমাকরণ:

এটা রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ। আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ নির্দেশিত ব্যাংক বা বুথে তাদের লিখে দেয়া এ্যাসেসমেন্ট স্লিপের মাধ্যমে টাকা জমা দিন। এখানে তারা আপনার ব্যবহৃত সক্রিয় ফোন নম্বরও বিআরটিএ এর ডাটাবেজে রাখবে। আর টাকা জমা নিয়ে তারা আপনাকে একটা কম্পিউটার প্রিন্ট করা বিশেষ মানি রিসিপ্ট দেবে। মানি রিসিপ্টটি আপনি আপনার আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করবেন।

মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশনের ফি সমূহ:

ফি সমূহের খাত৯০কেজির নিচে ৫০-১০০সিসি বাইকের জন্য৯০কেজির উপর ৫০-১০০সিসি বাইকের জন্য৯০কেজির নিচে ১০১-১৫০সিসি বাইকের জন্য৯০কেজির উপরে ১০১-১৫০সিসি বাইকের জন্য
রেজিষ্ট্রেশন ফি৪,২০০.০০৪,২০০.০০৫,৬০০.০০৫,৬০০.০০
ডিজিটাল রেজিষ্ট্রেশন কার্ড৫৪০.০০৫৪০.০০৫৪০.০০৫৪০.০০
আএফআইডি ডিজিটাল নাম্বারপ্লেট২,২০০.০০২,২০০.০০২,২০০.০০২,২০০.০০
পরিদর্শন ফি৪৫০.০০৪৫০.০০৪৫০.০০৪৫০.০০
রোড ট্যাক্স (১০ বছরের)৫,০০০.০০১০,০০০.০০৫,০০০.০০১০,০০০.০০
মোট প্রদেয় টাকা১২,৩৯০.০০১৭,৩৯০.০০১৩,৭৯০.০০১৮,৭৯০.০০


মনে রাখবেন, সকল চার্জ আর ফি এর উপর ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য। তাই আপনাকে ভ্যাটসহ টাকা জমা দিতে হবে। আর আপনি আপনার সন্তুষ্টির জন্য http://www.brta.gov.bd/cal/.php এই লিঙ্কের মাধ্যমে আপনার মোটরসাইকেলের উপর প্রযোজ্য ফি আর চার্জসমূহ সহজেই গননা করে নিতে পারবেন। আর আপনার ভাবনার কিছু নেই কেননা এই চার্জসমূহ বিআরটিএ এর কর্মকর্তারাই আপনার এ্যাসেসেমেন্ট স্লিপে লিখে দেবে যা কেবল আপনাকে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্র বিআরটিএ তে জমা: 

ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে জমা রশিদসহ আপনার আবেদনপত্রটি বিআরটিএ তে রেজিষ্ট্রেশন ডেস্কে জমা দিন। আপনার আবেদনপত্র জমা দেবার প্রেক্ষিতে একজন ভেহিকল-ইন্সপেক্টর আপনার কাগজসহ আপনার মোটরযান পরিদর্শন করবেন। তার পরিদর্শন হলে বিআরটিএ আপনার কাগজ অথরাইজেশন করে নতুন রেজিষ্ট্রেশন নম্বরসহ ছাপানো একনলেজমেন্ট স্লিপ, ফিটনেস আর ট্যাক্স-টোকেন দেবে। এই সময়ে আপনার পরিচিতির সাথে আপনার সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিতে ভুল করবেননা। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। উল্লেখিত কাগজসমূহ পাবার পর আইনত আপনি রাস্তায় আপনার মোটরসাইকের বের করতে পারবেন তবে আপনাকে ডিজিটাল ব্লু-বুক আর নম্বরপ্লেট পাবার বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

ডিজিটাল ব্লু-বুক, নম্বরপ্লেট: 

আপনার একনলেজমেন্ট স্লিপ, ফিটনেস আর ট্যাক্স-টোকেন পাবার পর আপনার প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে তার পরপরই বা নির্দেশিত সময়ে আপনার বায়োমেট্রিক আইডেনটিটি তথা আপনার ছবি, হাতের ছাপ আর স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য বিশেষ মেসেজ আসবে। প্রাপ্ত মেসেজের নির্দেশিত সময়ে বিআরটিএ তে উপস্থিত হয়ে আপনি আপনার বায়োমেট্রিকস সমূহ প্রদান করুন। আর এই প্রক্রিয়ার সাথে সাথেই আপনার পক্ষ থেকে রেজিষ্ট্রেশনের যাবতীয় প্রক্রিয়া আপনি সম্পন্ন করে ফেললেন।

ব্লু-বুক আর নম্বরপ্লেট সংগ্রহ:

আপনার বায়োমেট্রিক আইডেনটিটি দেবার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে বিআরটিএ এর পরবর্তী মেসেজের জন্য। তাই সবসময়ে আপনার প্রদানকৃত মোবাইলটি সক্রিয় রাখুন। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে সাধারনত মাসখানেকের মধ্যেই দিন-তারিখসহ মেসেজ দেয়া হয়। আর মেসেজ পাবার পর আপনি সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ হতে আপনার ব্লু-বুক আর নম্বরপ্লেট সংগ্রহ করুন।

তো বন্ধুরা এই ছিল বর্তমানে প্রচলিত বাংলাদেশে মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া। তবে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনারা আমাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, সে বিষযে আমরা আলাদাভাবে আলোচনা করা দরকার মনে করছি। বিষয়টি হলো সাম্প্রতিক সরকারী ঘোষনা মতে আগামী ১ জানুয়ারী হতে পুরাতন রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোটরসাইকেল যাদের আরএফআইডি ডিজিটাল নম্বরপ্লেট নেই তারাও আর পথে নামতে পারবেননা। এই সংকুল অবস্থাতে আপনাদের আরএফআইডি ডিজিটাল নম্বরপ্লেট আর স্মার্ট-কার্ড রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। চলুন দেখা যাক এর জন্য প্রক্রিয়াটুকু।

আরএফআইডি নম্বরপ্লেট, স্মার্ট-কার্ড:

এই নম্বরপ্লেট আর রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের জন্য আপনাকে নিম্নধাপ সমূহ অনুসরন করতে হবে।

  • বিআরটিএ হতে একটি এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ (মানি ডিপোজিট স্লিপ) সংগ্রহ করুন আর তাতে বর্তমান ব্লু-বুক অনুযায়ী মোটরসাইকেলের মালিকের আর সংশ্লিষ্ট মোটরসাইকেলের তথ্য পূরন করুন।
  • এ্যাসেসমেন্ট স্লিপটিতে বিআরটিএ কর্মকর্তার কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট ফি ও চার্জ সমূহ বসিয়ে নিয়ে তার সিল আর স্বাক্ষর গ্রহন করুন।
  • নির্দিষ্ট ব্যাংকে এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ সহ টাকা জমা দিন। সেখানে আপনার একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। ব্যাংক আপনার টাকা জমা নিয়ে আপনাকে একটি কম্পিউটারে প্রিন্ট করা মানি রিসিপ্ট দেবে।
  • আপনি মানি রিসিপ্ট এর বিআরটিএ কপি এর সাথে আপনার পুরাতন ব্লু-বুকের একটি কপি বিআরটিএ তে জমা দিন।
  • কাগজ জমা দেবার কিছু দিনের মধ্যেই আপনার প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে আপনার বায়োমেট্রিক আইডেনটিটি তথা ছবি, হাতের ছাপ আর স্বাক্ষর দেবার জন্য বিআরটিএ হতে মেসেজ আসবে।
  • মেসেজে নির্দেশিত দিনে আপনি বিআরটিএ তে আপনার বায়োমেট্রিকস প্রদান করুন।
  • আপনার বায়োমেট্রিকস দেবার কিছুদিনের মধ্যে আপনার ডিজিটাল নম্বরপ্লেট আর স্মার্ট রেজিষ্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুত হলে আবার বিআরটিএ আপনাকে দিন-তারিখ সহ তা সংগ্রহের মেসেজ পাঠাবে।
  • বিআরটিএর মেসেজ পেলে আপনি সংশ্লিস্ট অফিসে আপনার মোটরসাইকেল, পুরাতন ব্লু-বুকের কপি আর মানি ডিপোজিট স্লিপ সহ উপস্থিত হয়ে আপনার নতুন আরএফআইডি নম্বরপ্লেট আর স্মার্ট রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করুন।
  • সাধারনত মাসখানেকের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তবে দেরী হলে আপনি ৬৯৬৯ নম্বরে কল করে অথবা NP<space>A<space>Date এই ফরম্যাটে NP A 00 মেসেজ পাঠিয়ে একটা অ্যাপয়েন্টমেনট চাইতে পারেন(এখানে ০০ হচ্ছে মেসেজের তারিখ), ফিরতি মেসেজে আপনাকে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া থাকবে।

বিআরটিএ এর বর্তমান স্মার্ট রেজিষ্ট্রেশন কার্ড এর ফি ২,২০০.০০ টাকা আর আরএফআইডি নম্বরপ্লেট এর ফি ৫৪০.০০ টাকা। তবে সব ফি ও চার্জের সাথে ১৫% ভ্যাট মিলিয়ে মোট ২,৮১৫.০০ টাকা জমা দিতে হবে। এছাড়াও আমাদের জানা মতে ২০১০ সালের পরের সব রেজিষ্ট্রেশনে ১৫% ভ্যাট কার্যকর করায় অনেকে যাদের সেসময়ে রেজিষ্ট্রেশনে কোন ভ্যাট দিতে হয়নি তাদেরকে আবারো সেই ভ্যাট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এটা এড়ানোর কোন উপায়ই নেই। কেননা বিআরটিএ এর ডাটাবেসে সেই টাকা সংশ্লিষ্ট রেজিষ্ট্রেশন নম্বরের বিপরীতে বকেয়া উল্লেখ করা থাকে যা পূরন করা ছাড়া নতুন কোন ফি উক্ত সফটওয়ারে জমা নিবে না।তাই সফটওয়ারে উল্লেখিত সবটুকু টাকাই ব্যাংকে জমা দিয়ে কম্পিউটারে প্রিন্ট করা রশিদ নিতে হবে।

বন্ধুরা এই ছিল বাংলাদেশে মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া এর বিস্তারিত। আমরা আশা করছি আমাদের বিস্তারিত আলোচনা আপনাকে আপনার নতুন বাইক রেজিষ্ট্রেশনে আর সদ্য জারীকৃত সরকারী নির্দেশ পালনে সাহায্য করবে। আমরা চেষ্টা করেছি সাধারনভাবে পুরো প্রক্রিয়াটিকে তুলে ধরতে। যদিও সময়ের সাথে সাথে আর বিআরটিএর জোন ভেদে এই প্রক্রিয়ার কিছুটা হেরফের হয়; তবু মূল প্রক্রিয়াটা সবখানে এরকমই। আশা করি এই বিষয়ে আপনারা আপনাদের কার্যক্ষেত্রে লব্ধ বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে অন্যরা শিখতে পারে, আর আরো আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রক্রিয়াটি অনুসরন করতে পারে। ধন্যবাদ সকলকে।