Motorcycle চোরের হোতা ধরা পরল চট্টগ্রামে

This page was last updated on 13-Jul-2024 04:29am , By Saleh Bangla

নির্জন কোন সড়কে, বাসা-ভবনের সামনে রাখা মোটরসাইকেল দেখলে চুরির জন্য টার্গেট করে।  Motorcycle যেভাবেই তালাবদ্ধ করে রাখা হোক না কেন, স্টিয়ারিংয়ে মোচড় দিলেই সেটি সোজা হয়ে যায়।  তারপর মূল তার ছিঁড়ে ইঞ্জিনের তারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করে দেয়। এতে চাবি ছাড়াই Motorcycle চালু হয়ে যায়।  তারপর মুহুর্তেই সেটি নিয়ে হাওয়া।  পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে সর্বোচ্চ দুই মিনিট।

Motorcycle চোরের হোতা ধরা পরল

motorcycle security

 নগরীর বাকলিয়া থানায় গ্রেফতারের পর Motorcycle চোর সিন্ডিকেটের হোতা মো.ফয়সাল (২৩) পুলিশকে এই পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন।  সাতকানিয়ার পুরানঘর এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ফয়সালকে গত (রোববার) রাতে নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ফয়সালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা এলাকায় জনৈক টিটুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি প্রনব চৌধুরী। ওসি বাংলানিউজকে বলেন, ফয়সালের নেতৃত্বে একটা চোর সিন্ডিকেট আছে।  এর মধ্যে আমরা কয়েকজনের নাম পেয়েছি।  এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা এতই কৌশলী যে, তারা মাত্র দুই মিনিটে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যেতে পারে।  আবার চোরাই মোটরসাইকেল ক্রেতাদেরও একটা সিন্ডিকেট আছে। 

motorcycle thief

 সূত্রমতে, ফয়সালের সিন্ডিকেটের মধ্যে আছে হাটহাজারীর মেখলের মানিক, ফটিকছড়ির ভুজপুরের আনছার, মোহরার মোরশেদ, রাউজানের করিম, চান্দগাঁওয়ের লালা, বালুচরার নজরুল, রউফাবাদের বাবলু এবং কালুরঘাটের রনি।  এই সিন্ডিকেটে আগে নেতৃত্ব দিতেন হাটহাজারীর খোকন।  তবে বছরখানেক আগে খোকন চুরি ছেড়ে দিয়ে সৌদিআরবে চলে গেলে ফয়সাল নেতৃত্বে আসেন। চোরাই Motorcycle ক্রেতাদের সিন্ডিকেটে আছে বোয়ালখালীর সারোয়াতলী ইউনিয়নের হোরারবাগের সাইফুল, রুমু, টিপু এবং হাটহাজারীর বড়দিঘীর পাড় এলাকার রাশেদ। বাকলিয়া থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চুরির পর মোটরসাইকেলটি ৪৫-৬০ হাজার টাকায় কিনে নেয় ক্রেতা সিন্ডিকেট।  তারপর সেটির যন্ত্রাংশ ও রঙ বদলে বিক্রি করে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়। 

motorcycle security devices

 ফয়সাল ধরা পরার কারনে এখন এই সিন্ডিকেট অনেক সর্তক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছু দিনের জন্য হলেও এই Motorcycle চুরি ঠেকানো যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে সবাইকে সর্তক হতে হবে। তাছাড়া ভালো মানের লক ব্যবহার করা। জিপিএস ট্রেকার ব্যবহার করা। সর্বোপরি নিজের বাইকের সেফটির কথা মাথায় রেখে সেভাবেই বাইকটির সিকিরিটির ব্যবস্থা করা।   

তথ্যসূত্রঃ বাংলানিউজ২৪ ডট কম