Znen DBR 150 এর মালিকানা রিভিউ লিখেছেন - মোস্তাফিজ
This page was last updated on 13-Jul-2024 12:29pm , By Shuvo Bangla
আমি মোস্তাফিজ। আমি গত ২০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে Znen DBR 150 বাইকটি কিনি। বাইকটি কেনার সময় অনেককিছু চিন্তা করে ও অনেক বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আমি এই বাইকটি কিনি। এই রিভিউ লিখা অবস্থায় আমি মোট ৬,৩৭৪ কিমি চালিয়েছি। আজকে আমি এই বাইকের সম্পূর্ন ভালো ও মন্দ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
অনেকে হয়ত জিনান (ZNEN) এর নাম শোনেননি তাই এই কোম্পানির কিছু পরিচয় দিবঃ জিনান মুলত চাইনিজ কোম্পানি ZHONGNENG LTD এর অংগ প্রতিষ্ঠান। এটি 1987 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কোম্পানি মুলত স্কুটার তৈরী করে। ম্যানুয়াল বাইকে নতুন। জিনানের এই DBR 150 মডেল এর কোন তথ্য এদের কোন ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবেনা। এমনকি জিনান বাংলাদেশ এর ওয়েব সাইটেও এর কোন সঠিক তথ্য নাই। যা তথ্য আছে প্রায় সব ভুল।
আমি বলেছিলাম কিন্তু তারপরও কোন কারনে তারা চেঞ্জ করেনি। তাই সবাইকে বলব জিনান বাংলাদেশের ওয়েব সাইটে জিনান ডি বি আর ১৫০ এর যে তথ্য দেওয়া আছে সেইটা সঠিক মনে করবেন না। জিনান ডি বি আর ১৫০ পোল্যান্ডের জুনাক নামক কোম্পানি জুনাক ১২৭ (১২৫ সিসি) নামে সেল করে। তারা জিনানের কাছ থেকে এই বাইকটি নিজেদের নামে রিব্র্যান্ড করে।
Znen DBR 150 নেওয়ার কারনঃ
আমার আগের বাইকে একটা সমস্যা আমার কাছে অনেক বড় মনে হয়েছিল। সেইটা হল সেই বাইকের সামনের ও পিছনের টায়ার অনেক চিকন ছিল। জার কারনে আমি দুইবার ভেজা রাস্তায় স্কিড করে পরে যাই। সেই থেকে ভেবে রেখেছিলাম যে বাইক কিনার সময় টায়ার আর ওজন দেখে কিনব। সেই দিক থেকে Znen DBR 150 তুলনাহীন।
লুকসঃ
DBR 150 এর লুক দেখে যে কেউ পছন্দ করবে। আমি বাইক নিয়ে যখন রাস্তায় বের হই জ্যাম বাঁ সিগন্যালে অনেকেই জিজ্ঞেস করে কোন ব্র্যান্ড, দাম কত, কত সিসি ইত্যাদি। একটা কথা আছে আগে দর্শনধারী পরে গুন বিচারি। আমি এর কোয়ালিটি চিন্তা না করেই শুধু দেখতে সুন্দর, মোটা টায়ার, অনেক ওজন, ডাবল ডিস্ক ব্রেক এই সব দেখেই বাইক্টি কিনি। এককথায় লুকস অসাধারণ। সবথেকে ভাল লাগে এর exhaust এর সাউন্ড। সবাই তাকিয়ে থাকে। এর exhaust সেমি হলার টাইপ তাই সাউন্ড অনেক শ্রুতিমধুর। এর বডি কিট ও দেখতে সুন্দর লাগে বিশেষ করে পারকিং লাইটের সাথে বডি কিটের এলইডি।
হেডলাইটঃ
Znen DBR 150 এর হেডলাইট দেখতে মোটামুটি ভাল। অনেকটা রাগী ষাঁড়ের মতো। কিন্তু আলো খুবই খারাপ। হেরিকেন এর আলোও মনে হয় এর থেকে বেশি ভাল। হাই এবং লো বিমে আলো একই জায়গায় পরে। রাতে কিছুই দেখা জায়না। আমি স্টক বাল্ব চেঞ্জ করে এলইডি লাগিয়েছিলাম কিন্তু আলো ২ ফুট এর মতো দূরে পরে হাই , লো বিমে কোন পার্থক্য হয়না শুধু আলো কম বেশি হয়। এই ঝামেলা থেকে বাচার জন্য আমি FZ-S এর ফুল হেডলাইট সেট লাগিয়েছি।
ড্যাস বোর্ড/ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেলঃ
Znen DBR 150 এর ড্যাস বোর্ড / ডিজিটাল মিটার খুবই সাধারণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এখানে দেওয়া নাই। শুধু ওডো মিটার, গিয়ার ইন্ডিকেটর, ট্রীপ মিটার এবং ফুয়েল গজ দেওয়া আছে। ডিসপ্লের কালার নীল। সবসময় আলো জ্বলে থাকে।
হ্যান্ডেলবারঃ
Znen DBR 150 এর হ্যান্ডেলবার আমার অনেক ভাল লাগে। অনেকটা FZ-S, Fazer এর মতো বড় ও সোজা। চালানোর সময় খুব ভাল ব্যালান্স পাওয়া যায়। তবে সমস্যা হল আমার বাইকের হ্যান্ডেল বারে অনেক ভাইব্রেশন হয় (এখন সমস্যা সমাধান করেছি)।
ফুয়েল ট্যাংকঃ
Znen DBR 150 এর ফুয়েল ট্যাংকটি বেশ বড়। মাসকুলার বডি না হলেও দেখতে খারাপ নয়। ১০ লিটার ফুয়েল ধরে আর ১.৫/২ লিটার রিজার্ভ ।
রাইডার ও পিলিওন সীটঃ
রাইডারের সীট কিছুটা নরম। তবে বেশিক্ষন চালালে হালকা ব্যাথা করে। পিলিওন সীট স্টেপ আপ। অনেক নরম। অনেকের বসে থাকতে সমস্যা হয়। আমি পিলিওন সীট কেমন চেক করার জন্য পিলিওন হিসেবে বসেছিলাম। খুব কষ্ট হয়েছে বসে থাকতে তবে যে চালাচ্ছিল সে ভাল চালাক ছিলনা। কারন আমার পিছনে যারা বসেছে তারা কেউ খারাপ বলেনি।
ইঞ্জিনঃ
জিনান ডিবিআর ১৫০ একটি ১৫০ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪ ষ্ট্রোক বিশিষ্ট এয়ারকুল ইঞ্জিন। এটি ১৪.৮ বি এইচপি যা ৮৫০০ আরপিএম শক্তি উৎপন্ন করে। আর কোন তথ্য পাইনি।
ওজনঃ
জিনান ডি বি আর ১৫০ এর ওজন ১৪৭ কেজি। এই ওজনের কারনেই এই বাইকটি উচ্চ গতিতে মাটির সাথে কামড়ে থাকে।
টায়ারঃ
Znen DBR 150 এর সামনে ১১০/৮০, ১৭ এবং পিছনে ১২০/৮০,১৭ সাইজের টায়ার দেওয়া হয়েছে। খুব ভালো মানের টায়ার ব্যাবহার করা হয়েছে। অসাধারণ গ্রীপ হয়। এই বাইকে তাইওয়ানের তৈরী টায়ার ব্যাবহার করা হয়েছে। দুইটি চাকাই টিউব্লেস। কাঁদা, বালি সব রাস্তায় নিশ্চিন্তে চালাতে পারি। এককথায় আমি এই টায়ারে ১০০% সন্তুষ্ট।
ব্রেকঃ
Znen DBR 150 এর সামনে ২৬০ মিলিঃ এর ডাবল পিস্টন হাইড্রলিক ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনেও ২২০ মিলিঃ এর ডাবল পিস্টন হাইড্রলিক ডিস্ক ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে। এতো ভাল ব্রেক থাকার পরও আমার বাইকে সামনের ব্রেক ধরে না বললেই চলে। এই মডেলের অন্য কোন বাইকে এই সমস্যা হয়নি। আমি যেদিন কিনেছি সেইদিন থেকে সামনের পিছনের কোনব্রেক কাজ করত না। ১৫ দিন চেষ্টার পর দুই ব্রেক ধরা শুরু করে কিন্তু অন্য বাইকের মতো হয়না।
সার্ভিসিং সেন্টার এমন কোন পদ্ধতি নাই যা ব্যাবহার করনি। তাদের চেষ্টার কোন কমতি ছিলনা। পিছনের ব্রেক ধীরে ধীরে চাপলে ধীরে ধীরে ব্রেক হওয়ার কথা কিন্তু আমার টা হয়না। এক বারেই ব্রেক হয় আর চাকা লক হয়ে যায়। এখনো এমন আছে। তাই পিছনের ব্রেক ভয়ে ভয়ে ধরি। সামনের ব্রেক অনেক অনেক চেষ্টার পর কিছুটা ভালো হয়ছিল কিন্তু ১৫-২০ দিন পর আবার আগের মতো ব্রেক ছেড়ে দেওয়া শুরু করে। স্পিড ২০+ থাকলেই জতই জোড়ে ব্রেক করিনা কেনো বাইক থামেনা। এখনো এই সমস্যা আছে। সার্ভিসিং এ বললে বলে ব্রেক ঠিক আছে। যাই হোক আমি অনেক টাকা খরচ করে এখন কিছুটা ভালো ব্রেক হয় (৬০%-৭০%)।
সাস্পেনশনঃ
জিনান ডি বি আর ১৫০ এর সাস্পেনশনকে আমি ১০ এর মধ্যে ৯ দিব। সামনে আপ সাইড ডাউন আর পিছনে মনোশক সাসপেনশন ব্যাবহার করা হয়েছে। অনেক আরামদায়ক। পিলিওন কোন ঝাঁকি অনুভব করেনা। আমার কাছে জিনান ডি বি আর ১৫০ এর সাসপেনশন অনেক উন্নতমানের মনে হয়েছে। পিছনের সাসপেনশন অনেক বড়।
পারফর্মেন্সঃ
জিনান ডি বি আর ১৫০ এর অনেক ভালো পারফর্মেন্স পাচ্ছি। এর ইঞ্জিন অনেক শক্তিশালী মনে হয়েছে। আমি একটানা ২১০ কিমি চালিয়েছি তারপরও যখনি থ্রটল বাড়িয়েছি সাথে সাথেই রেসপন্স পেয়েছি। ইঞ্জিন একটু বেশি গরম মনে হয়। আমি টপ স্পিড ১০৬ কিমি/ঘন্টা তুলতে পেরছিলাম যদিও কোম্পানি থেকে বলা হয়েছে ১১০ কিমি/ঘন্টা উঠবে কিন্তু আমি অনেক চেষ্টা করেও পারিনি।
৯৫ কিমি পরজন্তু স্বাভাবিকভাবে স্পিড উঠলেও এর পরে উঠতে সময় নেয়। প্রতি লিটারে ৩৫ কিমি মাইলেজ পাচ্ছি (শহর ও হাইওয়েতে একই)। এই বাইকে প্রচলিত কথায় জাকে বলা হয় রেডি পিক আপ সেইটা ভালো মতোই আছে। বাইকটি চালানোর সময় মনের সাথে বাইকের একটা সম্পর্ক তৈরী হয়ে যায়। আমি যখন মনে করেছি এখন স্পিড দরকার বাইক সাথে সাথে সেই স্পিড দিয়েছে।
কন্ট্রোল ও কমফোরটঃ
জিনান ডি বি আর ১৫০ এর ৩ টা দিক এই বাইককে বেস্ট করে তুলেছেঃ
১। কন্ট্রোল
২। কমফোরট এবং
৩। সাসপেনশন।
যে কোন রাস্তায় যে কোন পরিস্থিতে আমার যে ভাবে মন চেয়েছে সেইভাবে চালিয়েছি। সিটিং পজিসন FZ-S এর মতো। সামনে সামান্য ঝুকে চালাতে হয় (নেকেড স্পোর্টস বাইক যেমন হয়)। সামান্যতম সমস্যা অনুভব করিনি। আমি একটানা ৫ ঘন্টা (মাঝখানে ১০ মিনিটের ব্রেক) চালিয়েছি কোন বেক পেইন অনুভব করিনি তবে পশ্চাদদেশে কিঞ্চিৎ ব্যাথা পেয়েছি। কন্ট্রোল ও কমফোরট এ আমি এই বাইককে ১০ এর মধ্যে ৯ দিব (আমি যেসব বাইক চালিয়েছি সেই সব বাইকের উপর ভিত্তি করে দিয়েছি, আমি কিন্তু সিবিয়ার ও চালিয়েছি)।
আধুনিক ফিচারসঃ
জিনান ডি বি আর ১৫০ তে আপ সাইড ডাউন (USD) সাসপেনশন ব্যাবহার করা হয়েছে যা হাইয়ার সিসি বাইকে দেখা যায়। এই সাসপেনশন এর জন্য অফ রোড বাঁ অন রোড সব রোডেই ঝাঁকি মুক্তভাবে রাইড করা যায়। জিনান ডি বি আর ১৫০ এর স্পিডোমিটারের ক্যাবলে লেজার লাগানো। লেজারের সাহায্যে স্পিড স্পিডোমিটারে দেখায়। ১২ ভোল্টের ৯ এম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যাবহার করা হয়েছে যা অন্য কোন ১৫০ সিসি বাইকে ব্যাবহার করা হয়েছে বলে আমার জানা নাই।
অপূর্ণতাঃ
যত নামী ব্রান্ডের বাইকই হোকনা কেন তা ১০০% পরিপূর্ণ নয়। কিছু না কিছু ঘাটতি থাকবেই। সেই হিসাবে জিনান ডি বি আর ১৫০ ও এর ব্যতিক্রম নয়।
১। ড্যাস বোর্ড বা ডিজিটাল মিটার এ অনেক অনেক প্রয়োজনীয় ফিচারস যেমন ঘড়ি, টপ স্পিড রেকর্ডার নাই।
২। ড্যাস বোর্ড ফুল ডিজিটাল হলে ভাল হত।
৩। টপ স্পিড অনেক অনেক কম। ১৫০ সিসি বাইক হিসাবে এই স্পিড কাম্য নয়।
৪। ফ্রন্ট ডিস্ক প্লেট এর সাইজ অনেক ছোট। মাত্র ২৬০ মিমিঃ
৫। পিছনের টায়ার সাইজ ১৩০/৮০ বা ১৪০/৮০ হলে ভাল হত। পিছনের চাকা স্কিড করে। (একটু হার্ড ব্রেক করলেই)
সমস্যাঃ
জিনান ডি বি আর ১৫০ তে কিছু সমস্যা রয়েছে মোটামুটি নোটিশ করার মতো।
১। হেডলাইটের আলো অনেক খারাপ হাইওয়ে তো দুরের কথা লোকাল রাস্তায় রাতের বেলা দেখা কষ্টকর। হাই বীম আর লো বীম এর মধ্যে কোন পার্থক্য নাই ।
২। বডিতে যে প্লাস্টক ব্যাবহার করা হয়েছে তা অনেক অনেক বাজে কোয়ালিটির। কয়েকদিন পর এমনি কালার উঠে যায়। আর বাইক কিনে বাসায় আনার পর আমার স্ত্রীসহ অনকেই বলেছে এইটা সেকেন্ড হ্যান্ড কিনলাম কিনা।
৩। কিছু দিন পর পর বডি থেকে সাউন্ড বের হয়।
৪। বডি ফিনিসিং ভালো না ।
৫। বডি কালার এর কোয়ালিটি ভাল না।
৬। অন্য ১৫০ সিসি বাইকের সাথে তুলনা করলে জিনান ডি বি আর ১৫০ এ ফুয়েল খরচ বেশি হয়।
৭। বাইকের চেহেরা আর দাম অনুযায়ী টপ স্পিড নাই।
৮। কিক দিয়ে স্টার্ট দিতে পারিনা । খুবই শক্ত। প্রায় ৫ মাসে একবারও কিক দিয়ে স্টার্ট দেইনি। (কপাল ভালো যে ব্যাটারী শক্তিশালী)
জিনান বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার নিজের কিছু কথাঃ
স্পেয়ার পার্টস এর সমস্যা আমি দেখিনি তবে তাদের কমচারীদের একটা সমস্যা আছে তা হল কোন পার্টস লাগ্লে সেইটা শোরুমে থাকা অন্য বাইক থেকে খুলে লাগিয়ে দেই। যেমন আমার নিউ বাইকের হ্যান্ডেল বারের রঙ উঠানো ছিল, ব্যাটারী অরিজিনাল না দিয়ে লোকাল ভাবে কিনা ৭ এম্পিয়ারের ব্যাটারী দিয়েছে। এমনকি ব্যাটারী বেঁধে রাখার রাবারও তারা আমাকে দেয়নি মানে আমি যেই Znen DBR 150 বাইক কিনেছি সেইটার রাবার অন্য বাইকে লাগিয়েছে।
জিনানের মুল বিজনেস স্কুটার এই জন্য ম্যানুয়াল বাইকের ভাল মেকানিক জিনানে নাই। মাত্র ২ জন ছাড়া। সেই দুইজনকে সহজে পাওয়া যায়না ব্যস্ত থাকে। আমি সমস্যা বলার পরও তারা সমস্যা খুজে পায়না। কিন্তু অন্য জায়গায় বলার আগেই সমস্যা খুজে পায়। জিনানের আফটার সার্ভিসের মান ভালো।
এখানে যা কিছু লিখেছি তা আমার বাইকের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি। অন্য কারো সাথে নাও মিলতে পারে তার জন্য আমি দায়ী না। সবায় বাইক চালানোর সময় অবশ্যই হেলমেট ব্যাবহার করবেন। হেলমেট ব্যাবহার করবেন আপনার নিজের নিরাপত্তার জন্য, আইনের জন্য নয়।লিখেছেনঃ মোঃ মোস্তাফিজ আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন।
আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।