Yamaha R15 V3 ৫,০০০কিমি মালিকানা রিভিউ লিখেছেন মাহমুদুল হাসান
This page was last updated on 08-Jul-2024 05:25pm , By Saleh Bangla
প্রথমেই বলে নিচ্ছি আমি অতিব ক্ষুদ্র বাইকার। বাইকে আরোহন করতে খুব বেশি ভালোবাসি। পূর্ব কিছু দক্ষতা আছে। বর্তমানে আমি একটি Yamaha R15 V3 ব্যবহার করছি। বাইকটি ইতিমধ্যে ৫,০০০ কিমি অতিক্রম করেছে। বাইকটির বয়স প্রায় ২ মাস।
Yamaha R15 V3 ৫,০০০কিমি মালিকানা রিভিউ
মূল বিষয় শুরু করার আগে আপনি যদি r15 v3 price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপ ঘুরে দেখুন। তাছাড়া বাইক সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।
Yamaha R15 V3 বাইক সম্পর্কে কিছু মন্তব্য: বাইকটির মেনুফেক্চার সম্পর্কে আমরা ইতি মধ্যেই অজ্ঞ হয়েছি। বাইকটি মূলত Racing Track/Highway এর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। মোটেই ভাঙগা রাস্তার জন্য এই বাইক না। হালকা বালুতেও সামনের চাকা স্লিপ করে। যা একটি বাইকারের জন্য খুব বড় ধরনের দূর্ঘটনার কারন হতে পারে। কাদা দিয়ে চালানোর অভিঙ্গতা অনেক বেশি। বাইটিতে ব্যালেন্স খুব ভালো তবে কাদা মাটিতে খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে।
মাইলেজ: Yamaha R15 V3 বাইকটি হাই-ওয়েতে প্রায় ৪৪-৪৫kmpl পেয়েছি। আর অফরোড়ে প্রায় ৩৮-৩৯kmpl পেয়েছি।
টপ স্পিড : এপর্যন্ত ১৫৩kph পেয়েছি। (ঢাকা-মায়মেনশিংহ) হাই-ওয়ে। RPM 7400 এর পরে আলাদা একটি Power পায় যাকে আমরা VVA নামে চিনি।
সাসপেনশন : Yamaha R15 V3 ফ্রন্ট সাসপেনশন আমাদের দেশের রোড গুলোতে তেমন ভালো ভাবে কাজ করে না। একটু ঝুঁকে চালাতে হয় যার কারনে হালকা ঝাকিও অনেক বেশি মনে হয়। রেয়ার সাসপেনশন মোটামুটি ঠিক আছে। তবে বাইক অনুযায়ী আরেকটু কমফোর্ট করা উচিৎ ছিলো।
সিটিং পজিশন: R15 V3 বাইটির সিটিং পজিশন অন্যসব হায়ার সিসি বাইকের মতো। একটু বেশিই ঝুকে রাইড করতে হয়। যার জন্য হাতের কবজি প্রথম প্রথম একটু ব্যথা করে। ১/২ সপ্তাহ চালানোর পর সব ঠিক হয়ে যায়। মানে একটু এডজাস্টিং এর ব্যপার। যাদের ব্যাক পেইন আছে কেবল তাদেরই ব্যাক পেইন হয়। যারা ফিট আছেন তাদের কোন প্রবলেম নেই।
হ্যান্ডেলবার: বাইকটির হ্যান্ডেলবার টি আরেকটু উপরে দিলে ভালো হতো। যাদের হাইট কম তাদের জন্যও পারফেক্ট হতো। জ্যামে বসে থাকতেও খুব খারাপ লাগে।
হেডলাইট: এতো দামি একটি বাইকের আলো এতো কম যা মেনে নেয়া দূস্কর। খুব কম আলো দেয়। যা নিয়ে আমি মোটেই সন্তুস্ট না। ৩০/৪০kmph এই রেঞ্চে আলো ঠিক আছে। এর উপরে গেলে আলোর সল্পতায় ভুগবেন। আরেকটি প্রবলেম হলো বেশিক্ষন বাইক রাইড করলে হেডলাইটের দুই পাশে কিছুটা কুয়াশার মতো জমে। পরে ঠিক হয়ে গেলেও এমনটি আশা করা যায় না।
ব্রেক : ব্রেক নিয়ে আমার কোন অভিমত নেই। আমি স্যাটেসফাইড। মাইন্ড ব্লোইং ব্রেক।
ইন্জিন: যে কোন গিয়ারে সমান Power সাপ্লাই করে। বেশি গিয়ারেও কম RPM তেমন কোন তফাৎ পাই নি। আর একটি প্রবলেম ফেইজ করেছি সেটি হলো, মাঝে মাঝে স্পিড মিটারে গিয়ার ভেনিশ হয়ে যাওয়া। যদিও মেজর কোন প্রবলেম না। গিয়ার শিফটিং এ মাঝে মাঝে বাজে শব্দ করে। এখন মোটামুটি সব ঠিক আছে।
>> Click To The Comparison Between New Yamaha R15 v3 vs Suzuki GSX150r vs Honda CBR150r <<
সাউন্ড: সো গুড,কোন মন্তব্য পেশ করছি না। খুব ভালো লাগে সাউন্ডটি।
পিলিওন সিট: Yamaha R15 V2 থেকে অনেক কমফোর্টেবল। V2 এর মতো তেমন কোন প্রবলেম হয় না। বেশ আরামদায়কও বটে।
ক্লাচ : স্লিপার ক্লাচ হওয়ায় খুব দ্রুত গিয়ার শিফট করা যায় এবং অন্য বাইক হতে খুব মজাদার ।
লুক: লুকটা অনেক এগ্রেসিভ। এবং V2 এর সাথে কোন মিল নেই।
কালার: বাইকটিতে যে সিলভার কালারটি ব্যবহার করা হয়েছে তা মোটেও মান সম্মত না। হালকা ঘসা ,পায়ের খোচা,কাপড়ের ঘসা লাগার আগেই কিছু কিছু অংশের রং উঠে যাচ্ছে।
সুইচ: সুইচ গুলো একটু আপডেট করা হয়েছে। পাস লাইট এর সুইচটি আন-কমন করায় আমার খুব ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ইমারজেন্সি সুইচ। সত্যি খুব উপকারি জিনিস।
Yamaha R15 V3 বাইকটি নিয়ে একদিনে ৪০০কিমি রাইডেরও এক্সপেরিয়েন্স আছে। সত্যি বলছি খায়েশ মিটে নাই। মোটো ট্রাভেল আমার সবচেয়ে বড় শখ। বাইকটি কিনার একটিই কারন হাই-ওয়ে রোড। যা আপনাকে একটি পূর্নাঙ্গ স্পোর্টস বাইকের ফিল দিবে। ভুল ট্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।প্রতিটি বাইকারের জন্য শুভ কামনা রইলো। হ্যাপি রাইডিং।
লিখেছেনঃ মাহমুদুল হাসান