Yamaha FZS V3 ABS ৬,০০০ কিলোমিটার রাইডের গল্প - সাহাবুদ্দিন পাপ্পু
This page was last updated on 01-Aug-2024 04:19am , By Ashik Mahmud Bangla
গতবছরের জুলাই মাসের ১১ তারিখ Yamaha FZS V3 ABS বাইকটি কিনেছিলাম ইয়ামাহা 3S সেন্টার তেজগাও থেকে। এখন পর্যন্ত ৪ টা ফ্রি সার্ভিস করিয়েছি সেখান থেকে। সার্ভিসের ব্যাপারে আসলে কিছু বলার নেই। আমার মনে বাংলাদেশের বেস্ট আফটার সেলস সার্ভিস ইয়ামাহা দিয়ে থাকে। ওরা অনেক স্মার্ট আর ডিজিটালাইজড।
এখন পর্যন্ত ৬০০০ কিলোমিটারের কিছু কম রাইড করেছি। প্রথমেই আসি কিছু বাইকটি নিয়ে পয়েন্টের আলোচনাতে । বাইকটি ঠিক আমি হাইওয়েতে খুব বেশি রাইড করিনি । শহরেই বেশি রাইড করি সেক্ষেত্রে আমার হেডলাইটের আলো কমের জন্য কোন প্রব্লেম হয় না। তবে আমার মনে হয় এটা খুব সহজেই সমাধান করা যায়। এই ৬০০০ কিলোতে আমার মনে হয়েছে Yamaha FZS V3 ABS ০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত স্পিড তুলতে কয়েক সেকেন্ড বেশি সময় নেয় । তবে ৬০ থেকে ১০০ পর্যন্ত আমার মনে হয়েছে এই সেগমেন্টে অন্য যে কোন মডেলের থেকে বেশি দ্রুত স্পিড ওঠে।
Yamaha FZS FI V3 ABS Review By Team BikeBD
যেহেতু আমাদের দেশে স্পিড ব্রেকার গুলি সঠিক নিয়ম মেনে করা হয় না, মানে ইচ্ছা মত গলির মধ্যে বাড়ির মালিক গন তৈরি করে তাই অনেক ক্ষেত্রে পিলিওন সহ স্পিড ব্রেকার পার হতে গেলে নিচে ঘষা লাগে। হাইওয়ে গুলিতে কোন প্রব্লেম হয় না। এবার আসি ভালো দিক গুলো নিয়ে। আসলে উপরের কিছু সামান্য ব্যাপার বাদ দিলে অন্য সব কিছুতে এই সেগমেন্টের অন্য কোন বাইক এর থেকে অনেক দূরে।
- ABS সহ ব্রেক এক কথায় অসাধারণ। ৫০ থেকে ৭০ স্পিড থাক্লেও ২-৪ সেকেন্ডের মধ্যে বাইক সম্পূর্ণ দাঁড় করানো যায় কোন প্রকার সমস্যা ছাড়ায়।
- অনেকে টপ স্পিডকে প্রায়োরিটি দেই তবে আমার মনে হয় স্পিড তুলে যদি থামতেই না পারি তাহলে সেটার মানে নেই কোন। আমি আমার বাইকে টপ স্পিড ১১৮ পেয়েছি এর বেশি আমার প্রয়োজন নেই।
- মাইলেজ এক কথায় অসাধারণ। যদিও বেশিরভাগ পাম্পে তেল ভালো না এবং মাপে কম দেই তারপরও কিছু নির্দিষ্ট পাম্প থেকে তেল নিলে ৪৫ থেকে ৪৬ কিলোমিটার প্রতি লিটারে পাওয়া সম্ভব। বিস্তারিত আমার আগের একটা পোস্টে রয়েছে ।
- এত স্মুথ ইঞ্জিন মনে হয় না আর আছে। আমার মা বলেন এই বাইকে বসলে মনে হয় ইঞ্জিন Start দেওয়া নেই
- FZS V3 এর কন্ট্রোল সত্যিই অন্যরকম। ৭০-৮০ স্পিডে চুপচাপ বসে থাকলে মনে হয় কারে বসে আছি
- ঠিকঠাক ব্রেক করলে চাকা স্কিড করার হার মোটামুটি শুন্য।
আমি এক দিনে ২৩০ কিলো রাইড করেছি সেটিও মোটামুটি ৫ ঘন্টায়। কোন রকম শারীরিক ব্যথা বা সমস্যা হয়নি। লুক যদিও প্রত্যেকের নিজের ব্যাপার তবে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সামনের Chrome Duct Plating টা অনেকটা BMW গাড়ির এর মত দেখতে । সব মিলিয়ে বাইকটির রেটিং করলে ৯.৫ দিব আমি ১০ এর মধ্যে। ধন্যবাদ । লিখেছেনঃ সাহাবুদ্দিন পাপ্পু আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।