Yamaha FZS FI V3 ৫০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - হৃদয়

This page was last updated on 31-Jul-2024 06:19am , By Raihan Opu Bangla

আমি আশরাফুল ইমরান হৃদয় । আমি ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে বসবাস করি। আজ আমি আমার Yamaha FZS V3 বাইকটি নিয়ে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

Yamaha FZS FI V3 ৫০০০ কিমি মালিকানা রিভিউ

Yamaha FZS FI V3

আমি ৭ বছর বয়স থেকে বাইকে চড়তে শিখি । ১৪ বছর বয়সে বাইক চালানো শুরু করি Discover 100 বাইকটি দিয়ে। তখন থেকে বাইক নিয়ে একটা আবেগ কাজ করতো। কিন্তু নিজের বাইক ছিল না। তবুও নতুন নতুন বাইক এর বিষয়ে জানার আগ্রহ ছিল অনেক বেশি।

বাইক সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে বাইক এর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় আর বাইককে ভালোবাসা থেকে বাইকিং ভালোবাসা। অবশেষে ২০২০ সালের ১ নভেম্বর আমার নিজের উপার্জনের টাকায় জীবনের ১ম বাইক পিএইচপি সোপার ১০০ ক্রয় করি ।বাইকটি আমি ৪৮০০ কিলোমিটার রাইড করে বিক্রি করে দেই । এরপর ২০২১ সালের ৮ জুলাই নিজের উপার্জন করা টাকা ও কিছু বাবার কাছ থেকে নিয়ে ২য় বাইক Yamaha FZS FI V3 ক্রয় করি ।

আমি বর্তমানে Yamaha FZS FI V3 বাইকটি দীর্ঘ ৫ মাস যাবত রাইড করছি । বাইকটি বর্তমানে ৫০০০ কিলোমিটার রানিং। ইয়ামাহার প্রতি ভালোবাসা অনেক বছর যাবত। ইচ্ছা ছিল বাইক কিনলে ইয়ামাহা বাইক কিনবো। এর কারন আমি বর্তমানে যে বাইকটি ব্যবহার করছি এই বাইকটি আমি ক্রয় করার আগে আমার খুব কাছের বন্ধুর বাইকটি বেশ কিছু দিন রাইড করি। তারপর বাইকটি রাইড করে আমি এইটুকু নিশ্চিত হই যে এই বাইকটি যদি আমি সঠিক পরিচর্যা করি ও সঠিক ভাবে রাইড করি বাইকটি আমাকে ভালো পার্ফরমেন্স দিবে। 

Yamaha FZS FI V3 

বাইকটির সামনে রয়েছে ডিক্স ব্রেক সাথে সিঙ্গেল চেনেল এবিএস(এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম) যা ব্রেকিং এ আমাকে আলাদা সাহস যোগায়। আমি একজন ব্যবসায়ী এবং ছাত্র। দু কাজেই আমার বাইকটি ব্যবহার করি যা আমাকে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সাপোর্ট দেয়। Yamaha FZS FI V3 এবিএস বাইকটি আমি কিনেছিলাম ২,৩৭,৫০০ টাকায় অথরাইজড ইয়ামাহা ডিলার পয়েন্ট শাহজালাল মটরস থেকে। আমি যেদিন বাইকটি কিনি ঐদিন ছিল জীবনের একটি আনন্দময় দিন গুলোর মধ্যে একটি। যা কোনদিন ভুলার নয়।


বাইকটি ১ম আমার বাবা সুইজ অন করে এবং বাবাকে নিয়েই বাসায় আসি বাইক চালিয়ে। যা আমার জীবনে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। আমার বাইকটি সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস যা ব্রেকিং এ আলাদা সাহস যোগায়। ১৪০/৬০ পিছনের টায়ার সাইজ যা কর্নারিং এর সময় একস্ট্রা কনফিডেন্স দেয়। এফএই ভার্সন যা তেলের সাস্রয় দেয়। আমার বাইকটি ৫০০০ কিলোমিটার রানিং এর মধ্যে আমি ৩টি সার্ভিস করিয়েছি। যা ইয়ামাহা সার্ভিস সেন্টার থেকে ফ্রি সার্ভিস করিয়েছি। ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি ৫০০ কিলোমিটারে ৪টি মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি। ইয়ামাহা লুব ব্যবহার করি।

২০০০ কিলোমিটার এর পরে সেমি সিন্থেটিক ইয়ামা লুব ব্যবহার করছি এখন পর্যন্ত। প্রতি বার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন এর সময় অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করি। এখন পর্যন্ত ২ বার এফআই ক্লিন করি। ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ৩৮-৪৮ পর্যন্ত মাইলেজ পাই। ২৫০০ কিলোমিটার এর পর ৪২-৪৫ মাইলেজ পাচ্ছি। আমি সবসময় নিজেই বাইক ওয়াস করি, চেইন পরিষ্কার করি এবং চেইন লুব করি। বাইকের সকল সমস্যার সাথে সাথে আমি ইয়ামাহা সার্ভিস সেন্টার এ যোগাযোগ করি। Yamaha FZS FI V3

 এখন পর্যন্ত বাইকের কোনো পার্টস পরিবর্তন করিনি। বাইকে তেমন কোন মডিফাইড করিনি। আমার বাইকটিতে আমি সর্বোচ্চ ১১০ গতি তুলি।

Yamaha FZS FI V3 বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • কমফোর্টেবল
  • ব্রেকিং
  • কন্ট্রোল
  • মাইলেজ
  • লং লাস্টিং

Yamaha FZS FI V3 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • প্লাস্টিক কোয়ালিটি
  • হেডলাইট এর পাওয়ার

আমার বাইকটি নিয়ে আমি সর্বোচ্চ ১৫৬ কিলোমিটার ট্যুর করি। ট্যুরে বাইকটি আমাকে যথেষ্ঠ সাপোর্ট দিয়েছে। আমার ব্যাক্তিগত মতামত হল যারা সিটি ও হাইওয়েতে রাইড করেন কমফোর্ট বেকিং মাইলেজ এর দিকে ফোকাস থাকে তাহলে তাদের জন্য Yamaha FZS FI V3 বাইকটি ভালো চয়েস। ধন্যবাদ ।

লিখেছেনঃ আশরাফুল ইমরান হৃদয়

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।