Yamaha FZ-X 150 টেস্ট রাইড রিভিউ - টিম বাইকবিডি

This page was last updated on 31-Jul-2024 05:27am , By Raihan Opu Bangla

ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের কথা যখন বলা হয় তখন অনেকেরই চিন্তায় মটোজিপি এবং ভ্যালেন্টিনো রসির কথা মাথায় আসে। এছাড়া স্পিড, লুকস, ডিজাইন, ও পাওয়ার এর ক্ষেত্রে ইয়ামাহা এর নাম সবার উপরের দিকেই আসবে। এছাড়া প্রিমিয়াম কোয়ালিটি এবং সার্ভিস এর জন্য ইয়ামাহা সকলের কাছে পরিচিত। তবে ইয়ামাহা এর ওপর একটি দিক রয়েছে, সেটি হচ্ছে রেট্রো লুকস ও ডিজাইনের মোটরসাইকেল। যারা ক্যাফে রেসার ও রেট্রো ডিজাইনের মোটরসাইকেল পছন্দে করে থাকেন তাদের জন্য ইয়ামাহা অনেক দারূণ ডিজাইনের মোটরসাইকেল তৈরি করে থাকে। তাদের কথা মাথায় রেখে ইয়ামাহা তৈরি করেছে রেট্রো ডিজাইন মোটরসাইকেল Yamaha FZ-X 150। আর আজ আমরা টিম বাইকবিডি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি Yamaha FZ-X 150 টেস্ট রাইড রিভিউ

Yamaha FZ-X 150 টেস্ট রাইড রিভিউ

Yamaha FZ-X 150 টেস্ট রাইড রিভিউ

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইয়ামাহা এর পরিচিতি হচ্ছে স্পোর্টস ও নেকেড স্পোর্টস সেগমেন্টের মোটরসাইকেল। বিশেষ ভাবে যদি বলা হয় তবে Yamaha R15 V3, Yamaha FZS Fi V2, Yamaha FZS Fi V3 মোটরসাইকেল। প্রতিটি মডেল তাদের ক্যাটাগরিতে অনেক জনপ্রিয়। তবে এছাড়াও ইয়ামাহার কিছু মডেল আছে যা প্রচলিত ডিজাইন ও মডেলের বাইরে। 

এই মডেল গুলো হচ্ছে Yamaha XSR 155 এবং Yamaha FZ-X। ইয়ামাহা এর এই মডেল দুটি রেট্রো ডিজাইন ও লুকস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। 

Yamaha FZ-X 150 মডেলটি শুধু মাত্র রেট্রো ডিজাইন করা হয়নি এর সাথে আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে বাইকটি এই সেগমেন্টে বাইকটি অন্যান্য মডেলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। 

Yamaha FZ-X 150 টেস্ট রাইড

স্টাইল, লুকস, ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স

বাইকারদের ক্ষেত্রে লুকস ডিজাইন এবং স্টাইল এই বিষয় গুলো অনেক গুরুত্ব বহন করে থাকে। তবে প্রচলিত ডিজাইনের বাইরে ক্ল্যাসিক লুকসের মোটরসাইকেলের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে ক্যাফে রেসার মোটরসাইকেলে জনপ্রিয়তা রয়েছে। এর ক্ল্যাসিক লুকস ও ডিজাইন বাইকারদের আকর্ষণ করে থাকে। 

এই ক্ষেত্রে ইয়ামাহা এফজেড-এক্স বাইকটি এগিয়ে থাকবে। ক্ল্যাসিক লুকস ও ডিজাইনের সাথে আধুনিক স্টাইল যুক্ত করা হয়েছে এই বাইকটিতে। যেকোন বাইকারের প্রথম দেখাই বাইকটি ভাল লাগবে। 

কারণ বাইকটির সামনে থেকে রেয়ারে লুকস পুরোটাই ক্ল্যাসিক ক্যাফে রেসার এর মত রাখা হয়েছে। অপর দিকে আধুনিক স্টাইলি যেমন হেড লাইট, হ্যান্ডেলবার সহ সব কিছুতেই আধুনিক ডিজাইন ও স্টাইল গ্রাফিক্স যুক্ত করেছে। 

এছাড়া খুব বেশি গ্রাফিক্স যুক্ত না করে সাধারণ ভাবেই বাইকটি কে সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। বলা যায় ইয়ামাহা বাইকটি তরুন প্রজন্মের বাইকারদের কাছে স্টাইলিশ করে তুলেছে। এতে করে ক্যাফে রেসারের পাশাপাশি আধুনিক স্টাইলিশ অনুভূতি প্রদান করে থাকে। 

Yamaha FZ-X 150 engine

ইঞ্জিন ও পাওয়ার

একটি বাইকের মুল চালিকা শক্তি হচ্ছে এর ইঞ্জিন ও পাওয়ার। ইয়ামাহা সব সময় তাদের মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ইয়ামাহা তাদের ইঞ্জিনের রিসার্চ ও ডেভলপমেন্ট নিয়ে করে থাকে। 

এই বাইকটিতে দেয়া হয়েছে ১৪৯সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুল্ড, ফোর স্ট্রোক, SOHC, দুটি ভাল্ব, ফুয়েল ইঞ্জেকশন (এফআই) যুক্ত ইঞ্জিন দেয়া হয়েছে। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ ১২.২০ বিএইচপি @ ৭৫০০ আরপিএম এবং ১৩.৩০ এনএম টর্ক @ ৫৫০০ আরপিএম। 

বাইকটি এই সেগমেন্টে বেশ পাওয়ারফুল একটি মোটরসাইকেল। ইঞ্জিনের পাওয়ারের ক্ষেত্রে বাইকটি এই ক্যাটাগরিতে বেশ এগিয়ে থাকবে। এই পাওয়ার ট্রান্সমিশনের জন্য ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে ৫ স্পিড গিয়ার বক্স। 

Yamaha FZ-X 150 front disc brake

হুইল, ব্রেক ও সাসপেনশন

ইয়ামাহা সব সময় তাদের হুইল, ব্রেক ও সাসপেনশন এর দিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিশেষ ভাবে ব্রেকের কথা বলতেই ইয়ামাহার ব্রেক মোটরসাইকেল সেগমেন্টে অন্যতম বেস্ট ব্রেক। কারন ইয়ামাহা তাদের মোটরসাইকেল ও রাইডারের কন্ট্রোলিং কে আরও বেশি স্মুথ করার স্বার্থে ব্রেকের উপর জোর দিয়ে থাকে। 

এই বাইকটিতে ইয়ামাহা ব্যবহার করেছে বাইব্রি এর ব্রেক সিস্টেম এবং সেই সাথে যুক্ত করেছে এবিএস। এবিএস যুক্ত করার কারনে রাইডারের সেফটি আরও বহু গুণে বেড়ে গিয়েছে। সামনের দিকে দেয়া হয়েছে ২৮২মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক ও রেয়ারে দেয়া হয়েছে ২২০মিমি ডিস্ক ব্রেক।

বাইকটির সামনের দিকে দেয়া হয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক। এই টেলিস্কোপিক ফর্কটি হচ্ছে ৪১মিমি ডায়ামিটার ইনার টিউব এর সাথে ফর্ক বুট। অপর দিকে রেয়ারে দেয়া হয়েছে ৭ স্টেপ এডজাস্টেবল মনোশক সাসপেনশন। 

Yamaha FZ-X 150 mono shock

আবার চাকা বা হুইলের ক্ষেত্রে দেয়ায় হয়েছে এলয় রিম। সামনের দিকে দেয়া হয়েছে ১০০/৮০-১৭ সেকশন টায়ার এবং ১৪০/৬০-১৭ রেয়ার টায়ার। দুটি টায়ার ই টিউবলেস টায়ার। 

ফিচার্স ও টেকনোলজি

ক্ল্যাসিক ক্যাফে রেসার মোটরসাইকেল আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। Yamaha FZ-X 150 বাইকটিতেও আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। যদি এই ক্যাটাগরিতে সেভাবে আধুনিক প্রযুক্তির মোটরসাইকেল সেভাবে দেখা যায় না। তবে এই FZ-X বাইকটিতে অনেক বেশি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করা হয়ছে। 

প্রথমত এই বাইকটির ব্রেকিং এ যুক্ত করা হয়েছে সিঙ্গেল এবিএস। যা এই বাইকটির ব্রেকিংকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। তবে এই ক্যাটাগরির মোটরসাইকেলে বর্তমানে এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম দেখা যায়।

Yamaha FZ-X 150 digital speedo meter

এই ব্রেকিং সিস্টেমের সাথে দেয়া হয়েছে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম (টিসিএস)। এতে করে রাইডারের বাইকটির স্কিড করা বা রাস্তায় পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। বিশেষ ভাবে কাকড়, নুড়ি, বালিতে রাইডিং কনফিডেন্স আরও বাড়িয়ে দেবে।

এর সাথে বাইকটির ওভারঅল লেন্থ হচ্ছে ২০২০মিমি, ওয়াইড হচ্ছে ৭৮৫মিমি হাইট হচ্ছে ১১১৫মিমি। বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৫মিমি। এই বাইকটির কার্ব ওয়েট হচ্ছে ১৩৯ কেজি। এর ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি হচ্ছে ১০ লিটার। 

অপর দিকে পাইপ হ্যান্ডেলবার, চার্জিং পোর্ট, Y-কানেক্ট, নেগেটিভ এলসিডি ডিসপ্লে সহ অনেক গুলো ফিচার্স যুক্ত করা হয়েছে। সাইড স্ট্যান্ড স্টার্ট অফ ইন্ডিকেটর  দেয়া হয়েছ। যাতে আপনার বাইকটি সাইড স্ট্যান্ডে থাকলে বাইক স্টার্ট নিবে না।

বিশেষ ভাবে বলতে গেলে এর এলসিডি ডিসপ্লের বা সম্পূর্ন ডিজিটাল মিটার দেয়া হয়েছে। এতে আপনি এবিএস, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, ঘড়ি, আরপিএম, স্পিড, ফুয়েল গজ সহ সকল কিছু দেখতে পারেন। তবে এতে কোন গিয়ার ইন্ডিকেটর নেই। 

বাইকটিতে হেডলাইট হিসেবে যুক্ত আছে বাই-ফাংশনাল এলইডি প্রোজেকশন হেডলাইট। বাইকটির টেইল লাইট এবং ইন্ডিকেটর সহ সব কিছুই এলইডি। 

Yamaha FZ-X 150 wallpaper

রাইডিং অভিজ্ঞতা

একটি মোটরসাইকেল টেস্ট রাইড করার ক্ষেত্রে অনেক গুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। এর ভেতর গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে এর পারফর্ম বা রাইডিং এর সময় বাইকটি কেমন পারফর্ম করে থাকে। রাস্তায় পারফর্ম করা আর তৈরির সময় পারফর্ম করার মধ্যে অনেক বেশি পার্থক্য হয়ে থাকে। কারন প্রকৃত পক্ষে বাইকের পারফর্মেন্স বোঝা যায় যখন বাইকটিকে নিয়মিত রাস্তায় রাইড করা হয়।

আমরা যখন Yamaha FZ-X বাইকটি নিয়ে যাত্রা শুরু করি তখন একটি বিষয় ভেবে ছিলাম বাইকটি যেহেতু ক্ল্যাসিক ক্যাফে রেসার জনরার হয়ত এটি তেমন পারফর্মেন্স প্রদান করবে। তবে আমরা অবাক হয়েছি বাইকটির পারফমেন্সে।

শুরুতেই বলা যায় এই ডিজাইন লুকস এবং স্টাইল নিয়ে। বাইকটি ক্ল্যাসিক ক্যাফে রেসার স্টাইলের সাথে আধুনিক স্টাইলের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। এতে করে আধুনিক লুকসের সাথে ক্ল্যাসিক একটি ভাইব প্রদান করেছে বাইকটিকে। যারা ক্যাফে রেসার প্রেমী আছেন তাদের বাইকটির লুকস পছন্দ হবে। 

Yamaha FZ-X 150 fuel tank

বাইকটি কিছুটা বাল্কি বা বড়সড়। ফ্রন্ট থেকে রেয়ারে বাইকটিকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। বিশেষ ভাবে এর সামনের দিকে রেট্রো ডিজাইন হেডলাইট এর সাথে এলইডি ডিআরএল ক্ল্যাসিক ক্যাফে রেসারের সাথে আধুনিক লুকস প্রদান করেছে। এছাড়া বাইকটিতে হালকা ক্রুজার ভাইব দেয়া হয়েছে। 

অপর দিকে আমরা যদি ইঞ্জিনের দিকে লক্ষ্য করি তবে আমাদের অবাক হতে হয়। কারন বাইকটিতে ইয়ামাহা ১৫০সিসি এর একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন যুক্ত করেছে। ইঞ্জিন থেকে  ১২.২০ বিএইচপি এবং ১৩.৩০ এনএম টর্ক সর্বোচ্চ উৎপাদন করতে সক্ষম। এ থেকেই বোঝা যায় যে বাইকটি বেশ পাওয়ার ফুল একটি মোটরসাইকেল। 

আপনি চাইলে সহজে পাহাড় বা উচু জায়গাতে বাইকটি নিয়ে রাইড করতে পারবেন। এছাড়া হাইওয়েতে রাইড করা বা ওভার টেকিং এর সময়ও আপনি ভাল কনফিডেন্স পাবেন। তবে বাইকটির গতি ৮০/৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেশ ভাল ভাবেই তোলা যায়। এরপর ধীরে ধীরে গতি তোলে। 

আমরা বাইকটির সর্বোচ্চ গতি পেয়েছি ১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ক্যাফে রেসার বাইক হিসেবে এই গতি আমার কাছে বেশ ভাল মনে হয়েছে। 

গতির সাথে বাইকটির ব্রেকিং ও ব্যালেন্স দুটো বেশ ভাল সামঞ্জস্যতা রয়েছে। ইয়ামাহা সাধারণ ব্রেকিং ও ব্যালেন্সের জন্য বিখ্যাত। বলা যায় ব্রেকিং ও ব্যালেন্সের দিক থেকে বাইকটি বেশ ভাল ফিডব্যাক দিয়েছে। আপনি স্পিডিং করলেও বাইকটি আপনার নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। 

Yamaha FZ-X 150 exhust pipe

ব্রেকিং আরও যুক্ত করা হয়েছে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ও ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম (টিসিএস)। এই ধরনের মোটরসাইকেলে টিসিএস প্রযুক্তি বাংলাদেশে প্রথম। তাই বাইকটির রাইডিং এর সময় আপনাকে আর ভাল ভাবে সেফটি প্রদান করবে। আর সামনের দিকে এবিএস বাইকটির ব্রেকিং কে আরও স্মুথ ও দারূণ করে তুলেছে। 

আবার ব্রেকিং ব্যালেন্সের সাথে বাইকটির সাসপেনশনের সম্পর্ক বেশ দারূণ। আপনি পাহাড় বা শহরে অথবা ভাঙ্গা চোরা এবং নুড়ি কাকড় বিছানো রাস্তায় বেশ ভাল ফিডব্যাক দিয়েছে। সামনের দিকের টেলিস্কোপিক ফর্ক ও রেয়ারে ৭স্টেপ এডজাস্টেবল মনোশক বেশ ভাল ফিডব্যাক প্রদান করেছে। 

বিশেষ ভাবে পাহাড়ে যখন আপনি রাইড করবেন, তবে আপনি বেশ ভাল বুঝতে পারবেন। কারণ তখন সাসপেনশনের ফিডব্যাক আপনি ভাল পাবেন। এর সাথে রয়েছে টাক রোল সিট যা ক্ল্যাসিক ক্যাফে রেসারে বৈশিষ্ট্য। 

এই সিট আপনাকে আরামদায়ক রাইডের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। আপনি একটানা অনেকক্ষণ রাইড করার পরও আপনার সেভাবে কোন সমস্যা হবে না। বিশেষ ভাবে যাদের ব্যাক পেইন এর সমস্যা রয়েছে তাদের এই বাইকটি রাইডে ব্যাক পেইন হবে না।

Yamaha FZ-X 150 tail light

ব্যাক পেইন না হবার অন্যতম কারণ হচ্ছে এর হ্যান্ডেলবার। এই বাইকটিতে দেয়া হয়েছে পাইপ হ্যান্ডেলবার। আর হ্যান্ডেলবারটি একটু আপরাইট পজিশনে রাখা হয়েছে। তাই আপনি লং রাইডে সেভাবে কোন ব্যথ্যা অনুভব করবেন না। যার কারণে আপনি অনেক সময় ধরে স্বাচ্ছন্দে রাইড করতে পারবেন। 

এছাড়া বাইকটির সুইচ গিয়ার গুলো উন্নত মানে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে এই বাইকটির বেশির ভাগ পার্টস হচ্ছে মেটাল। তাই কোয়ালিটি নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকতে পারে না। আবার মেটাল হবার পরও বাইকটি সব মিলিয়ে ওজন হচ্ছে ১৩৯ কেজি। 

ইয়ামাহা বাইকটি এমন ভাবে ডিজাইন করেছে যে বাইকটি ক্যাফে রেসার হবার সাথে সাথে বাইকটির ক্রুজিং ক্যাপাসিটিও রয়েছে। আপনি বাইকটি রাইড করার সময় মনে হবে কোন ক্রজার মোটরসাইকেল বসে রাইড করছেন। 

Yamaha FZ-X 150 seat

এই বাইকটির ফুয়েল ট্যাংকে ১০ লিটার ফুয়েল নেয়া যায়। আমরা Yamaha FZ-X 150 রাইডে শহরে মাইলেজ পেয়েছি ৪২ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে পেয়েছি ৪৫+ কিলোমিটার প্রতি লিটার। 

প্রতিটি বাইকের ক্ষেত্রে কিছু ভাল খারাপ দিক রয়েছে। এই বাইকটিও তার বাইরে নয়। 

Yamaha FZ-X 150 এর পজেটিভ দিক –

  • বাই ফাংশনাল হেডলাইটের আলো ও ডিআরএল
  • সাসপেনশন ফিডব্যাক ও সিট
  • সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ও ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম
  • ব্লক প্যাটার্ন টায়ার

Yamaha FZ-X 150 rear brake

Yamaha FZ-X 150 নেগেটিভ দিক –

  • এলসিডি ডিস্প্লে বা স্পিডোমিটার
  • ফুয়েল ট্যাংক ছোট
  • গিয়ার ইন্ডিকেটর

একটি বাইকের সব কিছুই যে ভাল হবে এমন নয়। আবার সব কিছু খারাপ হবে এমনও না। একটি বাইক তৈরির সময় অনেক কিছুই দেখে তারপর ডেভলপ করা হয়। যদিও রাস্তায় অবস্থা, পরিবেশ আলাদা হয়ে থাকে। তবে বাইকটির উন্নতির অনেক জায়গা থাকে, যা পরবর্তিতে ঠিক করে নেয়া যায়। 

আমার মনে এই বাইকটিও তেমন একটি মোটরসাইকেল আপনি প্রতিদিনের রাইডে যেমন ব্যবহার করতে পারবেন আবার ছুটির দিন গুলোতে লং ট্যুরও করতে পারবেন। একই সাথে ক্ল্যাসিক ক্যাফে রেসার হবার সাথে সাথে ক্রুজার বাইকের ফিল প্রদান করতে সক্ষম Yamaha FZ-X 150। 

Yamaha FZ-X 150 রিভিউ - টিম বাইকবিডি

এই টেস্ট রাইডে আমাদের সহায়তা করেছে মবিল বাংলাদেশ, গিয়ারএক্স বাংলাদেশ, টোটাল টুলস, এপোলো টায়ার, মাইটি ম্যাক্স, ট্র্যাকার্স বিডি, ওয়েদার, মটো ম্যাকানিক, এফএনএম এলইডি, বিডি মটোশপ।

আশা করছি এই টেস্ট রাইডটি আপনাদের ভাল লেগেছে। নতুন সব মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে ও টেস্ট রাইড রিভিউ গুলো পড়ার জন্য আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।