Yamaha FZ Fi V3 ১৪,০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - সায়মন সিজান
This page was last updated on 13-Jul-2024 10:52pm , By Ashik Mahmud Bangla
আমার নাম সায়মন সিজান । আমি ঢাকা বনশ্রী থাকি । আমি এখন যে বাইকটি রাইড করি সেটি Yamaha FZ Fi V3 এটি আমার জীবনের প্রথম বাইক । ছোট বেলা থেকেই শখ একটা বাইক কিনবো। কিন্তু আমার পরিবার বাইক পছন্দ করতো না ।
Yamaha FZ Fi V3 ১৪,০০০ কি.মি. রাইড রিভিউ
২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করি মা কে অনেক রিকয়েস্ট করার পর আমার পছন্দের বাইকটি কিনে দেয়। মিরপুর ৬০ ফিট ক্রিসেন্ট এন্টারপ্রাইজ থেকে । ছোটবেলা থেকে ২ চাকা ভালো লাগে। তখন থেকে বাইকের প্রতি আগ্রহ । আমি যখন সপ্তম শ্রেনীতে পড়ি তখন বাইক চালানো শিখি । মনে হয় বাইক আমার রক্তে মিশে আছে এটা ছাড়া কোন যানবাহন ভালো লাগেনা । নতুন কোন বাইক দেশে আসলে টেস্ট রাইড না দেওয়া পর্যন্ত ভালো লাগতোনা । বাইকবিডি ইউটিউব চ্যানেল এর অনেক রিভিউ দেখেছি থেকে । মাইলেজ, কন্ট্রোল, ডিজাইন সব কিছু বিবেচনা করে Yamaha FZ Fi V3 বাইকটি পছন্দ করি । বাইকটি আমি যখন নিয়েছিলাম দাম ছিল ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা । আর এখন বর্তমান দাম ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ।
আমার তো বাইক কেনার আগের দিন রাতে ঘুমই হয়নি কখন যাবো শো-রুম এ । আমার আম্মু ছোট বোন ঢাকা আসে আমাকে বাইকটি কিনে দিতে ,আর সাথে থাকে আমার কয়েকজন বড় ভাই যারা বাইক সম্পর্কে ভালো বুঝে । বাইক কেনার পর সর্ব প্রথম আমার মাকে নিয়ে টেস্ট রাইড দেই ।
বাইকে বসার সাথে সাথে উত্তেজনায় বুক কাপতেছিল । টেস্ট রাইড দিতে দিতে ভাবলাম এইবার নিজের বাইকে বসলাম । আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ মনের আশা পূরন করলো । ব্যস্ত ঢাকার যানজট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য , সারা বাংলাদেশ ঘুরে দেখার জন্য , ভালো একজন রাইডার হওয়ার জন্য আমার বাইক কেনা । Yamaha Fz fi v3 বাইকটি এফআই ইঞ্জিন । বাইকটির স্মুথনেস ,মাইলেজ, সাথে এবিএস ব্রেকিং রাইডের সময় আরো কনফিডেন্স বাড়িয়ে দেয় ।প্রতিদিন বাইক চালানোর সময় নিজেকে কিভাবে নিরাপদ রেখে বাইক চালাবো সেটা চিন্তা করি । বাইকটি ১ বছরে ৫ টি ফ্রি সার্ভিস করাই ,ইয়ামাহার ডিলার পয়েন্ট ক্রিসেন্ট এন্টারপ্রাইজ থেকে । সার্ভিস এর মান যথেষ্ট ভালো । আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৩৮-৪২ সিটি এবং হাইওয়েতে। প্রতি সপ্তাহে আমি আমার বাইক ওয়াশ করি । আর বাসার পাশের গেরেজ থেকে চেইন লুব,নাট টাইট ,এয়ার ফিল্টার ক্লিন এগুলো করাই । আমি আমার বাইকটি সবসময় ১০০% সঠিক রাখতে চাই ।
আমি ইয়ামালুব ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করি । ইয়ামাহার ডিলার পয়েন্ট থেক কিনি । মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করি । এই ১৪ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে ব্রেক সু ছাড়া আর কিছু পরিবর্তন করতে হয়নি । বাইকটিতে স্টিকার মডিফাই করি । এর কারনে বাইকটি আরো বেশি সুন্দর লাগে । আমি বাইকটিতে নতুন অবস্থায় ৩০০ ফিট হাইওয়েতে ১২৬ টপ স্পিড পেয়েছি । আমার ওজন ৫৫ কেজি ।
বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- এবিএস ব্রেকিং
- লুকিং
- কন্ট্রোল
- মাইলেজ
- ডুয়াল ডিক্স ব্রেক
- মোটা টায়ার
বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- লং রাইডে ইঞ্জিনের শব্দ পরিবর্তন হয়ে যায় ।
- রেডি পিকাপ না থাকায় হাইওয়ে রাইডে কনফিডেন্স কম পাওয়া যায় ।
- ওয়েল কুলিং সিস্টেম থাকা উচিৎ ছিল
আমার বাড়ি বি.বাড়িয়া । ঢাকা থেকে মাসে ২ বার যাওয়া আসা করি । আজ পর্যন্ত কোন প্রকার দুর্ঘটনা বা বাইক নিয়ে সমস্যায় হয়নি। সাবধান এবং সতর্কতার সাথে চলি । বাইকের সব কিছুই মনের মত করে মানিয়ে নিয়েছি। তবে রেডি পিকাপ আর অয়েল কুল ইঞ্জিন হলে আরো ভালো হতো । ধন্যবাদ।
লিখেছেন - সায়মন সিজান
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।